আসলে সংজ্ঞা বলে কিছু হয় না
আসলে সংজ্ঞা বলে কিছু হয় না


মনে-প্রাণে অজ্ঞানে-অগোচরে
দুহাতে চেপে ধরে
বুকের মাঝখানে শেষ করে ফেলছি
তোর বুনে যাওয়া নরম ঘরগুলো এক এক করে ,
নদীও সঙ্গ দিচ্ছে,বর্ষায় পাড় ভাঙছে
কালকের বাড়িঘর জলে মিশে নতুন মাটি তৈরী হচ্ছে ;
থামাতে জীবন নেই , চলাতে মৃত্যু নেই
চারদিকে ঘিরে আছে একরাশ বৈপরীত্য
নিয়তি হেসে বলে তোরা এসবেরই ভৃত্য |
সেদিনের ছেলেবেলা নরম আঙুলে দিয়েছিলো কিছু অক্ষর
আজকের কলম তাই দিয়ে
প্রতিনিয়ত বানাচ্ছে কিসব যুক্তাক্ষর ,
তুইও লিখেছিলিস তোর মতো করে
যেখানে জলপাখি নিজেকে মাছরাঙা ভাবে ,
অথচ আমার গল্পেরা চিরকাল সাধারণ , তারা আরাম খোঁজে
বইয়ের খাঁজে লুকোনো পালকের মাঝে |
আসলে সংজ্ঞা বলে কিছু হয় না
তাই তাকে বৃথা খুঁজে ফিরি না ;
আমার ধমনীতে অনবরত তাঁর রক্তের স্রোত
শিরা-উপশিরারা বাঁকে বাঁকে করে তারই খোঁজ
পথিকের ভুলপথে এই ভবঘুরের আগমন
মনের মাঝে মাঝে সিগারেটের টুকরো ফেলে
তার যথার্থ পলায়ন |