নস্টালজিয়া
নস্টালজিয়া
নস্টালজিয়া
নিখিল মিত্র ঠাকুর
একসময় আমি তোমার প্রেমে ছিলাম মশগুল। তুমিও বোধহয় আমায় ভালোবাসতে। কতদিন তুমি এসে ধরেছো হাত, আমরা হেঁটেছি গলি থেকে রাজপথ। কত যে রূপে তোমায় এঁকেছি মনে, অনুগল্প,রম্যরচনা,গয়েন্দা গল্প।এমনকি তুমি এসেছো গল্পিকা হয়ে।
ঝগড়া নেই, বিবাদ নেই তুমি ছেড়ে দিলে হাত। বিচ্ছেদে বোধ হয় চাইলে পূর্ণতা। হয়তো বা কবিতার প্রতি ঈর্শায়
তুমি চলে গেলে নিরব বিচ্ছেদে। তুমি যতো সরে গেছো আমি ততবেশি বেশি করে আসক্ত হয়ে পড়ছিলাম কবিতার প্রতি। এখন কবিতা আমার নয়, আমি কবিতার হয়ে গেছি। আর তুমি যেন পরদেশী।
এমন তো চাইনি আমি! চেয়েছিলাম দুজনকে নিয়ে ঘর করতে। পারলাম না সেটা হয়তো আমারই দোষে, অক্ষমতায়। কিন্তু, আমি কোনদিন ভুলিনি তোমায়। আমার মনের গহীনে তোমার পথ চলার নূপুর ধ্বনি বাজে।মন চায় বারবার ফিরে যেতে, তোমার হাত ধরতে। যখন ভাবি আজ যাবো তোমার কাছে কবিতা এসে হাজির হয় কোন না কোন কাজে, আমায় ডাক পারে। আর যাওয়া হয়ে ওঠে না।
আজ কবিতা কি কারণে কোথায় গেছে অনেকক্ষণ আমায় একা ছেড়ে। আমি এখন একা। হঠাৎ এলো পুরানো কথা স্মৃতির ডানায় উড়ে নিয়ে নস্টালজিয়া। কবিতার আড়ালে তাই তোমার সাথে একটু করছি পরকীয়া।
অবশ্য এটা এখন আইনসিদ্ধ। কবিতাকে জানিয়েও করতে পারি। তবে সাহসে কুলাবে কি জানি না! চলো গল্প আজ তুমি আর আমি চলে যায় ওই যে ওখানে, যেখানে নীল আকাশ সবুজ ঘাসের ওড়নায় ঢাকা পৃথিবীকে চুমু খাচ্ছে।

