আমরা খেতে ভুলি আমড়া
আমরা খেতে ভুলি আমড়া
মায়ের হাতের পায়েস আর মাগুর মাছের ঝোল,
এই দুটো রান্নাই যথেষ্ট, জিভে এনে দিতে পারে জল।
মাংস অথবা মুড়ি ঘন্ট তো এক্কেবারে লা-জবাব!
কাটোয়া ডাঁটার চচ্চড়ি বা ঝোল মোচার ফালির,
মাসি বলো পিসি বলো সবচেয়ে ভালো রান্না মায়ের।
এই কথাটা শুধু আমার নয়, কথা সবার মনের।
এটা কি করে সম্ভব সে কথাটা কিন্তু কেউ ভাবেন না,
পিসি, মাসি, মামী, কাকী কিংবা হতে পারে জেঠিমা!
বনের ধারে হোক বাড়ি বা সেটা শহরে হোক না !
সকলেই তো নিশ্চয়ই কারোর না কারোর মা।
মায়ের রান্নাই নিজের কাছে সবচেয়ে যদি ভালো,
কার রান্না যে তবে খারাপ তা তো আমি বুঝে পাইনা।
ছেলে হোক বা মেয়ে, মা বেঁচে থাকতেই মায়ের মর্ম বুঝে মায়ের কাছে সকলেই রান্নাটা শিখে নে।
"আমি তো রান্না করতে পারিনা" এমন কথা যেন,
জীবনে কখনও কারো কাছে বলতে হয়না।
অবশ্য নেট খুললেই সকলে পেয়ে যায় ইউটিউবার,
সেখানে এখন অভাব নেই দিদি, মাসিমা, ঠাকুমার!
তাঁরাও সকলে মন দিয়েই নিজেরা রান্না শেখান।
মায়ের রান্নার অভাব এভাবেই পূরণ করেন ভগবান !
কিন্তু জিভ আর পেট তো সেকথা শুনবেনা,
নিজের খাবার ব্যবস্থা নিজেকে করতে হবে না!
বাবার পছন্দের, মাসকলাইয়ের ডালের রসবড়া !
আমড়া দিয়ে মৌরলা মাছের টক!
কেন যেন এসব রান্না এখন আর মা করতে চান না।
হয়তো বাবারও এখন খেতে অতোটা ইচ্ছে হয় না!
খেতে ভালোবাসলে সে মানুষ রান্না শিখে নেবেই,
হলুদ ঠিক হয়েছে কি না বাবা বুঝে যান গন্ধ শুঁকেই!
কোনো অসুবিধে হলে বাবা রান্নার ভার নেন নিজেই।
ছোটো বেলাতেও হঠাৎ হঠাৎ অন্যরকম স্বাদের,
বাবার হাতের বাঁধাকপির ঘন্ট খেয়েছি মজা করেই!
বাবার মায়ের রান্নাও নাকি অপূর্ব!
খুব ছোটোবেলায় হয়তো খেয়েছি, তবে মনে নেই।
মায়ের মায়ের রান্নাও খেতে খুব সুন্দর,
আশ্চর্য এটাই যে, ওনার রান্নায় কোনো ত্রুটি নেই !