মাতৃভক্তি
মাতৃভক্তি


বয়স তার ৭০ বছর। নাম তার প্রতিমা। প্রতিমা তার রতন যখন ছোটো ছিল, তখন রতনের কোনো অভাব রাখেনি। ছোটবেলায় রতনের বাবা মারা গেছে। অনেক কষ্ট করে তাদের সংসার চালাতে হয়েছে। অনেকদিন প্রতিমা নিজে না খেয়ে কাটিয়েছে কিন্তু রতনকে অভুক্ত রাখেনি। রতনকে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করিয়েছে। রতন বড়ো হয়েছে। সে এখন বড়ো চাকরি করে। তাদের অভাব নেই আর। রতন ছোট থেকেই মা অন্তপ্রাণ।
মায়ের কষ্ট দেখে রতন প্রতিজ্ঞা করেছিল সে পড়াশোনা করে বড় হয়ে মায়ের কষ্ট দূর করবে। সে তার প্রতিজ্ঞা রাখতে পেরেছে।এখন সে তার মাকে বলে,"মা সারা জীবন অনেক কষ্ট করেছ। এবার একটু আরাম করো।" শুনে মা হেসে বলে,"কষ্ট না করলে কি তোকে বড়ো করতে পারতাম? কত ভাবিস আমার জন্য।" প্রতিমার শরীরটা ভালো নেই। রতন তাতে উদ্বিগ্ন। রতন বিবাহিত। তাদের সন্তান আছে। তারা সবাই প্রতিমার সেবা করতে ব্যস্ত।
এই দেখে প্রতিমার বুকটা গর্বে ভরে ওঠে। প্রতিমা তাদের শুশ্রূষায় সেরে উঠে। রতনের কাছে প্রতিটি দিনই মাতৃদিবস। তার কাছে কোনো একদিন মাতৃদিবস পালন অর্থহীন। মা-ই তার কাছে ঈশ্বরস্বরূপ। প্রতিমা দিনরাত ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে,"রতনের মতো পুত্র সবার ঘরে যেন জন্মায়।"