Debasmita Ray Das

Romance Inspirational

5.0  

Debasmita Ray Das

Romance Inspirational

রক্তিম ছোঁয়া

রক্তিম ছোঁয়া

8 mins
1.0K


          ।। ১।।

  এয়ারপোর্ট এ ওয়েট করতে করতে সায়ন্তির মন সেই একই চিন্তার আশেপাশেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। অর্ণবের কথাই ফিরে ফিরে আসছিল মনে। মাস দুয়েক আগে ব্রেকআপ হয়েছে তাদের। ঘা এখনো কিছুটা তাজা। তাই পরীক্ষা শেষ হতেই সাত তাড়াতাড়ি বাড়ির পথে। এমনি প্রত্যেকবার পুজোতেই সে বাড়ি আসে। আনন্দে ডগমগ করতে করতে। খালি এইবারই একটু বিষাদের ছায়া নিয়ে এল। লাগেজ চেক করে বাইরে আসতেই দেখল বাবা মা দাঁড়িয়ে সেই চিরকালীন হাত বাড়িয়ে। কষ্ট যেন অনেকটা কমল, ছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরল। ব্যাঙ্গালোরেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে সায়ন্তি। পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকে সে এক বয়স্ক দম্পতির কাছে। পরীক্ষার গ্যাপে সুযোগ পেলেই আসে সে, তবুও কদিন মাকে না দেখতে পেলেই যেন প্রাণ মন হাঁপিয়ে ওঠে। সায়ন্তিকে নিয়ে যখন পরিতোষবাবু আর শোভনা দেবী গেটের বাইরে এলেন তখন সায়ন্তির চোখেমুখে শরতের সেজে ওঠার ছোঁয়া, নাকে পুজো পুজো গন্ধ।।

          ।। ২।।

 কিছু মাস আগের কথা:

   মাইকের শব্দে কানে তালা লেগে যাওয়ার জোগাড় সায়ন্তির। কলেজ ফেস্ট। এরেঞ্জিং গ্রুপের মধ্যেই ছিল সায়ন্তি। অর্ণবও ছিল। তার থেকে এক বছরের সিনিয়র। বিভিন্ন কাজের মাঝেও খেয়াল করে চোখজোড়া সায়ন্তির দিকেই। সায়ন্তিরও বেশ ভালোই লাগছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকেই একটু কথা হতে লাগলো। প্রোগ্রাম শেষে সায়ন্তিকে বাড়িও পৌঁছে দিয়ে এল। এর পর থেকেই ফোনে, মেসেজে কথা বাড়তে লাগলো আর বেশীর ভাগ সময়ই তাদের একসাথে দেখা যেতে লাগলো। মাসখানেক চলল ভালোই, তার পর থেকেই সমস্যার শুরু।।


   গাড়ির হর্নটা একটু জোরে বেজে উঠতেই সায়ন্তি আবার বর্তমানে ফিরে এল। চারিদিকে কেমন সাজো সাজো রব... তাদের কমপ্লেক্সেও মন্ডপ তৈরি শুরু হয়ে গেছে। কমপ্লেক্সে ঢুকে সায়ন্তির মনের জমা মেঘ একটু একটু করে পরিষ্কার হতে লাগলো। বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে বেশ বেলাই হল। শোভনা দেবী বললেন পরের দিন সায়ন্তিকে শপিং এ নিয়ে যাবেন। অনেকদিন পর নিজের ঘরে ঢুকে খুবই শান্তি অনুভব করল সায়ন্তি। নেট অন করতেই সারি সারি মেসেজ ঢুকতে লাগলো তার। বেশীরভাগই অদরকারী মেসেজ। এর মধ্যেই একটা অজানা নম্বরের মেসেজ চোখে পড়ল তার..

"ফোন করেছিলাম, ফাঁকা হলে কল ব্যাক করিস।"

      অর্ণব

অবাক হল সায়ন্তি। প্রায় মাসখানেক কোনো যোগাযোগ নেই তাদের। মনটা আবার ভারী হয়ে এলেও কোনো উত্তর না দেওয়াই বাঞ্ছনীয় মনে করল সে।

     পুজোর সময় বাড়িতে মেলা লোক এসে জড়ো হয়। ব্যাপারটা সায়ন্তির কাছে বেশ উপভোগ্য লাগে। বাড়িময় লোক... হইচই। আজও বরহমপুর থেকে তার এক কাকা, কাকী, ভাই আর বেহালা থেকে এক মামা এসছেন। হই হুল্লোড়... বাড়ি গমগম করছে। দুপুরে একসাথে খাওয়াদাওয়ার পর সকলে মিলে একটু বেড়োবে ঠিক হল। এই একটু চারপাশটা ঘুরে দেখা। তাতেই সায়ন্তির কি আনন্দ! আর দুদিন পর মহালয়া। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় প্যান্ডেল নির্মাণও শুরু হয়ে গেছে। সায়ন্তি ঠিক করল তার নতুন আই ফোনে অনেক ছবি তুলবে তার অতি প্রিয় শহর কোলকাতার। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। তাদের মাহিন্দ্রা বোলেরোতে করে বেরিয়ে পড়ল সবাই। তার শহরের এই সাজো সাজো রব দেখতে দেখতে সায়ন্তি যেন তার এই প্রিয় শহরের প্রেমে পড়ে যায়। যাই দেখে তাই ভাললাগে আর তাকেই সে ফ্রেমবন্দী করে নিতে থাকে। একটু দূর থেকে ঘুরে আসার উদ্দেশ্যে তারা সল্টলেকের দিকে রওনা হয়।

    বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের প্রাচীর গড়ে ওঠা দেখতে তার বেশ লাগে। এক জায়গায় গাড়ি থামানো হল একটু ঘোরাঘুরি আর জল নিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। সায়ন্তি তার ফোনে তোলা ছবি দেখছিল.. হঠাৎ এক জোড়া চোখে তার চোখ আটকে গেল। কি মায়া মাখানো দৃষ্টি! সে খেয়াল করল সেই চোখজোড়াও তার দিকেই তাকিয়ে আছে মোহমুগ্ধ ভাবে। সায়ন্তি খুব সুন্দরী না হলেও একটা আলগা শ্রী তার মধ্যে আছে। লাভ এট ফার্স্ট সাইটে সে বিশ্বাস করেনা.. কিন্তু সেই চোখজোড়া যেন তার কাছে একদম জীবন্ত হয়ে উঠল। ছেলেটি তার থেকে বছর খানেকের হয়ত বড়ো হবে চোখের মতোন মুখও মায়া ভরা, ফর্সা, হাইটও বেশ ভাল।

ছেলেটি তার দুজন বন্ধুর সাথে ছিল। তার চোখের ভাষাতেই কি ছিল... সায়ন্তি একটু সামনের দোকানে কোল্ড ড্রিঙ্ক কিনতে যাচ্ছে বলে দোকানের দিকে এগোলো। ওই দোকানের সামনেই সে দাঁড়িয়ে ছিল তার বন্ধুদের সাথে। সায়ন্তি ওখানে যেতেই দেখল সে খসখস করে কি লিখলো, লিখেই একটা ছোট্ট চিরকুট তার আঙুলের ফাঁকে ধরিয়ে দিল। সায়ন্তি একটু অবাক হলেও কোনো দ্বিরুক্তি না করে, চট করে সেটা নিজের জিন্সের পকেটে চালান করে দিল। একটা কোল্ড ড্রিঙ্ক নিয়ে আবার ফিরে আসলো গাড়িতে। ঘটনাটা তারা দুজন ছাড়াও আর একজন খেয়াল করল। সেটা সায়ন্তি টেরও পেল না, তিনি হলেন পরিতোষবাবু, সায়ন্তির বাবা!! 

  এরপর আরো বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর সল্টলেকের একটি নামকরা রেস্তোরায় খেয়ে রাতে তারা ফিরে আসলো বাড়িতে। নিজের ঘরে এসেই দরজা বন্ধ করে পকেট থেকে চিরকুটটা বের করে দেখে.. একটা ফোন নম্বর। একটু ভেবে নিয়েই নম্বরটা টাইপ করে সায়ন্তি। কিছুক্ষণ রিংয়ের পরই ওপ্রান্তে পুরুষালি কন্ঠস্বর..

"হ্যালো"

"আমি সায়ন্তি.. কোল্ড ড্রিঙ্ক দোকানের সামনে দেখা হল"

"অপেক্ষা করছিলাম তোমার ফোনের জন্য। সরি,তুমি বললাম কিছু মনে কোরো না। তোমায় দেখলেই কেমন আপন আপন লাগে। আমার নাম পলাশ।"

"না না, মনে করবো কেন.. আমিও কিন্তু তোমাকে তুমি করেই বলবো।"

"কাল মহালয়া। যদি কিছু মনে না করো তো কাল বিকেলে একটিবার আমার সাথে দেখা করবে, যেখানে তোমার সুবিধা?"

"আচ্ছা আসবো। আমার নম্বর সেভ করে রাখো, পরে তোমায় জানিয়ে দিচ্ছি।"

   ফোনটা রেখে নিজের আচরণে নিজেই বেশ অবাক হয় সায়ন্তি। অর্ণবের জন্য নয়, তার সাথে কোনো মনের মিলই ছিল না। এখন সেটা সায়ন্তি বুঝতে পারে। তবুও প্রথম আলাপে পলাশের সাথে এতো সহজভাবে কথা বলতে পারলো, এ যেন ঠিক সেই সায়ন্তি নয়, যে কয়েক ঘন্টা আগে এয়ারপোর্টে মনমরা হয়ে নেমেছিল। কাল দেখা হওয়ার উত্তেজনায় সারাদিনের ক্লান্তি যেন টের পেল না সে। ঠিক করল দেখা করবে আউটরাম ঘাটে। দারুণ প্রিয় জায়গা সায়ন্তির।।

         ।। ৩।।

 আউটরাম ঘাটে বারোটা নাগাদ দেখা করল তারা। বিকেলে মায়ের সাথে শপিং এ যাওয়ার কথা তার। একটা তুঁতে রঙের কুর্তি পরেছে আজ সায়ন্তি, সাথে ডার্ক ব্লু কালার লেগিংস। আর কানে ম্যাচিং ইয়াররিঙস। এইটুকুই পলাশের চোখ আরো মোহমুগ্ধ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। সে পরে এসেছিল হালকা রঙের শার্ট জিন্সের সাথে। একদম সাদামাটা সাজগোজ। খালি সয়ন্তির মনকে ছুঁয়ে যায় তার সেই চোখের সরল দৃষ্টি! একটা সুন্দর ছায়াঘেরা জায়গা দেখে তারা বসল। পলাশ বিহ্বল ভাবে বলে...

"তুমি আসবে আমি ভাবতেই পারিনি...."

সায়ন্তি কিছু না বলে একটু হাসে। তার মনে হয় তারা যেন কতদিনের পূর্বপরিচিত। গল্প চলতে থাকে, সময়ের কোনো হিসেবই থাকেনা! পলাশ বসিরহাটের ছেলে। বাবা নেই বাড়িতে শুধু মা আর এক ছোট বোন আছে। সে হিস্ট্রিতে মাস্টার্স করে বি এড করছে আর এস এস সি দেওয়ার প্রিপারেশন নিচ্ছে। সায়ন্তির কথা জিজ্ঞেস করলে সেও বলল ব্যাঙ্গালোরের কথা, তার কলেজের কথা, তার পছন্দের টিচারদের কথা, শুধু অর্ণবের কথা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেল, ভাবলো আর বলেই বা কি হবে!

  পলাশের সাথে বেশ কিছু ঘন্টা কাটলো সেদিন সায়ন্তির। এমন সুন্দর ভাবে অনেকদিন কারুর সাথে কথা বলেনি আর এতো মন দিয়ে বুঝি কেউ অনেকদিন তার কথা শোনেওনি, ভাবে সে। প্রথম আলাপের পর্বটা কাটিয়ে ওঠার পরই তারা একে অপরের হাত ধরেই বসে ছিল। প্রথম দেখা থেকেই সায়ন্তির তার প্রতি কোনো আড়ষ্ট ভাব ছিল না। এরপর একসাথে পাওভাজি খেল তারা। অবশেষে পলাশের সাথে বেশ কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে যখন বিদায় নেওয়ার পালা সায়ন্তির তখন তার হাতটা ধরল পলাশ...

"তোমার হয়তো অনেক বন্ধু সায়ন্তি। তাদের সাথে অনেক পুজোও হয়তো কাটিয়েছো তুমি! এই পুজোটা আমার সাথে কাটাও প্লিজ।"

তার গলায় এমন এক আকুতি ছিল যে সায়ন্তি হাঁ করে তাকিয়ে রইল তার দিকে, চট করে কিছু বলতে পারলো না। ফেরার সময় খুব মনখারাপ হল সায়ন্তির। কেন সে নিজেই বুঝে উঠতে পারলো না। মনখারাপটা কাটলো মা বাবার সাথে শপিং করতে করতে! এরপরেও পুজোর আগে দুবার দেখা করল তারা। সায়ন্তি যেন এইবার পলাশের চোখ দিয়েই পুজোর আগমন দেখতে লাগলো। এদিকে পরিতোষবাবু কিন্তু মেয়ের এই পরিবর্তন বিলক্ষণ খেয়াল করলেন। তার সাজগোজ হাবভাব সবকিছুর। তার আসার দিনের সেই মনখারাপও যেন হঠাৎ করেই বিদায় নিয়েছে। পলাশের সাথে এই দুবার দেখা হওয়ার মধ্যে একবার পলাশদের বন্ধুদের গ্রুপের সাথেও বেরোলো সে। পুজোর সময় পলাশের মা বোন কোলকাতায় এসে পলাশের মেসে ওঠেন। সেইসময় বেশীর ভাগই বাড়ি চলে যায়, তাই বিশেষ একটা অসুবিধা হয়না। 

       ।। ৪।।

আস্তে আস্তে করে পুজো এসে গেল। সপ্তমীর দিন পুরো পরিবারের সাথে বেরোনো হয় সায়ন্তির প্রতিবারই। এবারেও তাই হল, শুধু তফাৎ হল একবারে বিকেলে বেরোয়। এইবারে সকালে কিছুক্ষণের জন্য হলেও পলাশের সাথে দেখা করল। দুজনে গিয়ে একটা মুভি দেখে এল। সায়ন্তি এখন এক অন্য জগতের বাসিন্দা... সবসময়ই মন যেন খুশি খুশি থাকে। অষ্টমীর দিন সকলের সাথে তাদের ক্যাম্পাসেই অঞ্জলি দিয়ে মায়ের হাতের লুচি আলুর দম খেয়েই সায়ন্তির দিনটা শুরু হয়। আজ একটু বিকেল বিকেল বেরিয়ে পলাশের সাথে হোলনাইট ঠাকুর দেখার প্ল্যান। বাড়িতে যদিও বলেছে বন্ধুদের সাথে যাচ্ছে সে। পরিতোষবাবু মনে মনে হাসেন আর ভাবেন...

"হুহু বাবা, আমি তোর বাবা!"

   তুঁতে রঙ এ তাকে মানায় ভালো বলে আজ সে তুঁতে রঙের শাড়ি পরেছে। আগের থেকেই দুজনে কথা বলে পলাশও সেম কালারের পাঞ্জাবী পরে এসেছে। আজ ঠিক হয়েছে সল্টলেকের দিকে ঘুরতে যাবে তারা... যেখানে তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। একে অপরের হাত ধরে বিভিন্ন প্যান্ডেলে ঘুরতে ঘুরতে দুজনেরই যেন বিশ্বাস হতে চায়না মাত্র এই কদিনের আলাপে তাদের সম্পর্ক এতো গভীরতা পেয়েছে। সল্টলেকের লাবনী এস্টেট, এফ ডি ব্লক, আরো বিভিন্ন প্যান্ডেল ঘুরে একটি ভাল রেস্টোর‍্যান্টে ঢুকে তারা খাওয়াদাওয়া করল। এরপর সাউথের দিকে সেলিমপুর, বাবুবাগান, যোধপুর পার্ক প্রভৃতি আরো কিছু প্যান্ডেল ঘুরে যখন তারা বাড়ি ফিরল তখন সকাল ছটা! সায়ন্তির মনে হল এমন আনন্দ সে বহুদিন করেনি। 

   নবমীর দিন সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসের পুজোতেই আড্ডা হাসি গান হুল্লোড়ে কাটল। অন্যতম আকর্ষণ ছিল তার বাবা-কাকার ধুনুচি নাচ। দশমীর দিনের সকাল থেকেই সায়ন্তিকে মনখারাপে ঘিরে ধরে। পুজো এই এল, যেন দেখতে না দেখতেই শেষ। আজ পলাশের সাথে তার মেসে যাওয়ার কথা। কাকিমা নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবেন বলে যেতে বলেছেন। পলাশের সাথে দেখা হল এগারোটা নাগাদ। হেসে এগিয়ে এসে তার হাতটা ধরে পলাশ...

"খুব সুন্দর লাগছে তোমায়... আর আমার খুব ভাললাগছে তুমি আমার বাড়ি আসছো বলে।" 

সায়ন্তি ভাবে এমন ভাবে কেউ কখনো তার ফিলিংসকে এতো সম্মান দিয়ে কথা বলেনি। বৃথাই সে সময় নষ্ট করেছে এর আগে। তার জন্য যে আরো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করে আছে, শুধু তা যদি তখনো সে জানতো। জানলো যখন পলাশের হাত ধরে তার বাড়িতে প্রবেশ করল, আর সেখানে পলাশের মা, বোনের সাথে তার বাবা, মা কেও দেখতে পেল। মেয়ের হতবাক হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে পরিতোষবাবু বললেন...

"কি ভেবেছিলি মা, আমরা বুঝি কিচ্ছু বুঝিনা? তোর ভালো থাকাটাই যে আমরা চাই মা, তাইতো সেদিন ভোরবেলা ফিরে তুই যখন স্নানে গেলি তখনই তোর ফোনের লাস্ট ডায়াল নম্বর থেকেই ওর নম্বরটা পেয়ে ফোন করেই সিওর হয়ে যাই আর আজ এখানে আমরাও আসা স্থির করি। পলাশ কিন্তু একটুও ঘাবড়ায়নি, বরং খুব সুন্দর করে সসম্মানে আমাদের আজ এখানে আসার আমন্ত্রণ জানায়। আমিই বলি এটা এখনি তোকে না জানাতে।"


পুরোটা শোনার পর সায়ন্তির চোখেমুখে রক্ত আভা দেখা দেয়... তার এই কদিনেই আপন হয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটির দিকে তাকিয়ে দেখে সেই চোখদুটি যাতে পরম স্নিগ্ধ স্নেহমাখানো দৃষ্টি আর তাকে আপন করে নেওয়ার আবাহন।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance