প্রেম রতন ধন
প্রেম রতন ধন
প্রেমের প্রথম শর্ত ই হলো ধন। ধন সম্পত্তি না থাকলে, সংসারে অভাব এর অনুপ্রবেশ ঘটলে প্রেম যে জানালা গলে পালিয়ে যায় তা তো শুনেছি সেই ছোটোবেলার ছড়ায়।
"আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেবো মেপে,
ধানের মধ্যে পোকা, জামাইবাবু বোকা।
.............................
জানালা দিয়ে দিদি পালাবে, বুঝতে পারবে না"
এখানে বোধ হয় টাকা পয়সা রোজগারের কথা বলেই জামাইবাবু কে সতর্ক করা হয়। বোকা হয়ে থাকলে চলবে না। নিজের উন্নতির জন্যে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।
অর্থাৎ প্রেমের দ্বিতীয় শর্ত হলো বুদ্ধি।
বোকা প্রেমিকা বা প্রেমিককে করুণা করা চলে ভালোবাসা যায় না।
আর প্রেমের তৃতীয় শর্ত হলো ইগো বা অহম্। এটা বেশি পরিমাণে থাকলে প্রেম মনে মনে থাকলেও তা প্রকাশ করা কঠিন হয়ে পড়বে। কাজে কাজেই ঐ বেটা ইগো টাকে লালন পালন করে বড় না করে প্রথম থেকেই ভালোবাসার খাতিরে তা ত্যাগ করতে হবে।
এবারে একবার প্রেম রতন ধন পাওয়ার পর যা দরকার তা হলো অবস্থান ও সংযোগ। মানে অনেকটা যেন কাঁচির মতন। কাঁচির দুটো অংশ দুরকম। জায়গাটা কোনোরকম ভাবে পাল্টে দিলে তা আর কোনো কাজেই আসেনা। তাই তো একটা রিপিট বা স্ক্রু দিয়ে অংশ দুটোকে আটকে রাখা হয়।
সেরকমই একটা সম্পর্ক কে আটকানোর ব্যবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে মানব সমাজে। বিবাহ নামক ব্যবস্থাকে যতই বন্ধন মনে হোক না কেন, বন্ধন জরুরী।
আরেকটা শর্ত হলো ধার বজায় রাখা। তারমানে লক্ষ্য রাখতে হবে কাঁচিতে যেন কখনও মরচে না পড়ে। প্রয়োজন বুঝলেই ধার কাটাও এর মেশিন নিয়ে ঘোরা লোকটাকে ডেকে ধার দেওয়াতে হবে।
আর সবসময় ব্যবহৃত কাঁচিতে যে মরচে সহজে পড়েনা সে তো জানা কথা।
যে কোনো সম্পর্কের ধার ঠিক রাখতে প্রয়োজন ভাবের আদান প্রদান। যা একতরফা কখনও রাখা যায় না। মনে মনে আমরা যা ভাবি টেলিপ্যাথিতে তা বোঝার মত মন কি সবসময় পাওয়া যায় ! যদি যায় তবে তো খুব ভালো কথা। কিন্তু মনে মনে ভাবাটাও তো একটা কাজ। সেটাও ভাবতে হবে। প্রেম রতন ধন পেয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকলে চলবেনা। সজাগ থাকা চাই।
কাজে কাজেই এ্যাক্টিভ থেকে সুস্থতা বজায় রাখা সবচেয়ে জরুরী। সুতারাং বিদায় আলস্য, বিদায় দীর্ঘসূত্রতা!

