আকাশ ছাতা
আকাশ ছাতা
শুকতারাই যে সন্ধ্যা তারা একথা তখনও শুনিনি,
আসলে যে তারা নয়, ওটা শুক্র গ্রহ তাও জানিনি।
কারেন্ট ছিল না বলে সাদা ধুতি পান্জাবীতে বর,
গলায় সাদা কাগজের মালা, মাথায় শোলার টোপর!
বিয়ে বাড়িতে এসে যেতো সন্ধ্যে নামার আগেই।
কনে দেখা আলোয় দেখে লাজে রাঙা বধুর মুখ,
রসায়ন না বুঝলেও অকারণেই পেতাম বড় সুখ।
হ্যাজাকের আলো থাকলেও হয়তো ঘুমের ঘোরে,
সাজগোজ, আর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখা হতোনা পরে।
তাই খোলা আকাশের নীচে ছাদ অথবা ছাতা নেই,
আনন্দ লুটে নিতাম, এমন ছাদনা তলাতে বিকেলেই।
আগ্রহে চুপ করে বসে দেখা হ্যাজাকের ম্যান্টেল,
জ্বালাতে পারা হিরো, আমার মামা কাকারাই ।
বৃষ্টি বাদল ছাড়া দিনে হঠাৎ কোনো কোনো বিকেলে,
খেলতে যাবার ছাড়পত্র মিলে যেত আমার কপালে।
ফিরে আসতে হবে ঘরে একটি তারা ফোঁটার আগেই,
গম্ভীর মুখ দেখতে হবে বড়দের শর্তটা না মানলেই ।
যদি কোনোদিন আকাশে সন্ধ্যাতারা একা দেখা দেয়,
আকাশ ছাতা অনায়াসে চুরি করে নেয় আমার সময়,
আরেকটি তারা ফুঁটে ওঠা দেখানোর আশায়।
বড় হতে হতে অনেক কিছুই বুঝে যাই একা একাই,
এখন জানি, ঘুম ভেঙে সকালে কাউকে মনে পড়লে,
এটা জানা কথা,ভক্তি লুকিয়ে আছে হৃদয়ের অতলে।
রোজ সন্ধ্যায় যদি কাউকে মনে পড়ে যায়,
তার প্রতি মনটা, ভরা আছে ভালোবাসায়।
দিনরাত চিন্তায় যদি কেউ উঁকি দেয় মাঝে মাঝে,
তাঁর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা, মনে দুটোই আছে।
হতে পারে মানুষ, দেবতা বা আল্লাহ ঈশ্বর ভগবান,
ধর্ম বা ভালোবাসা , নাম যাই হোক সব পথ সমান।
আমরা পৃথিবীর সকল বর্ণ ও জাতির মানুষেরা,
চলো ভেদাভেদ ভুলে এক ছাতার তলায় নিই স্হান।
মনুষ্যত্ব মহান, সকলের হৃদয়েই আছে পবিত্র প্রাণ!
