STORYMIRROR

Krishna Banerjee

Romance Classics

4  

Krishna Banerjee

Romance Classics

ও কেমন আছে ?

ও কেমন আছে ?

3 mins
7

                        ও কেমন আছে ?

                    প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য

                   কলমে - কৃষ্ণ ব্যানার্জী

                                ( 4 )

                     উপর মহলে ঝুমড়ির বিষয়টা জানিয়ে রাখা আমার কর্তব্ব বলে মনে হয়েছিল , তাই সন্ধ্যার সময় সেখানে একটা ফোন করে জানিয়ে দিলাম । এতে একটা সুবিধা হয়েছিল বটে। আমাদের কোম্পানির M. D খুব ভালো মানুষ তিনি বললেন মেয়েটির ডকুমেন্স গুলো উপলোড করে দিতে উনি ওর একটা স্যালারির ব্যাবস্থা করে দেবেন । আমি বলেছিলাম এটা সম্ভব নয় । তিনি কারণ জানতে চাইলে আগের দিনের সকল ঘটনা তাকে বলি , সব কিছু শুনে তিনি বলেন মেয়েটির একটি ছবি তুলে আফিসে জমা করে দিতে যদি কোনসময় কোনো অসুবিধা হয় তাহলে অন্তত বলবার একটা জায়গা থাকবে । আমি না করলাম না । পরের দিন কিছু ভালো পোশাক অনা হলো বাজার থেকে , তাকে বললাম তুমি আজ থেকে এই কোম্পানির একজন তাই পোশাক আশাক ঠিক ঠাক পড়তে হবে কেমন । জামা কাপড়ের ব্যাগটা এগিয়ে দিয়ে বললাম যাও এর থেকে তোমার পছন্দের একটা পোশাক পরে আসো তোমার একটা ছবি তুলতে হবে , সেটা কোম্পানিতে জমা থাকবে বুঝলে । ছবি তোলবার কথা শুনে সে তার কি আনন্দ , বলেকিনা আমার ফটো খিচবি সাহেব কিন্তু ফটো খিচবার যন্ত্র কোথায় ? আমি সেলফোনটা তাকে দিখিয়ে বললাম এটাই ফটো খিচবার যন্ত্র । সে কয়েক মুহূর্ত আমার দিকে চুপ করে তাকিয়ে থেকে আবার হো…..হো করে হেঁসে বলল আমার সাথে মজাক করছিস সাহেব উটা দিয়েতো তুই কথা বলিস তাহলে উটা ফটো খিচবার যন্ত্র হলো কেমন করে ? আমি বললাম বিশ্বাস হলনাতো তাহলে তুই সোজা হয়ে দাঁড়া আমি তোকে দেখাচ্ছি এটা কি ভাবে তোর ফটো খিচ্ছে। ঝুমড়ি পিছনের দিকে ঝোলানো বিনুনি দুটোকে বুকের সামনে ফেলে বোকার মতন দাঁত বার করে বলল কই দেখা দেখি । আমিও মজা করে ওর একটা বোকা বোকা ছবি তুলে ফেললাম , তারপর সবাইকে দেখে বললাম দেখেজা আমাদের ঝুমড়ির ছবি । সকলে সামনে আসতেই ওকে রাগাবার জন্য ছবিটা ওকে না দিখিয়ে ওদের দেখলাম , ছেলে মানুষের মত লাফাতে থাকলো সে , আমাকে দেখা একটিবার সাহেব আমিও বললাম তুই আগে সেজে গুজে আয় তারপর এটা তোকে দেখাবো । 

                        আবার হয়তো একটু রাগ বা অভিমান করে সে বলল থাক দেখাতে হবেনা , আমিও ঐ কাপড় পড়বোনা , আমি চললাম জলখাবার বানাতি । ঝুমড়ি চলে যেতে গেলে আচমকাই আমি হাত বাড়িয়ে ওর হাতটা ধরে আমার কাছে টেনে নেই , আমাদের মধ্যের ব্যাবধান তখন আঙ্গুল চারেক , আমরা কয়েক মুহূর্ত একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলাম । ওর স্বাস - প্রস্বাসের অনুভূতিটা জানো ঐ কয়েক মুহূর্তের জন্য আমি বেশ উপলব্ধি করতে পারছিলাম । ওর নাশিকা থেকে নির্গত গরম প্রস্বাসগুলো আমার মুখমণ্ডলকে আন্দলিত করে যাচ্ছিলো , কিছুটা দূরের পাকারাস্তার উপর দিয়ে ছুটে যাওয়া ট্রাকের হরনের শব্দে আমরা দুজনেই সম্বিৎ ফিরে পেলাম । ঝুমড়ি হাতটা ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করলে বললাম , তোমার ছবিটা দেখবেনা ? ঝুমড়ি বলল তুইতো দেখবিনা বললি , আমি বললান আমিতো ইয়ারকি করছিলাম তোমার সাথে , ও আবার বলল মতলব ? আমি বুঝলাম ইয়ারকি কথাটা ওর মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে তাই নিজেকে একটু শান্ত করে বললাম মাতলব আমি তোমার সাথে মজাক করছিলাম । মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন ঘটেগেলো তার চোখ - মুখের , আবার বাচ্ছাদের মতো বলল তাহলে ঠিক আছে আবার দেখা । আমি ছবিটা ওকে দেখাতে উচ্ছশিত হয়ে বলল । ফোটোতে আমাকে হেব্বি লাগছে নারে বাবু ? আমি বললাম পুরো পাগলি মনে হচ্ছে । কাপড় - জামা পাল্টে চুল গুলো ভালোকরে আচড়ে এখানে আসবে তুমি জানো আমি যদি এই ছবিটা আফিসে পাঠাই তাহলে ওরাতো তোমাকে পাগল ভাববেই সাথে আমার ছাড়িটাও চলেযাবে , তাই এখানে দাঁড়িয়ে দাঁত বার না করে জামা কাপড়টা পাল্টে পরিষ্কার হয়ে আসো । আমারদিকে কয়েক মুহূর্ত বোকার মত

তাকিয়ে একটা বোকা বোকা হাসি দিয়ে ছুটে চলে জয়।

                        আমি বোকার মতো ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম ।

                                  চলবে ………………..


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance