সকালবেলার ফুল (প্রথম পর্ব)
সকালবেলার ফুল (প্রথম পর্ব)
" সোহম উঠে পড় বাবা। প্রায় সাড়ে আটটা বাজতে চলল।"
" হুম। উঠছি ।" বলে পাশ ফিরে শুলো।
শ্রেয়া জানে জানলার পর্দাগুলো সরিয়ে দিলে চোখে আলো লাগলেই এক্ষুণি উঠে পড়বে।
"ওহ্ মা। একটু শান্তিতে শুতে দাও না।"
" ঘড়িটা দেখেছিস? এরপর বেরবার হুড়োহুড়ি পরে যাবে। মা এটা দাও। ওটা কোথায়? আমি আর পেরে উঠছি না।"
সোহম বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে গেল। শ্রেয়া তার বিছানা ঝেড়ে পরিষ্কার করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল
" ও মা একটা কথা ছিল।"
শ্রেয়া পিছন ঘুরে বলল
"কী কথা?"
"বাবার কাছ থেকে দুশো টাকা ম্যানেজ করে দাও না।"
"এতো গুলো টাকা নিয়ে কি করবি?"
"দেখ বাবু এই নিয়ে অনেকবার হলো। তোর বাবা নেহাত ভালো মানুষ তাই যা চাই দিয়ে দেন। কিন্তু একবার যদি জানতে পারেন টাকাগুলো তোকে দিই তাহলে আর রক্ষে থাকবে না। বাবার টাকায় গার্ল ফ্রেন্ডকে সিনেমা দেখা আর খাওয়াতে তোর লজ্জা করে না?"
"প্লিজ মা। কটা দিন একটু ম্যানেজ করে দাও। M.scটা পাশ করে একটা চাকরি ঠিক জুটিয়ে নেব। তবে তিথির ব্যাপারটা তোমাকেই বলতে হবে বাবাকে।"
"ভালো চাকরি না পেলে তিথি বাবার সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো? আর তোর বাবাকেই বা কি বলবো?"
"ও সব চিন্তা করো না তুমি। আমি মন দিয়ে পড়াশোনা করছি। একটা ভালো চাকরি জোগার করে নেব।"
শ্রেয়া হাসল আর মনে মনে বলল
"তাই যেন হয় ঠাকুর।"
সোহম মাস্টার্স কমপ্লিট করে ভালো চাকরি পেয়ে গেল। শ্রেয়া তার স্বামী তমালকে বলল
"সোহম একটা মেয়েকে ভালোবাসে আর তাকেই বিয়ে করতে চায়।"
"ভালোই তো এখন সে স্বাবলম্বী নিজের ভালো মন্দ বুঝতে শিখেছে । এতে আপত্তির তো কিছু নেই।"
"শুনেছি মেয়েটার মা নেই। বাবা আছেন। একবার তার সাথে কথা বলা দরকার । দেখি সোহমকে বলব ওদের বাড়ির ঠিকানাটা দিতে।"
"বেশ চলো । আমরাই না হয় প্রস্তাবটা নিয়ে যাই।"