ত্রিভুজ ( পর্ব -১ )
ত্রিভুজ ( পর্ব -১ )
সংসার জীবন বেশ ভালোই কাটছিল নুপুরের। প্রদ্যুতের সাথে বিয়ে করে কোন ভুল হয়তো সে করেনি। একান্ন বর্তী পরিবার। শশুর, শাশুড়ি, নোনদ, কাকা শশুর ভুই দা। ভুই দা হলেন তার শশুর বাড়ির একজন কাজের লোক কিন্তু পরিবারের একজন সদস্যর মতোই থাকে এই বাড়িতে। আর চম্পা দি সেও এই বাড়ির রান্না বান্না, বাড়ির দেখভাল সবটাই করে একদম নিজের বাড়ির মতো করে। মাত্র দুই মাস হলো নুপুর এই বাড়িতে এসেছে কিন্তু তার একবারটিও মনে হয় নি সে এখানে নতুন। ভুই দা আর চম্পার মধ্যে একটা দুস্টু মিস্টি প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। প্রথম প্রথম তাদের এই সম্পর্ক দেখে নুপুরের একটু কষ্ট হতো কারণ তার জীবনে প্রেম একটি অভিশাপের নেয়, তারজীবনে কেউ একজন ছিলো যে তার সাথে প্রতারণা করে চলে গিয়েছে এটা নুপুরের ধারণা। আর এইরূপ ধারণা হবেইনাবা কেন? তিন মাসের জন্য অফিসের একটি কাজে যাওয়ার পর তিন তিনটে বছর কেটে গেল কোন খবর না মেলায় অবশেষে বাবা মায়ের অনুরোধে একরকম অনিচ্ছা সত্য এই বিয়ে করা। তবে এখন আর কোন অসুবিধা হয়না তার। প্রদ্যুত একজন সাইক্রাটিস্ট মানসিক ভারসম্যহীন মানুষের মাঝখানে থাকলেও তিনি কিন্তু খুব নরমাল ভাবেই প্রতিটি মানুষের সাথে মেলামেশা করেন তিনি।
সংসারের মানুষদের ভালোবাসায় নুপুর বিশালের সাথে কাটানো সামগ্রিক স্মৃতি প্রায় ভুলেই গিয়েছিল সে, কিন্তু ভবিতব্য তাকে বদলাবে কে? আগেরদিন রাতে প্রদ্যুত জানিয়েছিল তার একটি পেসেন্টকে বাড়িতে আনবেন তাদের বাড়ির গেস্ট হাউসে রেখেই সে তার চিকিৎসা করবে। নুপুর বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিয়ে তাকে অনমতি দিয়েছিল কিন্তু তখনও সে ভাবেনি তার এই অনুমতি আবার তার জীবনে অতীতটাকে আবার তার সামনে এভাবে উপস্থিত করবে।
প্রতিদিনের নেয় প্রদ্যুত হসপিটালে বেড়িয়ে যায়। তখনও সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো। ব্রেকফাস্ট টেবিলে সকলে মিলে একটা সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছিল তারা। টিফিন বক্সে দুপুরের খাবার প্যাক করে গাড়ি পযর্ন্ত প্রদ্যুতকে এগিয়েও দিয়ে আসে নুপুর। সবকিছু সেরে বিছানায় শুয়ে ফোন ঘাঁটছিলো সে একবার ফোন এলো প্রদ্যুতের প্রদ্যুত জানালো ছটায় মধ্যে সে ছেলেটিকে নিয়ে বাড়িতে আসছে ভুইদা যেন গেস্ট হাউসটা পরিষ্কার করে রাখে। সকাল থেকেই ভুইদা একটু ব্যাস্ত ছিলেন তাই অবসর সময়ে নুপুর নিজেই গোছগাছ করে দিয়েছিল গেস্ট হাউহটা। সে প্রদ্যুতকে জানালো ওসব তোমাকে চিন্তা করতে হবেনা সব হয়ে গিয়েছে, তুমি ওনাকে আনতে পারো। তখনকি নুপুর বুঝতে পরেছিলো তার হাসবেন্ট তার ফেলে আসা অতীতকেই কুড়িয়ে আনতে চলেছে।
ঠিক কি ঘটল সন্ধা ছটায় সময়? তারপর কি ঝড় আসলো নুপুরের জীবনে সবটাই তোমাদের জানাবো তবে তাজন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে আর চোখ রাখতে হবে ত্রিভুজে আগামী পর্বের জন্য।
চলতে থাকবে.......।

