আমি এগিয়ে চলি
আমি এগিয়ে চলি


আমি এগিয়ে চলি
আর রোজ শুনি নতুন কিছু পদধ্বনি।
ওরা কেউ মানুষ,কেউ বা মানুষ নয়।
ওরা আমায় কখনো শেখায়নি থামতে,
ওরা দেয় নি কখনো আমায় পিছু ফিরে তাকাতে।
ওরা আমায় দেখিয়েছে ব্যস্ত মানুষঘেরা তিলোত্তমার রূপ,
আর সোনার পাতে মোড়া কংক্রিটের দেওয়াল।
ওরা আমায় দেখিয়েছে অজস্র রঙিন কাগজের স্বপ্ন,
আর বিনিদ্র শহরের জমকালো রাত্রির প্রহর।
কিন্তু আমি তো তা দেখতে চাই নি।
আমি যা দেখতে চাই তা ওরা আমায় দেখাতে পারেনা।
দেখলে হয়তো খুঁজে পেতাম
পাতালের অতল গহবরে চাপা পড়ে থাকা,
মনের অন্তস্থল হতে বিলীন হয়ে যাওয়া,
শতাব্দীর পুরোনো তরবারির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হওয়া
কিছু জীবন্মৃতের গোপন ব্যথা,
হয়তো কান পাতলে শুনতে পেতাম,
তাদের সহস্র বছরের কান্
নার ইতিকথা।
কিন্তু তাদের কান্না আজ আর আমার কানে এসে পৌঁছায় না,
কারণ আমি আর তাদের দেখতে পাই না।
আমি এগিয়ে চলি।
শুধু ওরা আজও আমায় মনে করাতে চায়,
সময়ের স্রোতে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
হারিয়ে যাওয়া কোন এক অস্পষ্ট ছবির কথা,
আমি ভেবে যাই।
ধান ক্ষেতের বুকে নেমে আসা সন্ধ্যায়,
স্মৃতিরা ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যায়,
পিছন থেকে ভেসে আসে বহু পরিচিত হাহাকার,
আমি এগিয়ে চলি।
ওরা অলক্ষ্যে হাসে।
ওরা ভালো করে জানে,
সেই সকল হাহাকারের মানে,
ওরা আরও জানে,
মুখোশের ফাঁকে কোন অজানা ছদ্মনামে
ফুরিয়ে আসা স্মৃতির ভুলে যাওয়া ডাকনামে
তাদের ভিড়ে মিশে আছি আমিও, একান্ত গোপনে।