আলুভাতে
আলুভাতে
যতদূর মনে পড়ে তোমাকে দিইনি কষ্ট ইচ্ছে করে,
হ্যাঁ, যা বলার মন খুলে বলেছি হয়তো স্পষ্ট করে।
তাতে যদি তুমি দুঃখ পেয়ে যাও ,
নিশ্চয়ই দুঃখ দিয়ে ফেলেছি ভুল করে।
কখনও কোনও কথায় যদি রেগে যাই
না ভেবে চিন্তে মুখে যা আসে দিই বলে।
মুখের কথাটাই দেখা যায়, অথবা যায় শোনা,
যায়না বোঝা মন তখন কি যে বলে।
হয়তো চেষ্টা করে কথা থামাতে,
কানে কানে মুখটাকে বলে হয়তো চুপ করতে।
সে কথা শোনার মুড তো তখন নেই মুখের,
ও যে তখন মহাব্যস্ত! হয়েছে মুখর !
মুখরা বদনাম জোটারও নেই কোনো পরোয়া,
তর্কযুদ্ধে যে জিততেই হবে, একেবারেই মরিয়া ।
তারপর যখন হয় সব চুপচাপ, আসে বরষা ঘনঘোর,
নাচেনা যে মনের বনে তখন একটাও ময়ূর।
যাক্ গে! ভুলেছি সেসব কথা অনেকদিন,
ভালো ভাবে থাকতে চাই বাকি আছে যে কটা দিন।
বলেছিলে ট্রেনে করে আসবে আমার বাড়ি!
কি দরকার করার এতো তাড়াতাড়ি?
যতদূর মনে পড়ে সিনিয়র সিটিজেন হতে,
তোমার হয়তো লাগবে আরও একটি বছর !
এসো তাহলে, না হয় বছর খানেক পর।
ট্রেনের ভাড়া টাও তখন বেশ পড়বে কম,
দাঁত পড়ে গিয়ে থাকবে নাহয় দু - একটা কম !
লুচি-পুরি না হয় নাইবা খেলে,
চলবেনা তো তখন খাওয়া ঝালে-ঝোলে-অম্বলে!
এমনিতেই তো লোকে তোমায় পেটরোগা বলে !
দেবোখন খেতে, মুড়ি গুঁড়ো করে মিক্সিতে,
ভাত খাবে ডাল দিয়ে, সাথে থাকবে আলুভাতে।
এগুলো খেতে তুমি ছোটোবেলাতেও ভালোবাসতে!
