Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Agniswar Sarkar

Inspirational Others

3  

Agniswar Sarkar

Inspirational Others

কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়

কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়

2 mins
317


পাঞ্জাবের কোটলী প্রদেশ থেকে আসা সঙ্গম রাই ছিলেন বর্ধমান রাজ পরিবারের প্রাণ প্রতিষ্ঠক । সেই সময় রাজধানী স্থাপিত হয় বর্ধমানে । বর্ধমান রাজ পরিবারের প্রথম গঙ্গা আবাস ছিল দাঁইহাটে , পরে বর্গীর আক্রমণের জন্য তাঁরা তা কালনাতে স্থানান্তরিত করেন । পরে কালনা পরিবর্তিত হয় বর্ধমান রাজাদের দ্বিতীয় রাজধানী হিসাবে ।

সময়টা ছিল ১৬শ শতকের মাঝামাঝি , বিদ্যানুরাগী মহাতাব চাঁদ বাহাদুর তখন বর্ধমানের অধিপতি । ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত কালনায় দুটি মিশনারি স্কুল ছিল , তার মধ্যে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন রেভারেন্ড লালবিহারী দে । এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের চারজন সদস্যের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের বিরোধিতা করে তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয় , তারানাথ তর্কবাচস্পতি , সদরালা জজ পণ্ডিত তারাকান্ত ভট্টাচার্য মহাশয়ের সহযোগিতায় হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় ও তারানাথ তর্কবাচস্পতি মহারাজ মহাতাব চাঁদ বাহাদুরের কাছে এই বিদ্যালয়টি(তৎকালীন হিন্দু স্কুল ) নিয়ে দরবার করেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় ও তারানাথ তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের পরামর্শে কালনার সকল শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগন ১৮৬৮ সালের ১লা জানুয়ারী প্রতিষ্ঠা করেন কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের । বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ১০০ বছর মূলত বর্ধমান রাজাদের অর্থানুকূল্যে বিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধি বজায় ছিল । ১৮৬৮ সালের তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী এই বিদ্যালয়ের নাম ছিল Culna Maharaja’s H.E School ( C.U 1868) । ১৮৭১ সালে এই বিদ্যালয় থেকে শ্রী বরদাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও রাধাপ্রসন্ন গুপ্ত প্রথম এন্ট্রান্স পাশ করেন । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষক মহাশয়রা গৌরবের সঙ্গে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন । বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন চুনীলাল বসু । ১৯১৩ সালে এই বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন ছাত্র এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিল , ১৩ জনই প্রথম বিভাগে পাশ করে ছিল । ১৯৩৬ সালে বাংলা – বিহার – উড়িষ্যার মধ্যে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল এই বিদ্যালয়েরই ছাত্র । সাম্প্রতিককালে একাধিক ছাত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে । অতীতে স্কাউটেও সুনাম ছিল এই বিদ্যালয়ের , রাজ্যে চ্যাম্পিয়ানও হয়েছিল । বর্তমানে বিদ্যালয় ১৫০ বছরে পদার্পণ করেছে । মহামান্য রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী সার্ধ শতবর্ষের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন । সারা দেশে এমনকি পৃথিবীর সারা প্রান্তে কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছড়িয়ে রয়েছে । 

২০১৮ সালের ২৪শে জুন স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় সেরা স্কুলের শিরোপা পেয়েছে কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয় 


তথ্যসূত্র ও চিত্র – অগ্নিশ্বর সরকার


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational