সংসার আর ঝুট ঝামেলা
সংসার আর ঝুট ঝামেলা


পামেলা কলেজে বসে বন্ধুদের দেখালো কাল বার্থডে তে আমার বাবা এটা দিয়েছে । উর্মি বলে উঠলো, "সোনার আংটি! বা..বা.. কি বলছিস রে.. কাকু তোকে আংটি গিফট করলো।"
অদ্রিজা বললো, "সত্যি .. আমার জন্মদিনে তো শুধু পায়েস মায়ের হাতের আর নইলে নতুন একটা জামা।"
উর্মি বললো, "হ্যাঁ আমারো ও তাই জানিস তো। আচ্ছা গতবছর ও তো তোকে বার্থডে তে একটা কানের দুল দিয়েছিলো না?"
পামেলা তখন বললো, "আমি প্রতিবার বার্থডেতেই একটা করে সোনার জিনিস বাবার কাছ থেকে নিই। দেখ আমার দাদা আছে। বাবার যা আছে তা তো ভাগ হবেই। আমার বিয়ে হয়ে গেলে তো আমি চলেই যাবো কিন্তু মেয়ে হিসেবে আমারো ও তো কিছু দাবি আছে তাই না। আর এখন থেকেই তাই সোনাটা নিয়ে রাখছি। মার যা আছে তা থেকে পাবো কিন্তু সেটাতে আবার দাদার বৌ এর ও অধিকার থাকবে। "
উর্মি সুর টেনে বললো, "এখন থেকেই তুই কত কি গুছিয়ে প্ল্যান করছিস , আমি তো এসব কিছুই ভাবি না আমারো ও তো একটা ভাই আছে।"
অদ্রিজা ও তাল মিলিয়ে বললো, "আমাদের পামেলা একটু বেশি হিসেবী। যাই হোক তা তোর বয়ফ্রেন্ড কি দিল বল?"
পামেলা বললো, "আর বলিস না তুষার এর এক্সাম চলছে তাই ফোনেই উইস করেছে। আর আমি আমার ম্যারেড লাইভটা কে সুন্দর দেখতে চাই বুঝলি! কোনো অশান্তি কোন ঝুট ঝামেলা থাকবে না। তাই হিসেবে করেই চলতে চাই।"
সন্ধ্যেবেলা সোফায় বসে পামেলা ভলিউম জোরে দিয়ে টিভি দেখছে। রান্না ঘর থেকে পামেলার মা চিৎকার করে অয়ন.. বলে ডাকলো দুবার । অয়ন পামেলার দাদা। অয়ন বেরিয়ে এলো পাশের ঘর থেকে, এসেই বললো," এত জোরে টিভি দেখছিস যে মার ডাক শুনতেই পাচ্ছিলাম না। ভলিউম টা কমা। "
পামেলা বলে উঠলো," আর তুই যখন সাউন্ড বক্স এ গান শুনিস , সেটা কিছু নয় না।"
অয়ন বললো, "আমি দরজা বন্ধ করে শুনি। তোর মতো এরকম নাকি।"
পামেলা ওমনি রেগে গিয়ে, "এটা আমার ব্যপার তোর কি রে?, আমি জোরে শুনি বা আস্তে শুনি"।
অয়ন বললো," তুই দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছিস, পড়াশোনায় তো কোনো মন নেই সারাদিন শুধু প্রেম আর প্রেম। "
পামেলা আবার জোরে বলে উঠলো, "আমি প্রেম করবো না রাস্তায় হাঁটতে যাবো আমার ব্যপার তুই বলার কে? "
পামেলার মা ঘরে ঢুকলো আর বললো," উহঃ তোরা থামবি আর পামেলা, দাদার সাথে এভাবে কথা বলছিস কেন?"
পামেলা আবার বলে উঠলো," ও.. তুমি তো দাদার কোনো দোষই দেখতে পাও না। সবসময় আমাকেই বলো। "
পামেলার মা আবার বললো, "ভলিউমটা কমিয়ে শোনাই তো ভালো, ঘরে এত আওয়াজ অস্বস্তি হচ্ছে না তোর, কথাটা বলেই অয়নের দিকে তাকিয়ে বললো, একটু বাজারে যা না বাবা ..কয়েক টা জিনিস নিয়ে আসতে হবে।"
কয়েক দিন বাদে পামেলার সাথে তুষার এর দেখা হলো। তুষার এর বাড়ি পাটনায় । কোলকাতার হোস্টেলে থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। তুষার অবাঙালী ছেলে।
তুষার বললো," পমেলা, দে..খো. মুঝে কুচ রুপিয়া চাহিয়ে। ম্যায় বাদ ম্যা বাপাশ কর দুংগা।পাটনা সে রুপিয়া নেহি ভেজ পায়ে মেরে পাপা , ইসলিয়ে তুমে বাতা রেহি হু।"
পামেলা বললো ,"ঠিক হ্যায়। কিন্তু আগের মাসেই তো তোমায় দিয়েছিলাম ফিরসে ইস মাইনে ম্যা কাহাসে লাউনগি।
আমি যদি আমার বাবা মাকে বলি ওরা রেগে যাবে , আর দাদা ও।"
তুষার বললো, "প্লিজ পামেলা দেখো না প্লিজ এক বুক লেনে হ্যা, পড়াইকে লিয়ে...। "
পামেলা তুষার কে নিয়ে সবসময় একটা সুন্দর সংসার এর স্বপ্ন দেখতো আর তাই তুষার এর মন যুগিয়ে চলার চেষ্টা করতো। নিজের বাড়িতে সবার সাথে অশান্তি করলে ও, তুষার এর সাথে সবটা ঠিক রাখার চেষ্টা করতো।
কিছু বছর কেটে গেলো......
তুষার এখন কানপুরে চাকরি করে। তুষার এর বাবা মা পামেলা কে ঠিক মেনে নিচ্ছিল না।
তুষার পমেলাকে বললো ফোনে," দে.খো পামেলা তুমারি মাম্মি পাপা কো বলো মেরি মাম্মি পাপা সে বাত করনে কে লিয়ে। ম্যরি বাত তো ও লোক শুন নেহি রাহা হ্যায়।"
পামেলা বললো, "শাদী হয়ে গেলে ,ম্যায় তুমারে সাথ কানপুর ম্যে হি রাহুগি তোহ..।"
তুষার বললো, "হা.. হা হাম একসাথ হি রেহেঙ্গে।"
পামেলার বাবা ও মা তুষার এর বাবা ,মাকে রাজি করালো।
পামেলার বাবা নীহার বাবু বললেন," এই পরিবারটা আমার এমন কিছু ভালো লাগলো না তাও তোর জন্য আমি এদের সাথে কথা বললাম।"
পামেলা র মা বললো, "পামেলা আমার ও এদের এমন কিছু ভালো লাগেনি। "
পামেলা বলে উঠলো, "আমার কোনো ডিসিশনই তো তোমাদের ভালো লাগে না, দাদা হলে এসব কথা বলতে পারতে? আর বিয়ের পর তো আমি কানপুরে থাকছি তুষার এর সাথে। ওর বাবা মায়ের সাথে না। "
অয়ন তখন বললো, "আমার তো এই ছেলে টাকেই ডাউট লাগে মাঝেমধ্যে। "
পামেলা বললো, "শোন দাদা ও না তোর মতো সাধারন স্টুডেন্ট ছিল না যথেষ্ট ব্রিলিয়েন্ট আর হাই ফাই চাকরি করে তোর মতো পাতি না। তাই ওর স্ট্যান্ডার্ড টা তুই বুঝবি ও না। যাই হোক দেখো বাবা তুমি আমাকে বিয়েতে কি কি দিচ্ছো সেটা বলো।"
অয়ন বললো, "এমন ভাবে বলছিস যেন জীবনে কোনদিন আর এই বাড়িতেই আসবি না বিয়ের পর। এতো হাই ফাই হয়ে যাস না যে বাবা মা কেই ভুলে গেলি। "
পামেলা বললো, "বাবা মা তো চিরকাল তোর কথাই বেশি ভেবেছে।"
পামেলার মা বললো, "এ কথাটা তুই বলতে পারলি? যখন যা চেয়েছিস তাই দিয়েছি। আর আজ তোর কথা ভেবে তুষার এর বাবা মায়ের সাথে কথা বললো তোর বাবা, ওনারা তোর বাবার সাথে ভালো ব্যবহার ও করেননি তাও তোর কথা ভেবে তোর বাবা চুপ ছিল।"
কিছু দিনের মধ্যেই বিয়েটা হয়ে গেল। পামেলা পাটনায় এখন, আর তুষার কানপুরে। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পাটনায় তুষার এর বাবা মা দিন রাত পামেলার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করলো। বাড়ির সমস্ত কাজ পামেলা করতে করতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে এখন। একদিন ফোনে তুষার কে পামেলা বলছে," তুমারা মাম্মি পাপা মেরে সাথ আচ্ছি বিহ্যভ নেহি করহতে হ্যায়। সারাদিন ঘরকা পুরা কাম মুঝকো করহনা পড়তা হ্যায়।"
তুষার তখন বললো, "তুম ঘরকা বহুউ. হো তো কাম করনা হি পড়তা হ্যায় না। অর উনলোগোসে অ্যাডজাস্ট করকে রেহেনা শিখলো।"
পামেলা বললো, "দে.খো. তুমারা মাম্মি কুচ হেল্প নেহি করতে , হার বকত ফরমাইস চলাতে হেএ মেরে উপর। ম্যায় ভি তো এক্ ইনসান হু, আমি ও এখন অসুস্থ হয়ে পড়ছি । তুমি আমায় কানপুরে কবে নিয়ে যাবে ?বোলো না...। "
তুষার পামেলার কথার গুরুত্ব না দিয়ে ওর বাবা মার পক্ষপাতিত্ব করতে থাকলো। পামেলার এক ননদ আছে ।সে পামেলাকে খুব পছন্দ করে কিন্তু মায়ের ভয়ে কোনো সাহায্যই করতে পারে না।
একদিন খাবার এর টেবিলে পামেলার শ্বশুর রান্নাটা ভালো হয়নি বলে বিরক্তি দেখালো ওমনি পামেলার শাশুড়ি বলতে শুরু করলো," তুমকো ক্যায়া তুমারে মাম্মি ইতনিভি নেহি শিখায়ি, ক্যায়া কারু ইস লেড়কি কো লেকার , কুচ কাম কা নেহি.. । "
তখন পামেলা বলে উঠলো, "দেখিয়ে ম্যায় তো পুরি কোসিস্ কররেহি হু না.., অর এ সবজি ডাল ইতনিভি নেহি বুরা হুয়া যো আপলোগ খা নেহি শাকতে।"
পামেলার শাশুড়ি আবার বলে উঠলো, " তুম মু লাগাকার বাতে কররেহি হো ম্যারে সাথ। ইতনা সাহস্ ছি ছি.. কিস তারা সে বড়োসে বাতে করতে হ্যা এ ভি নেহি শিক পায়ে তুম।"
এই ভাবে বেশ খানিকটা কথা কাটাকাটি হয়ে গেলো , পামেলা নিজের ঘরে এসে একাই কাঁদতে লাগলো আর মনে মনে ভাবতে লাগলো, সে তার মায়ের সাথে দাদার সাথে কত খারাপ ব্যবহার করেছে এই বিয়েটার জন্য আর আজ সে বুঝতে পারছে সে ভুল করছে।এই অশান্তি , ঝামেলা সে কখনই চায়নি ।ভেবেছিলো স্বপ্নের মতো একটা সংসার হবে তার কিন্তু এখন.....ভাবতে ভাবতে পামেলার চোখ দিয়ে জল পড়তেই থাকলো।
কিছু মাস পর তুষার বাড়িতে এলো। পামেলার সময়টা তখন ভালোই কাটলো। ছেলের সামনে তুষার এর মা পামেলার সঙ্গে ভালো ব্যবহারই করলো।
পামেলা তুষার কে আবার বললো, "আমাকে কবে এখান থেকে নিয়ে যাবে? তুষার জানালো সে হয়তো আবার অন্য জায়গায় যাবে ট্রান্সফার হয়ে ,কানপুরে থাকবে না তাই এখুনি সে নিয়ে যেতে পারবে না। "
পামেলা তখন বললো, "স্বাদি সে প্যহেলে তুমনে কাহা থা হাম সাথ সাথ রেহেঙ্গে।"
তুষার বললো," আব ক্যায়া হাম সাথ নেহি হ্যায় তুমারে। যাব চাহো তুম মুঝে কল করলেনা ওর জলদিসে ম্যায় সিফ্ট হোকে তুমকো লে যাউঙ্গি ।"
তুষার চলে গেলো। আর তার কিছু দিন পর পামেলা বুঝলো সে প্রেগন্যান্ট। তুষার খুব খুশি হলো খবরটা শুনে আর তার পরিবারের লোকেরা ও এই খবর শুনে ভালো ব্যবহার করতে লাগলো। পামেলা তার বাড়িতে জানালো আর বললো তাকে যেন এই সময় এখান থেকে এসে নিয়ে যায়
কিন্তু পামেলার মা বললো , "তোর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই তোর দাদা আর আমি সেই নিয়ে খুব ব্যস্ত তাই তুই একটু কষ্ট করে ওখানেই থেকে যা ।পরে আমরা নিয়ে আসবো তোকে।"
পামেলা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিল আর তারপর শুরু হলো আবার অশান্তি।
পামেলার শাশুড়ি বললো, "ম্যায়নে সোচা থা বেটা আয়েগা ,হামার ঘর্ রোশোন ক.রেগা ।"
পামেলা বলে উঠলো, "কিউ বেটা অর বেটি ম্যায় ক্যায়া ফরাক হ্যায় আপ ভি তো এক বেটি হ্যায়। বেটিয়া তো আজকাল কিতনা কুচ কর রেহি হ্যায়।"
পামেলার শাশুড়ি চিৎকার করে তার শ্বশুর কে ডেকে বলে উঠলো, শুনিয়ে জি ইধার আকে একবার দেখিয়ে, ঘরকা বহু হোকার মুঝসে কিসতারা সে বাতে কর রেহি হ্যায়, এ লেড়কি। এরপর প্রতিদিন পামেলাকে ছোট করা নানান কথা তুলে তার সঙ্গে ঝামেলা করা এসব শুরু হলো। পামেলা তুষার কে ফোন করে বললো আমি চলে যাচ্ছি এখানে থাকা অসম্ভব।
পামেলা মেয়েকে নিয়ে তার বাপের বাড়ি এলো। কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। পামেলার মা বোঝালো তাকে কান্না থামাতে বললো। তখন পামেলা অয়নকে বললো, "দাদা পারলে আমায় ক্ষমা করিস্। অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি আগে তোর সাথে এই বিয়েটা নিয়ে । ভেবেছিলাম আমিই ঠিক ।"
অয়ন তখন বললো, "আরে আমি তোর দাদা তোর কথায় কিচ্ছু মনে করিনি। আচ্ছা তোর শ্বশুর বাড়ি ভালো নয় কিন্তু তুষার তো ভালো ছেলে ।ও তো তোর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি তাহলে এত আপসেট হচ্ছিস কেন? সব ঠিক হয়ে যাবে দেখিস।"
কিছুদিনের মধ্যেই তুষার তার বোন এর কাছ থেকে সব কথা জানতে পারলো। তখন সে বুঝতে পারলো পামেলার কথা তার আগেই শোনা উচিত ছিল । পামেলার কাছে গেল আর সব কিছু, তার বাবা মায়ের ব্যবহার এর জন্য ক্ষমা চাইলো আর ও বললো সে মেয়েকে এবং পামেলাকে নিয়ে একসাথে থাকতে চায়। পামেলা কে আর সে পাটনায় রাখবে না।
কিন্তু পামেলা জানালো, "সে তার বাপের বাড়িতেই থাকবে এখন থেকে মেয়েকে নিয়ে । সে অন্য কোথাও যাবে না।"
পামেলা বললো," ম্যায় নেহি যাউঙ্গি। ম্যায় ইয়ে স্বাদিকো কো লেকার এক আচ্ছে স্বপ.নে দেখেথে। ম্যায়নে সোচাভি নেহি থা ইতনা কুচ হোগা।ইয়ে সব ঝুট ঝামেলা। মুঝে নেহি রেহেনা হ্যায় তুমলোগোকে সাথ। ম্যায় এহি রাহুঙ্গি।"
তুষার তখন বললো, "প্লিজ.. পামেলা তুম দিল ছোটা মত্ করো ।মুঝসে গলতি হো গেয়ি। সরি.. পামেলা। মাফ কর দো... ।ম্যায়নে সোচা নেহি থা মেরি পাপা মাম্মি ইতনা বুরা হোসাকতা হ্যায়।"
পামেলা ঘরে চলে গেলো।
পামেলার মা বললো, "দেখো বাবা ও এখন অভিমান থেকে এরকম করছে। পরে আমরা ওকে বোঝাবো সব ঠিক হয়ে যাবে।"
অয়ন বললো, "তুষার তুমি একটু সময় দাও। আসলে ও ছোট থেকে যা চেয়েছে যেমন চেয়েছে তেমনি পেয়েছে আর বিয়ে করা নিয়ে ওর খুব স্বপ্ন ছিল কিন্তু এই সব তোমার বাড়ির লোকজন এর ব্যবহার ওকে খুব কষ্ট দিয়েছে। আস্তে আস্তে দেখো পামেলা ঠিক তোমার কাছে ফিরে যাবে। "
পামেলার মা বললো, "তুমি পামেলার ঘরে যাও। আজ দিনটা থেকে না হয় ফিরো।"
তুষার পামেলার রুমে গেলো আর বাচ্চার কাছে গিয়ে বাচ্চা কে আদর করতেই বাচ্চাটা কেঁদে উঠলো।
তখন পামেলা বলে উঠলো ,"জাগা দিয়া না উসকো। কত কষ্ট করে ঘুম পাড়ালাম আর তুম ... ওহ্ ।"
তুষার বললো, "ম্যায় মেরি বেটি কে সাথ খেলেঙ্গে আব ।"
পামেলা বললো, "না.. ও এখন ঘুমোবে ।এটা ওর ঘুমের সময়... "
তুষার বললো, "হর বাকত শোয়েগি তো খেলেগি কাব? মেরি বেটি তুমারি তারা লেজি নেহি হ্যায় যো হার বকত্ .. "
সঙ্গে সঙ্গে পামেলা বলে উঠলো, "কি আমি লেজি..।"
আর এইভাবে দুজনের মধ্যে খুনসুটি শুরু হয়ে গেলো মেয়েকে নিয়ে... শুরু হলো ওদের নতুন এক পথ চলা।