পিছুটান
পিছুটান
"ইশ মেয়েটাকে দেখ!"
"মনে হয় পানিশমেন্ট পেয়েছে।"
"পাবেনা কি হবে! অবস্থা দেখ ওর। চুলটাও ঠিক করে আঁচড়ানো নেই।"
"জানিস ও আমার বোনের ক্লাসেই এসে ভর্তি হয়েছে। নিশ্চয় কোনোভাবে স্কলারশিপ জোগাড় করে এসেছে নয়তো এরকম মেয়ে আমাদের স্কুলে ভর্তি হতে পারে নাকি!"
"ঠিক বলেছিস।"
পারিজাত বলে নতুন মেয়েটাকে নিয়ে সবার কৌতূহলের অন্ত নেই। কেমন যেন ছন্নছাড়া মেয়েটা, পোশাকআষাকও প্রায়ই অবিন্যস্ত থাকে। কুতকুতে চোখে চারিদিকে তাকায় খালি। একটা দামি গাড়িতে করে রোজ কেউ ওকে ছেড়ে দিয়ে যায় কিন্তু ওর রকমসকমে বিশ্বাস হতে চায়না গাড়িটা ওদের নিজেদের। কে জানে কি ব্যাপার!
★★★★★
“উফফ রোজ রোজ মায়ের সেই এক টিফিন, পরোটা! ভাল্লাগেনা, ফেলে দেব...” চিৎকার করে ওঠে শ্রেয়া।
“এই ফেলিসনা প্লিজ। আমাকে দে।” কাতর গলায় বলে পারিজাত।
সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে কেউ ফোড়ন কাটে, “কি নোলা রে বাবা!"
তেতো কথাটায় পাত্তা দেয়না পারিজাত। শ্রেয়ার কাছ থেকে পরোটাটা নিয়ে মুখে ভরে চোখ বন্ধ করে ফেলে সে। পরোটা আর আলুর দমের স্বাদ মিশে যায় মুখের প্রতিটি কোণায়। মা-হারা মেয়েটা আরও একবার এইভাবেই অনুভব কে নিতে চায় মায়ের স্পর্শ।