লক্ষ্যহীন পথিক
লক্ষ্যহীন পথিক


লক্ষ্যহীন পথিক।
পাহাড় থেকে সৃষ্টির হাত ধরে বেরিয়ে পড়লো নদী। কত গ্রাম, শহর, পাহাড়, পর্বত ছাড়িয়ে সে শুধু কুলুকুলু রবে ছুটে চলেছে। নদীরে শুধাও যদি কোথায় যাও তুমি। বলবে, জানি না! তবে ছুটতে যখন শিখেছি তখন ছুটে চলেছি। তবু তো নদীর লক্ষ্য নদী না জানলেও আমরা জানি। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, তেমনি নদীর দৌড় মোহনা পর্যন্ত।
আমি যে সৃষ্টির হাত ধরে পৃথিবীতে এলাম, শুনলাম আগেও নাকি বারবার এমনি করেই আমি এসেছি। আমি জীবন বলছি গো!
এক একটা পোশাক পড়িয়ে সৃষ্টি আমাকে পাঠায় অবনীর ঘরে। ছুটে ছুটে বেড়াই আমি সেথায় এখান থেকে ওখান শুধু স্পর্শ শুকে শুকে। ভাবি বেশ আছি আমি।
অবনীও তো বেশিদিন ঠাঁই দেয় না আমায়। আমি ওর সেই ওম স্পর্শ ছেড়ে যেতে চাই না, তবু চলে যেতে হয় একদিন। কোথায় যাই তা তো আমি জানি না। জন্ম-মৃত্যুর নাগরদোলায় চেপে ঘুরছি শুধু পূর্ব থেকে পশ্চিমে বা উত্তর থেকে দক্ষিণে বনবন করে। লক্ষ্যহীন পথিক আমি শুধু যাযাবরের মতো জন্ম থেকে জন্ম ছুটেই চলেছি।