সকালবেলার ফুল
সকালবেলার ফুল
তিথি তার বাবাকে সোহমের ব্যাপারে আগেই জানিয়েছিল। সে কথাও বলে সোহমের বাবা- মা বিয়ের ব্যাপারে তার সাথে
বলতে আসবেন ।তাই তিনি আজ নার্সিং হোম গেলেন না।
সোহমের বাবা মা বাড়িতে এলে তিথি তাদের আপ্যায়ন করে ঘরে নিয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর তিথির বাবা সুদীপ্ত সেই ঘরে এলেন। করজোড়ে তাদের নমস্কার বললেন।
" একি তুই! শ্রেয়া তুমি এসব জানতে?"তমাল বলল শ্রেয়া নিজেই হতবাক। কোন উত্তর দিতে পারলো না।
"কি হলো বাবা আঙ্কেল এভাবে কথা বলছে কেন?"
সুদীপ্ত তিথির কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলো না।
তমাল এক মুহূর্ত আর সেখানে দাঁড়ালো না। পিছন পিছন শ্রেয়াও গাড়িতে এসে বসল।
ফেরার সময় শ্রেয়া আর তমাল কারো মুখে কোন কথা ছিল না।
**********
"এই শোন সায়েন্সের সুদীপ্ত তোকে চিঠিটা দিয়েছে।"
মধুমিতা চিঠিটা দিয়ে গেল।
শ্রেয়া ভয় পাচ্ছে সে যে কাগজটা নিল কেউ দেখে ফেলল না তো। কাকিমার কানে কথাটা গেলে আর রক্ষে নেই। টিফিন টাইমে চিঠিটা খুলে দেখল তাকে চারুচন্দ্র লেনের পার্কে বিকেল পাচটায় দেখা করতে বলেছে। স্কুলজীবন থেকে শ্রেয়া আর সুদীপ্তর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তমাল আর শ্রেয়া একইস্টিমে পড়ে। একটা কোণায় দাঁড়িয়ে শ্রেয়া চিঠিটা পড়ছিল।
তমাল শ্রেয়াকে দেখতে পেয়ে বলল
" এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস?"
"কিছু না।"
"তোর হাতে ওটা কী?"
"কই কিছু না তো।"
" এই শোন তোকে আমার কিছু বলার ছিল।"
"বল কি বলবি।"
"আমি তোকে ভালোবাসি।"
"তুই-ই " তাচ্ছিল্যের হাসি ছিল শ্রেয়ার ঠোঁটে।
"কেন ! আমাকে তোর পছন্দ নয়।"
"আসলে ঠিক তা নয়। আমি তোকে বন্ধু ছাড়া আর বেশি কিছু ভাবি না।"
গাড়িটা হঠাৎ জোরে ব্রেক কষতেই শ্রেয়া সামনের দিকে ঝুঁকে পড়লো।
তমাল গাড়িতে এই প্রথম কথা বলল
" ওপরের হাতলটা ধরে বসো।"
চলবে..

