Manab Mondal

Classics

4.7  

Manab Mondal

Classics

মৃত্যুর কাছাকাছি

মৃত্যুর কাছাকাছি

4 mins
341


পাহাড়ে পথের প্রতিটা বাঁকে মৃত্যু অপেক্ষা করে তবু এই মৃত্যুর ভয়কে মানুষ উপভোগ করে প্রতি মুহূর্ত। আমার কিছু ডানপিটৈ বন্ধু বান্ধব হয়েছিল , যারা পাহাড় ট্রাকিং করতে যায়। ওদের কাছে তোলা ছবি দেখে পাহাড়ে ঘড়ার সখ আমার হয়েছিল। তুসারে ঢাকা পাহাড় সূর্য এর আলোতে তার রঙ বদলায়, কখনো সে সোনালী, কখনো গোলাপী। তাছাড়া ছোট বেলায় কাশ্মীর আমি ঘুরতে গিয়েও ছিলাম , সেই জঙ্গল নিস্তব্ধতা আমাকে এখনো মনে দাগ কাটে রেখেছে। আমদের দলটা অচেনা কাশ্মীরের পাহাড়ে ঘুরবে।

আমাদের দলে দুই তিন সামরিক কর্মীও আছে তাই আমরা যেখানে খুশি যেতে পারি । তাছাড়া নিয়ম ভাঙার মধ্যেও তো একটা আনন্দ আছে। এই সময়টা উগ্রবাদীরা ছুটে নেয়। কারণ এসময়টা পাহাড় বরফ জমে পথ ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। আমরাতো এই বরফ উপভোগ করতে এসেছি। তবে এ দিকটা উগ্র পন্থীরা আসে না। আসলে এটা জম্বু চীন দিকে।

বরফের ওপর প্রথম স্কেটিং করলাম দারুন মজা। পিঠ ব্যাগ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেঁধে নিয়ে আমদের দল তৈরি স্কেটিং করতে অজানা এই পাহাড়ের টাকে জনাতে। স্কেটিং করতে করতে অদ্ভুত এক নিস্তব্দতা উপভোগ করলাম। আমাদের কথা বার্তা ছাড়া পুরো পাহাড় ঘুমিয়ে আছে

বরফের চাদর মুড়ি দিয়ে। আনন্দর সাথে ভয় লাগছে। এই নির্জনতা ভয়ঙ্কর। কিন্তু জীব জন্তুর দেখা না পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয় এখানে। কারণ তীব্র শীতে হয়তো গোপন আস্তানায় লুকিয়ে পড়েছে ওঁরা।

কিন্তু হঠাৎ আমরা ভয় পেয়ে গেলাম। বরফের সদ্য রক্ত এর হিচরানো দাগ, আর কয়েক পায়ের ছাপ দেখে। আমি ভয়ে ফিরে যেতে চাইলাম। অজানা বিপদের আভাস পেয়ে। কিন্তু আমাদের দলে দুই যবান তো ফিরবে না তাঁরা দেশের জন্য তারা প্রান দিতে পারে, এ অঞ্চল উগ্র পন্থী মুক্ত বলে লোকজন জানে সেই সুযোগে যদি এখানে ওরা ডেরা বাঁধে কি হবে। ঠিক এই ভাবেই কার্গিল ওরা ডেরা বাঁধে ছিলো। কতো মানুষকে শহিদ হতে হয়েছিল। তাই ওর এই হঠাৎ রক্ত দাগের রহস্য উন্মোচন করবে বলেই ঠিক করলো।

রক্ত এর দাগ লক্ষ করে ছুটে ছুটে আমরা শুনতে পেলাম এক ভয়ঙ্কর আত্মনাদ, জঙ্গলটা পাতলা হতে শুরু করেছে তখন, অথচ আমার বুকের ভিতর অজানা ভয় জরো হচ্ছে। হয়তো হলিউড সিনেমা দেখার প্রভাব। হলিউড সিনেমা কখনো শব্দ দুষণ , কখনো দৃশ্য দুষণ বিরুদ্ধে সিনেমা করে। শব্দে করলেই অজানা দৈত্য এসে নিয়ে চলে যায় আমাদের। কখনো চোখ খুলে দৃশ্য দেখলেই আত্মাহত্যা ইচ্ছে করে। মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম হয়তো এই নির্জনতা ভঙ্গের অপরাধ এই বিপদে মুখে পরে গিয়েছি আমি।

যাইহোক মানুষে চেয়ে একটু কিছু বড়ো কিংবা ছোট পায়ের ছাপ, আর রক্ত এর দাগ দেখে পৌছালাম একটা বাড়ির কাছে। বাড়িটার কথা অন্তত আমার বন্ধুরা জানতো। আর বোর্ড দেখলাম সেটাও এটা একটা বেসরকারি হাসপাতাল। কাশ্মীরে কিছু দিন আগে সন্ত্রাসবাদীরা ক্যামিকাল বোম ফাটিয়ে ছিলো। তখন প্রভাবিত মানুষ গুলোর দেহে monkey pox মতো গুটি দেখা দিয়েছিল , আর চেহারাতে পরিবর্তন এসে যায়। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে মানুষ গুলো তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল এখানে শহর লোকালয়ে থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার জন্য।

আর্তনাদে সংখ্যা কমে গেছে কিন্তু সেটা ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে। হাসপাতালটি যে জনমানুষ শুন্য হয়ে গেছে বুঝতে বাকি রইলো হাসপাতালে ধুকে। আর্তনাদে পিছু করে খুব সতর্ক ভাবে আমরা এগালাম । কিন্তু ভীষণ একটা দূর্গন্ধ আমাদের ভীষণ ভাবে অসুস্থ করে দিচ্ছিলো। তবু এগালাম অনেক কষ্ট করে সাহস করে।

শেষমেষ যখন গন্তব্য পৌছালাম , আমার ভীষন বোমি পেলো ভয়ঙ্কর দৃশ্য গুলো দেখে। মানুষের মতো দেখতে চোখ মুখ বিকৃত কিছু রাক্ষস বর্বর মানুষ , জায়গাটাকে একটা কসাই খানায় পরিণত করে নিয়েছে। একটা বুচারি সপের মতো, লেগ পিস, ব্রাস্ট পিস, লিভার, গিলা, মেটে , কডনি , কেঁটে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু এগুলো কোন হাস , মুরগি, ভেড়ার নয় , মানুষের ।

তখন একটা টেবিলে শোয়ানো রয়েছে , একটা মহিলাকে। হয়তো আমরাও পুরুষরা গোপনে মহিলার নগ্নতা উপভোগ করি। কিন্তু ঐ মানুষ গুলো উপভোগ করছিলো কিন্তু তাতে যে লালসা ছিলো তা বড়ো ভয়ঙ্কর। কি নিষ্ঠুর একটা হাসি ওরা হাসতে দেহটা থেকে একটা স্তন কেটে নিলো। তারপর সেটাকে স্লাইজ পিস করে। একটা বার্গার বানের মধ্য ভরে খেতে খেতে উল্লাস নাচ নাচি করলো। মেয়েটা ভীষণ চিৎকার করছে দেখে ওদের একজন জিহবাটা কেটে নিয়ে পট করে খেয়ে নিলো।

ঘরে শুধু তখন সরু একটা চাপা হাসির শব্দ, ভয়ঙ্কর ভাবে ছটপট করছিলো তখন মেয়েটির স্তনকাটা বিভৎস শরীরটা। হঠাৎ দেখি একজন ওর চোখ দুটো উপরে নিয়ে খেয়ে ফেললো। এ দৃশ্য চোখে দেখার মতো নয়। সুজয় মতো মানুষ এ দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারালো। ক্যাপটেন ওর সঙ্গীকে নিয়ে পাহারায় থাকলেও আমাদের নীচে পাঠিয়ে দিলো সাহায্যের আনার জন্য। অবশ্য ফেরা পথে দেখতে পেলাম তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর জোয়ানরা এগাছে ঐ দিকে। কারণ ওরা সংখ্যা যতোই কম হোক , ওরা ছিলো ভীষন বিপদ জনক ।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics