#প্রমিস্ ডে
#প্রমিস্ ডে
রাজীব আর মিষ্টি দুজনে দুজনকে চোখে হারায়| সেই স্কুল জীবনের বন্ধু ওরা| আজ রাজীব একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী| আর মিষ্টি সহজ এর বিবাহিতা স্ত্রী| না ওদের ভালবাসা স্বীকৃতি পায়নি| মিষ্টির দাদারা একরকম জবরদস্তি ওর বিয়ে টা দিয়েছিল| বিয়ের আগেরদিন ও মিষ্টি রাজীবকে অনুরোধ করেছিল চুপি চুপি পালিয়ে যাওয়ার জন্যে| রাজীব ছিল বেকার তাই পারেনি|
মিষ্টির বিয়ের আগের দিনই রাজীব গ্রাম ছেড়ে কলকাতা আসে,মিষ্টির খোঁজ আর পায়নি,বা চেষ্টাও করেনি খোঁজ রাখার|আজ পাঁচ বছর পর মিষ্টিকে এখানে দেখে খুব অবাক লাগলো| সিঁন্দুর শাঁখায় খুব ভালো লাগছিলো.মিষ্টিকে| রাজীবের নতুন অফিসে.একটা ইন্টারভিউ দিতে এসেছিল| অনেক পুরোনো কথা মনে পরে গেলো| হঠাত্ করে মিষ্টির বায়োডাটা টা নিয়ে মিষ্টির পুরনো ঠিকানা দেখে রাজীব অবাক হয়েগেল| রাজীব তত্ক্ষণাত্ ওর ফোনে ফোন করলো|
ফোনের ওপর প্রান্তে সেই চেনা কন্ঠস্বর| কত্ত্বদিন পর প্রাণ মন দিয়ে শুনলো মিষ্টির কন্ঠস্বর| মিষ্টি আমার মিষ্টি!তুই কি জানিস আজও আমি তোর অপেক্ষায় আছি| তোকে কথা দিয়েছিলাম তোর থাকব তাই আজও বিয়েকরিনি| মিষ্টি তোর স্বামীর বাড়ী কোথায়? তোর বাবার বাড়ীর ঠিকানা কেন?আর এখনো তুই রায় কেন যতদূর জানি সহজ রা রায় নয় ব্যান
ার্জি| মিষ্টি জানালো আমার তো বিয়ে হয়নি|
-মানে টা কি?
-হ্যাঁ,রাজীব বিয়েটা করা হলনা|
_কিন্তু তোর সিঁন্দুর?
-ও টা তো কারোর মঙ্গল কামনা করে পরি|
_আর সহজ?
-বিয়ের রাতেই বিষ খেয়েছিলাম প্রাণে বেঁচে যাই, সহজ সব শুনে বিয়ের আসরেই পালায়| লগ্নভ্রষটা মেয়ে তাই আর ছেলে জুটলোনা| কাউকে কথা দিয়েছিলাম তার থাকবো| আর তার জন্যেই সিঁন্দুর পরা|
_ পাগলি সে ও যে প্রমিস্ করেছে শুধু তোর থাকবে|এতোদিন বলিসনি কেন?
-সুযোগ দিলি কোথায়?
আর তাছাড়া অভিমানও ছিলো|
_পাগলি তো তাই| আমি আজই যাচ্ছি পাগলি কে আনতে|
_মানে টা কি? আমি ভালো আছি আর কাউকে লাগবে না|
-আজ কি জানিস?
-কি?
- প্রমিস ডে
-তো?
-প্রমিস্ করলাম তোকে আমার করে রাখবো| তৈরী থাক আনতে যাচ্ছি|
- আজই?
-হুঁ!আর দেরী না| অনেক কষ্টে তোকে পেয়েছি| আর না আজই তোকে আনবো|
_পাগল