শ্রেণী কক্ষ
শ্রেণী কক্ষ
শ্রেণী কক্ষ বলতে আমরা সবাই বুঝি হলো যেখানে সবাই একসাথে ক্লাস করি। কিন্তু আমার কাছে শ্রেণী কক্ষ ছিল এক বিশাল আড্ডা খানা, শ্রেনী কক্ষটি ছিল প্রিয় মানুষের সাথে দেখা করার নিরাপদ একটি জায়গা। ক্লাসের সময় প্রিয়জনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসা। তাকে সবসময় বিরক্ত করা। স্যার না আসলে তার সাথে ৩০ মিনিট মনের আবির্ভাব প্রকাশ করা। আর ও কত কি!
বলতে গেলে শ্রেণি কক্ষ ছিল আমার কাছে কঠোর বাস্তবতার ভিতরে একটু আনন্দের জায়গা।
ভালোবাসা নামক শব্দটা শিখেছিলাম অই শ্রেণি কক্ষে।। ভালোবাসার মানুষটাও ছিল অই শ্রেনি কক্ষে। আর কি লাগে যদি থাকে প্রিয়জন আমার পাশে তাও ঘন্টার পর ঘন্টা। ক্লসে স্যার কি পড়াচ্ছে, তা কি খেয়াল রাখতাম,খেয়াল রাখতাম হলো সে কি করছে। তবে স্যার মানুষ কি আর এতো বুকা নাকি,, তারাও সব ই বুঝতো,বুঝলেই কি আর লাভ, আমি তো আর স্যার দের সামনে কখনো,, তার প্রতি আমার ভালোবাসা দেখাই নি।
তবে অই শ্রেণি কক্ষে এক সাথে বসে থাকার সময়,, তার মা যখন চলে আসতো, তখন মুহূর্ত টা কিন্তু বেশ জটিল হয়ে উঠতো। কি থেকে কি বলবো বুঝতে বুঝতেই সব শেষ মনে হয়, তবে তেমন কিছু হতো না।কারণ আমি ছাত্রটাও মুটামুটি ভালো ছিলাম,,তাই বলতাম গণিত টা বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমার মনে হতো,, আমার এই কথায় হইতো তার মা বিশ্বাস করে নিয়েছে।। কিন্তু ওর মা তো আর এতোটাও বুকা ছিল না। সব ই বুঝতো,, তবে আবার সেই এক ই কথা,, বুজেই কি লাভ,, আমি তো আর তার মার সামনে তার প্রতি ভালোবাসা দেখাই নি। এভাবেই চলতে থাকলো অনেকগূলো দিন। কিন্তু স্কুল লাইফের মেয়াদ শেষ হতে লাগলো,পাশাপাশি অই শ্রেণি কক্ষের ও।। এক সময় স্কুল থেকে বিদায় নিলাম পাশাপাশি অই শ্রেণি কক্ষ থেকেও,
এখন তার সাথে পাশাপাশি বসা হয় না।। তার সাথে বসে গল্প করা হয় না,, তার সাথে দেখা হইনা কত দিন হয়ে গেলো।
বাস্তবতার নির্মম ব্যবহার এর কারণ এ, আর পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে, সে এখন অন্য কারো।
তবে তার প্রতি ভালোবাসাটা আগের মতই বিদ্যমান।
।

