রজনীগন্ধা
রজনীগন্ধা
কাল আর্য'র বিয়ে, তাই স্বাভাবিকভাবেই রাতে ওর ঘুম আসতে দেরী হচ্ছিল, কিছুটা টেনশনে আর কিছুটা...
কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করতে করতে একসময় ওর চোখদুটো হালকা লেগে এসেছিল, কিন্তু এমনসময় বীভৎস হাসির শব্দে ওর ঘুম ভেঙে যায়, আর তার সঙ্গেই সারা ঘর জুড়ে মম করতে থাকে রজনীগন্ধার গন্ধ। উঠে বসার পর প্রথমটায় কিছু বুঝতে পারে না আর্য, কিন্তু পরে ওর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিতে বুঝতে এমন কিছু অনুভব করে যাতে ওর শিরদাঁড়া বেয়ে বরফের স্রোত নামতে থাকে, বুঝতে পারে ওর বাঁ-কাধ বেয়ে সরীসৃপের মতো যেন কিছু একটা নেমে আসছে আর তার সঙ্গেই গলার কাছটায় যেন ঝাপটা মারছে ঠান্ডা নিঃশ্বাস। ভালোভাবে লক্ষ্য করে ও বুঝতে পারে ওই সরীসৃপের মতো জিনিসটা আসলে একটা পোড়া হাত, আর এটা বুঝতে পেরেই ও চমকে উঠে পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেল একটা বীভৎস পোড়া মুখ, গলায় রজনীগন্ধার মালা।
-"কি হল! চিনতে পারছ না!"
-"পিয়ালী তু-তু-তুমি...", আতঙ্কে কাঠ হয়ে যায় আর্য।
-"হ্যাঁ হ্যাঁ আমি! দশ বছর আগে পণের জন্য তোমরা যাকে শেষ করে দিয়েছিলে! আজ আবার একটা মেয়ের সর্বনাশ করতে চলেছ, তাই আমাকে তো আসতেই হতো, তাই না!" এরপর পোড়া হাতটা আরো এগিয়ে আসে, আর্য চিৎকার করতে গিয়েও করতে পারে না।
পরের দিন সকালে আর্য'র ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওর ক্ষত-বিক্ষত লাশ...আর গলায় রজনীগন্ধার মালা।