মুক্তি নাকি বন্দি
মুক্তি নাকি বন্দি
বিকাশ এই শহরের একজন নামকরা ব্যবসায়ী। অর্থনৈতিকভাবে চরম সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে ও মোটেও সুখী নয়। নিজের সেক্রেটারি পামেলার সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটাও ওর জীবনের একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এখন পামেলাও ওকে বিয়ের জন্য জোড় দিচ্ছে, অন্যদিকে ওর স্ত্রী রোহিণীও ওকে ডিভোর্স দিতে চাইছে না। এখন ও এই সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে চায়। নতুন বছরে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে চায়। তাই অনেক ভেবেচিন্তে একটা ভয়ঙ্কর প্ল্যান কষে ফেলে যাতে পামেলাকে খুন করে সব দোষ রোহিণীর উপর দেওয়া যায়। তাহলে ও সব দিক থেকেই মুক্তি পেয়ে যাবে। তাই বর্ষবরণের রাতে সবাই আনন্দ উল্লাসে মাতোয়ারা হলেও বিকাশ ব্যস্ত ওর সমস্ত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে। শেষমেশ নিজের কাজে সফলও হয়। পুলিশ এসে সবকিছু দেখে রোহিণীকেই দোষী ভেবে ধরে নিয়ে যায়। দুদিন পর ওর কেসটা কোর্টে উঠবে। সবকিছুই বিকাশের পরিকল্পনা মতো ঠিকঠাকই যাচ্ছিল। এমনকি কোনো উকিলও রোহিণীর কেসটা নিতে চাইছিল না। এমন সময় রোহিণীর কলেজ জীবনের এক বন্ধু, কৌশিক সেন, যে পেশায় একজন বিখ্যাত উকিল, সে রোহিণীর কেসটা আদালতে লড়তে চাইল। বিকাশের সব আশায় জল ঢেলে দিয়ে রোহিণীকে নির্দোষ প্রমাণ করে দিল কৌশিক। শুধু তাই নয়, সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে আসল অপরাধীকেও উচিত শাস্তি পাইয়ে দিল। বিকাশ সবকিছু থেকে মুক্তি চেয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের নিদারুণ পরিহাসে আজ থেকে ও সারাজীবনের জন্য জেলে বন্দি হয়ে গেল।