স্বর্ণলতার বিয়ে
স্বর্ণলতার বিয়ে


সোনার মতো গায়ের রঙ, স্লিম চেহারা, তম্বি যাকে বলে আর কি । বোস বাড়ির মেয়েটি সত্যিই স্বর্ণলতা। বোস বাড়ির সবাই স্বর্ণলতা বলতে পাগল, সকলের নয়নের মণি। স্কুল, কলেজে পড়ার সময় বহু বন্ধু বান্ধব স্বর্ণলতার
প্রেমে পাগল ছিল। স্বর্ণলতার কপালে ছিল না প্রেম করে বিয়ে।
এখন কলেজ জীবন শেষ করে স্বর্ণ বাড়িতে বসে আছে। বয়েসও বাড়ছে তুষের আগুনের মতো ধিক ধিক করে। বয়সের সাথে তাল দিয়ে শরীরে মেদ জমছে। বাড়ির লোকের মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছে ওর বিয়ে নিয়ে। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন যেমন দেওয়া তেমনি খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
>ভাগ্যের কি পরিহাস! যে মেয়ের জন্য ছেলে গুলো ইঁদুর ছানার মতো চারদিকে ঘুরুক ঘুরুক করতো আজ তার জন্যই ছেলে খুঁজতে হচ্ছে। ছেলে পছন্দ হলে দেনাপাওনায় আটকে যাচ্ছে। দেনাপাওনা সাধ্যের মধ্যে হলে ছেলে পছন্দ হচ্ছে না।
অবশেষে, স্বর্ণলতার একটা বিয়ের সম্বন্ধ পাকা হলো। মন্দের ভালো করে হলো একটা সাজানো বিয়ের ব্যবস্থা। সেখানে ভালোবাসা থাকবে কি না ভবিষৎ বলবে। কিন্তু, গয়না পড়িয়ে, মালাবদল করে, লোক খাইয়ে, স্বর্ণলতার বিয়ে, মানে অনেকটা আপদ বিদায় ঘটলো আর কি। তারপরে, ফুলশয্যার তত্ত্ব নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় চলছে, ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় আজ শোবে স্বর্ণলতা।