বৃত্তের রেখায়
বৃত্তের রেখায়
ভোরের প্রথম আলোয় দেখেছিলে তুমি নিজেকে
দেখেছিলাম আমিও,ভিন্ন কোন আঙ্গিকে।
যা চোখে পড়েছিল সকলের।
তাই আজো মুখোশের আড়াল হতে
কানে ভেসে আসা বহু কথা,কিছু ভুলে যাওয়া
কিছু ভুলতে না পারা,
সহ্য করেও বেঁচে থাকার অভিনয়
প্রতিনিয়তই করে যেতে হয়,
পঙ্কিল সরোবরে প্রস্ফুটিত শতদলের মতই
জীবন এগিয়ে চলে।
সূর্য ওঠে মধ্যগগনে, দীর্ঘাকৃতি ছায়াগুলো
ধীরে ধীরে ছোট হতে থাকে,
দৃপ্ত তেজে ভরপুর তুমি, নবীন যৌবন স্বাদে,
তারি মাঝে কোন এক শীতল বনে,ঘন ঘাসের কোলে
কোন এক সাদামাঠা মনের আয়নায়,
দেখা গিয়েছিল তোমার প্রতিচ্ছবি,
যা তুমি দেখেও দেখনি।
হয়তো করেছিলে উপেক্ষা,হয়তো বা তুচ্ছ আশঙ্কায়
ভাঙ্গা আয়নায় কোমল পদযুগল রক্তাক্ত হবার ভয়ে।
তাই এগিয়ে চললে তুমি,দৃপ্ত চাহনির দর্পভরে,
চারপাশের সমস্ত মাদকতাকে ম্লান করে দিতে দিতে।
সায়াহ্নে রাত্রির নেশায় সূর্যটা বিশ্রাম নিতে চায়,
পড়ন্ত আলোয় নিজেকে আবিষ্কার করি,
কোন এক বৃত্তের রেখায়।
বিলীয়মান সূর্যের রক্তিম আভা চোখে এসে পড়ে,
অবাক হয়ে খুঁজে পাই হঠাৎ তোমায়,
একই বৃত্তের অপর কোন প্রান্তে,
অপরূপ শোভায়।