মৃত্যু
মৃত্যু


হঠাৎ শ্বাসকষ্ট। দম বন্ধ হয়ে আসছে। নাড়ি দপ দপ করছে। পুরো শরীর থেকে জীবনটা বেরিয়ে যাওয়ার দশা। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে আসছে। ছোট্ট শিশুটি কষ্টে চিৎকার করে বলছে,"মা আমাকে বাঁচাও। আমি বাঁচতে চাই মা। বাঁচতে চাই।" মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন,"আমি যে কিছুই করতে পারব না।" মায়ের চোখের সামনে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পরলো, অঙ্গগুলো আর নড়ছে না, শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে,, শিশুটি মারা গেল। মা হাউ হাউ করে কেঁদে উঠলেন। মা দেখতে পেলেন সমুদ্রতটে জমেছে হাজার হাজার আবর্জনা ও প্লাস্টিকের দ্রব্য। আবর্জনা ও প্লাস্টিকই কেড়ে নিল ছোট্ট সবুজ প্রাণটিকে। মা আর্তনাদ করে বলে উঠলেন,"হে ভগবান! তুমি কি সত্যিই নেই? আমরা তো মানুষের কোনো ক্ষতি করি না। তবে কেন? কেন আমাদের নৃশংসভাবে শেষ করে দিচ্ছে এই পিশাচরূপ মানুষেরা?" শিশু চারাটির পিতা বলে উঠলেন,"কেঁদো না। ভগবানের এই সৃষ্টিতে আমাদের বাঁচার কোনো অধিকার নেই।" বিষরূপ প্লাস্টিক সবুজ পরিবারকে ক্রমশ ধ্বংস করতে থাকলো। মাটির সাথে মিশে তাদের রস গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করলো। এইভাবে দিন যেতে লাগল একের পর এক পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হতে থাকলো। মানুষের কোনো হুঁশ নেই সবুজ পরিবারের প্রতি। সৃষ্টিকর্তা নিজেই সবুজ পরিবারকে বাঁচাতে তৎপর হলেন। মানুষদের এই হত্যাকাণ্ডের পাপের দরুন সমগ্র মানব সমাজকে গ্রাস করলো করোনারূপী ভাইরাস। যা সমগ্র মানব সমাজকে করল স্তব্ধ। কেড়ে নিতে থাকলে একের পর এক প্রাণ। মানুষ মৃত্যু ভয়ে ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে গেল। একদিন এই মানুষই ছিল জল্লাদ এখন হয়ে গেল নিজেদের পাপের শিকার। এখন ধীরে ধীরে সবুজ পরিবার নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। প্লাস্টিক, আবর্জনা এখন আর সমুদ্রতটে জমছে না। তাদের আনন্দের সীমা নেই। তারা প্রণাম জানাচ্ছে বিধাতাকে। কিন্তু তাদেরও মনটা খারাপ মানুষদের জন্য। তারা চায় মানুষ ও তারা একসাথে সুন্দরভাবে বাঁচতে। সবুজ পরিবার মানুষের মৃত্যু চায় না।