কেমন ভাবে হলো?
কেমন ভাবে হলো?


ন্যাশনাল হাইওয়ে 0৮ এর উপর শ্যামলী প্রায় দু ঘন্টা ধরে নিজের টয়োটা Etios গাড়ি চালাচ্ছিল ! তখন প্রায় বিকেল সাড়ে ছটা! চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে! ডিসেম্বরে এটা খুব স্বাভাবিক! কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, সন্ধ্যার আকাশে মেঘ ঘনিয়ে আসা; মনে হচ্ছে,খুব শীঘ্রই ঝড় - বৃষ্টি আসবে ! এটা অসাময়িক! এই দুর্যোগে সে বিপদে পড়তে পারে ! ও একা, এবং দিল্লী পৌঁছতে আরও ঘন্টা চারেক লাগবে ! আর এগোনো বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে না !
আশেপাশে লক্ষ্য করতে বোঝা গেলো যে একটা নিবিড় অরণ্যের পাশ দিয়ে যাচ্ছে! এখানে গাড়ি থামানো ঠিক হবে না!
কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না, প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো! হাওয়ার প্রচন্ড বেগ! নিরুপায় হয়ে সে গাড়ি বাঁদিকে রাস্তায় থামালো এবং ইঞ্জিন বন্ধ করার সাথে গাড়ির ছাতে তুমুল বর্ষণের আওয়াজে কানে তালা লেগে গেলো ! আর উইন্ডশিল্ড উপর অবিশ্রান্ত জলের ধারায় বাইরে কিছু দেখা অসম্ভব হয়ে গেলো !
বেশ অনেক্ষণ, প্রায় পনেরো মিনিট পর, যখন বৃষ্টি ও হাওয়া একটু ধরা র মুখে তখন শ্যামলী জানলার কাঁচ নাবিয়ে বাইরে দিকে তাকালো ! রাত তখন প্রায় এসে গেছে , কিছই দেখা যাচ্ছে না, গাছের পাতা, জলের ও হালকা বৃষ্টির আওয়াজ স্পষ্ট আর জঙ্গলের যেন কালো দেয়াল অল্প অল্প করে বুকে চেপে বসছে!
একটা নিশ্বাস ফেলে শ্যামলী দরজা খুলে বেরিয়ে এলো , চার দিকে দেখতে চেষ্টা করলো, মনে একটা ক্ষীণ আশা, কোথাও কোনো জনমানব দেখতে পাবে! ওর এটাও মনে হচ্ছিলো, যখন বৃষ্টি শেষ হয়ে আসছে তখন গাড়ি নিয়ে আবার রওনা হতে পারে!
কিন্তু সেই আশার আলো নিবে গেলো যখন তুমুল বেগে বৃষ্টি ফিরে এলো! তাড়াতাড়ি দরজা খুলে ফের গাড়ি তে ঢোকবার আগে একটা অস্পষ্ট আলো চোখে পড়লো অন্ধকারের কালো দেয়ালে মধ্যে ...দূরে ডান দিকে !
নিশ্চই কোনো বাড়ি আছে যেখানে কেউ বসবাস করে!
এই পরিস্থিতি তে যখন আর গাড়ি চালানো যাবে না, আর সময় নষ্ট না করে শ্যামলী দ্রুত বেগে বেরিয়ে এসে, গাড়ি লক করে, মাথার উপর দুপাট্টা ঢেকে ,বড়ো হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে, কাপড় সামলে, টর্চ টা জেলে, সেই আলোর স্রোতের দিকে এগিয়ে গেলো !
বৃষ্টির জোর তখন বাড়তে শুরু করেছে, তবে ভাগ্যক্রমে ঝড় টা ফিরে আসে নি!
বেশ কিছূক্ষন কাদা ও জল বাঁচিয়ে হাঁটবার পর জঙ্গলের সামান্য ভেতরে, ডান দিকে, একটা ছোট কুটির দেখা গেলো! পুরোনো ধরণের ব্রিটিশ আমলের কাঠামো! সামনের দিকে একটা দরজা ও পাশে ক্ষুদ্র আকারের জানলা, তাতে একটা পর্দা ঝুলছে! আলো জানলা ও দরজার ফোকর দিয়ে আসছে! মোমবাতির আলো মনে হলো !
শ্যামলী প্রায় কুটিরের কাছে পৌঁছে গেছে ও গেট খুলতে যাচ্ছে তখন একটা আওয়াজ পেয়ে পাশের দিকে মুখ ঘোরালো ! একটা লোক শব্দহীন ভাবে এসে দাঁড়িয়ে আছে! টর্চের আধা অন্ধকারের আলোতে মনে হলো সে বয়স্ক, পরনে ধূতি ও পাঞ্জাবি ,এবং ছাতা নিয়ে অন্ধকারে প্রায় মিলিয়ে গেছে! এতো কাছে এই মানুষ টা কে দেখে শ্যামলী একটু চমকালো বটে তবে সেটা এক মুহূর্তের জন্য, তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো, "এই বাড়িটা টা আপনার? আমি একটু মুশকিলে পড়েছি ! আমাকে রাত টা থাকবার জন্য জায়গা দেবেন ? এই বৃষ্টি বাদলে আমি গাড়ি নিয়ে এগোতে পারছি না !"
লোকটা কোনো উত্তর দিলো না !
শ্যামলী একটু থেমে শুরু করলো, "যদি অসুবিধে হয় তাহলে গাড়িতেই রাত টা কাটাবো !"
এরপর নিঃশব্দে লোকটা গেট খুলে দিলো!
এই পরিবেশে আর কথা না বাড়িয়ে শ্যামলী এগিয়ে গেলো !
ঘরের ভেতরে ঢুকে শ্যামলী একটু অবাক হলো ! এই জঞ্জলের মাঝে এরকম ব্যবস্থা আশা করে নি ! পরিষ্কার পরিছন্ন ও ছিমছাম আসবাবপত্র; একটা খাট, পাশে ছোট্ট টেবিল, একটা চেয়ার, ডিভান ও একটা আলমারি, পুরো জায়গাটা বাসযোগ্য করেছে! টেবিলের উপর একটা বড় মোমবাতি চারদিকে আলোকিত করছে ! বাঁদিকের কোণে একটা রান্নার জায়গা যেখানে আরেকটা টেবিলের উপর একটা স্টোভ ও কিছু বাসনপত্র রাখা আছে! কয়েকটা হাতা, চামচ, আর দুটো ছুরি ও রাখা আছে!
ঘরের পেছনদিকে আর একটা দরজা, সেটা কিন্তু বন্ধ!
হাতের ব্যাগ ও টর্চ টা টেবিলের উপর রেখে শ্যামলী লোকটার দিকে একটু খুশি হয় তাকালো , বলতে গেলো, " ধন্যবাদ", কিন্তু ওর চেহারা দেখে একটু থমকে গেলো ! যদিও প্রথম সাক্ষাতে মনে হয়েছিল সে একজন বৃদ্ধ, কিন্তু এখন আলোতে বুঝতে পারলো যে যদিও ওর শরীর ও মাথা সামান্য ঝুঁকে আছে, লোকটা কিন্তু একটি কমবয়সী মানুষ!
যখন সে দেখলো যে শ্যামলী ওর দিকে তাকিয়েছে তখন ও সামান্য হেসে প্রথম বার মুখ খুললো, "ম্যাডাম, আমার নাম, বসাক, এ কুঠিরের দেখাশোনা করি ! এখানে রাতটুকু থাকুন, কোনও দরকার হলে আমাকে ডাকবেন, আমি ওখানে ছোট ঘরে থাকবো!" ও পেছনের দরজার দিকে ইঙ্গিত করলো! গলার স্বর কিরকম ঘষা, বেমানান!
এছাড়া ওর দেঁতো হাসি দেখে শ্যামলীর মনে খটকা লেগেছে ... মুখের ভেতরে দাঁত গুলো এমন রক্তের মতন লাল যে মনে হচ্ছে লোকটা বহু পান- জর্দা খেয়েছে ! তার উপর ওর পাঞ্জাবি তে, অনেক জায়গায় লাল দাগ দেখা যাচ্ছে; অন্য কোনো ব্যাপার নাকি?
যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে শ্যামলী চেয়ার এ গিয়ে বসলো তারপর নিজের ব্যাগটা খুলতে শুরু করলো! লোকটা বুঝতে পেরে আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো পেছনের দরজা দিয়ে!
পুরো ব্যাপার টা কেমন যেন সন্ধিগ্ধ লাগছে! কোনো বিপদ হবে না তো ? শ্যামলী বেশ চিন্তিত হলো!
এরপর দু ঘণ্টা বেরিয়ে গেছে! রাত তখন সাড়ে নটা!
বৃষ্টি ও ঝড় সমান তালে চলছে !
শ্যামলী ব্যাগ থেকে একটা আপেল বার করে খেয়ে, নিজের kindle পড়তে পড়তে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে যখন একটা উদ্ভট আওয়াজ পেয়ে ঝটকা দিয়ে জেগে উঠলো !
মোমবাতি জ্বলছিল.. সেই আলোতে দেখলো, পেছনের দরজা টা আলতো ভাবে খুলছে! আর দরজার নিচে থেকে মাটির উপর লাল একটা স্রোত ধীরগতিভাবে বেরিয়ে আসছে !!
হটাৎ শ্যামলীর মনে আতঙ্ক ঘিরে ধরলো!
জঙ্গলের মাঝে এই দুর্যোগের রাতে, একটা অজানা পুরুষের সাথে ও একা এই ঘরে আছে ! কি হচ্ছে কে জানে ? ও নিজেকে কেমন ভাবে বাঁচাবে ? দুঃসাহসের কাজ করে ফেলেছে নাকি ?
ভয়ার্ত চোখে ও চারিদিকে তাকালো ... এবার কি হবে ? একটা আর্তনাদ বেরোতে গিয়ে বেরোলো না যখন ওর চোখ পড়লো সামনের দরজার দিকে!
ওর মন তখন দ্বিগুণ আতঙ্কে আঁতকে উঠলো!
কিন্তু দরজা টা খুলে ভেতরে এলো ... আর কেউ নয় … শ্যামলীর স্বামী - শুভঙ্কর!!
এই সময় ওকে দেখে এমন আশ্চর্য হয় গেলো যে কয়েক সেকেন্ড এর জন্য শ্যামলী স্তম্ভিত রইলো! তার পর তড়িঘড়ি বিছানা থেকে উঠে ছুটে গেলো স্বামীর দিকে...তাকে জড়িয়ে ধরে , বুকে মুখ গুঁজে বললো , " ওগো , তুমি এখানে কি করে এলে? কি করে জানলে ? খুব ভালো হয়েছে ... আমি ভীষণ ভয়ে পেয়েছি ...দেখো ওই পেছনের দরজাটা খুলছে মনে হচ্ছে !"
শুভঙ্কর তৎক্ষণাৎ শ্যামলীর হাত ছাড়িয়ে সেই দরজার দিকে এগিয়ে গেলো, এক ঝাটকা মেরে সেটা খুলে ফেলে ভেতরে দেখলো, তারপর মুখ ঘুরিয়ে বললো, "কি ব্যাপার ? কেউ তো নেই !"
"সে কি ? .দু ঘন্টা আগে সেই লোকটা তো আমাকে এখানে রেখে ঢুকে ছিল সেই দরজা দিয়ে পেছনের ঘরে…দেখো হয়তো বাইরে বেরোবার কোনো রাস্তা নিশ্চই আছে! "
" না, নেই " শুভঙ্কর উত্তর দিলো!
এরপর সে কাছে যখন এলো তখন শ্যামলী নিজের স্বামী কে আলিঙ্গন করতে গেলো, হয়তো মনে সাহস চাইছিলো, কিন্তু তাকে শুভঙ্কর আলতোভাবে বিছানায় বসিয়ে দিলো!
" তুমি এই কুটিরে কেন এলে ? জানো না ... এটা ভৌতিক জায়গা! এখানকার কেয়ারটেকার বহু বছর আগে এখানেই খুন হয়েছিল এক মহিলা পথ যাত্রীর হাতে ... তোমারই মতন সে একা ছিল! কারণ সে সেই মহিলা কে রেপ করতে চেয়েছিলো ... ধস্তাধস্তি তে রান্না ঘরের ছুরি সেই কেয়ারটেকার এর মুখে ঢুকে যাওয়াতে প্রচুর রক্তপাত হয়! মৃত্যু হয় !! তারপর তার আত্মা এখানে থেকে গেছে ... সেই মহিলা যদি ফিরে আসে তাহলে প্রতিশোধ নেবে, সেই আশায় ! মহিলা এতদিনে আইনের ঝামেলা থেকে স্বাধীন হয়েছে!"
শুভঙ্কর একটু থেমে বললো,"এখানের আশেপাশে সব গ্রামের লোকেরা এটা জানে !"
শ্যামলী বললে, " আমি এতসব কি করে জানবো? আমি কি এদিকের লোক? যাহোক তুমি কি করে এখানে এলে ? এতো খবর কি করে জানলে! তবে এসে আমায় বাঁচালে !"
শুভঙ্কর উত্তর দিলো, "এটা কিন্তু একেবারে কাকতালীয় ! হটাৎ অফিস এর কাজ পড়াতে আমাকে এই পথে যেতে হয়েছিল, জানতাম তুমি এই রাস্তায় ফিরবে ...এখন তোমার গাড়ি দেখে বুঝতে পারলাম তুমি আশেপাশে আছো ! তারপর এই কুটির খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল না! আর এই সব ভৌতিক খবর আমার এক বন্ধু দিয়েছে! শুনে বুঝতে পারলাম যে আমার উপস্থিতি তোমার দরকার!".
"কিন্তু আমি এখানে থাকতে চাইনা .. ভীষণ ভয় করছে ... চলো এখনই বেরিয়ে পড়ি ! তুমি কোন গাড়িতে এখানে এলে ?"
"যার কথা বললাম, সেই বন্ধু সঙ্গে যাচ্ছিলাম ! ও আমাকে নাবিয়ে দিয়ে গেলো ! কালকে সকালে একসাথে আমরা তোমার গাড়িতে দিল্লী ফিরবো! আর ভয়ে পাবার কিছু নেই ! কোনো বদমাস প্রেত কিছু করতে পারবে না তোমাকে !"
তারপর রাত নির্ঝঞ্ঝাটে কেটে গেলো ! শ্যামলী খাটে, কিন্তু শুভঙ্কর ডিভান এ শুলো ! অনেক পীড়াপীড়ি করার পর ও নিজের বউর সাথে খাটে এলো না ! বললো বিছানাটা দুজনের জন্য ছোট পড়বে!
সকালের আকাশ প্রায় পরিষ্কার, নীল, তবে হালকা সাদা মেঘ এ ভরা ! রাতের ঝড় ও বৃষ্টির কোনো চিহ্ন নেই! সূর্য বেরিয়েছে! মনেই হচ্ছে না যে রাতে এমন আতঙ্কর পরিবেশ হয়েছিল! সেই লোকটা কে কোথাও দেখা গেলো না ! মেঝে কোনো রক্তর দাগ ছিল না ! সবটাই মনে হচ্ছিলো দুঃস্বপ্ন !
শ্যামলী ও শুভঙ্কর টয়োটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো ও দশটা নাগাদ দিল্লির Connaught প্লেস এ পৌঁছলো ! ওখানের ওর অফিস এর কাছে শুভঙ্কর কে নাবিয়ে শ্যামলী, বসন্ত বিহার, নিজের বাড়ির দিকে রওনা হলো !
প্রায় এক ঘন্টা পর বাড়ি পৌঁছে, গাড়ি পার্ক করে যখন শ্যামলী ঢুকলো তখন আরেকটা অপ্রত্যাশিত ধাক্কা অপেক্ষা করছিলো ওর জন্যে!
ড্রয়িং রুম এ, বড় সোফা তে, শুভঙ্কর বসে আছে ! ড্রেসিং গাউন ও পাজামা পরে আছে, চুল উস্কো খুশকো... ল্যাপটপ কোলের উপর ...মনোযোগ দিয়ে অফিস এর কাজ করছে, বোঝা গেলো !
"একি...তুমি আমার আগে কি করে ফিরে এলে ? অফিস এ ঢুকলে না ? তাহলে Connaught প্লেস নাবলে কেন ? আমার সঙ্গে ফিরে এলে পারতে!"
শুভঙ্কর ভুরু কুঁচকে তাকালো, "কি বলছ ? আমি কাল বিকেলের পর থেকে বাড়ি থেকে বেরোই নি ! আমার শরীর টা, রাত থেকে ম্যাজম্যাজ করছে !"
"সে কি? " শ্যামলী ভীষণ আশ্চর্য ভাবে ওর বরের দিকে তাকালো, "সেই জঙ্গলের কুটিরে কাল রাতে আমার সাথে তুমি ছিলে না?"
"না তো, তুমি পাগল হলে নাকি ?"
"সে কে ? ও তো আমাকে সারা রাত বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে ! চেহারা তো একেবারে তোমার মতো!!"
যখন শ্যামলী পুরো ঘটনা টা খুলে বললো তখন দুজনে চিন্তায় পড়লো! ভাবতে ভাবতে ব্যাপার টা পরিষ্কার মনে হচ্ছে !!
কিন্তু ভীষণ অদ্ভুত লাগছে! ভৌতিক! অকল্পনীয়!
শেষে শ্যামলী বললো, " তবে কি রূপঙ্কর ছিল?"
শুভঙ্করের এক যমজ ভাই ছিল- রূপঙ্কর ! দুজনকে আলাদা করে চেনা যেত না ! ঠিক সাত বছর আগে তার ন্যাশনাল হাইওয়ে 0৮ এর উপর গাড়ি দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়; আকসিডেন্টের জায়গা সেই কুঠির থেকে খুব দূরে ছিল না !
কাল রাতে যখন শ্যামলীর বিপদ হচ্ছিলো তখন কি রূপঙ্কর এর অশরীরী এসে নিজের বৌদি কে বাঁচিয়েছে? বৌদি বলেই কি সে ওর সাথে এক বিছানা তে শুতে চায়নি ওর আলিঙ্গনে জড়িত থাকতে চায়নি.!
এই পৃথিবী তে অনেক কিছুই হয় থাকে !! এসবের ব্যাখ্যা হয় না !!