জোছনার ছায়া
জোছনার ছায়া
জোছনার ছায়া
একটি গ্রামে মুক্তা নামক এক মেয়েটি বাস করিত। দুই বৎসর পূর্বে সে তার প্রিয় মা-বাবাকে হারাইয়াছিল। এক রাতে মুক্তা ঘুমাইতে গেল। সেই সময় পূর্ণিমার চাঁদের আলো জানালা দিয়া ঘরের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হইল। হঠাৎ তার মা-বাবার কথা স্মরণ হইল। সে চাঁদের দিকে জল-ভরা দৃষ্টিতে চাহিয়া ছিল। সেই মুহূর্তে তার ঝাপসা দৃষ্টিতে তার মা-বাবার অবয়ব প্রতিভাত হইল। সে চোখ মুছিয়া অনেকক্ষণ চাঁদের দিকে তাকাইয়া থাকিল। পরবর্তীতে সে ঘুমাইয়া পড়িল।
পরদিন সকাল বেলায় মুক্তার উচ্চ জ্বর উপস্থিত হইল। ঐ দিন তাঁকে দেখিবার জন্য কোনো আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিল না। কিন্তু তার মায়ের এক বান্ধবী, অনামিকা, বিষয়টি জানিয়া আসিল। সঙ্গে কিছু গ্রামের লোকজনও উপস্থিত হইল। গ্রামবাসীরা প্রস্তাব দিলেন, "মধু মাখিয়া তাকে খাওয়াও," বা "অন্য যেকোনো চিকিৎসা করাও।" কিন্তু মুক্তা এসব কথার প্রতি মনোযোগ দিল না।
অনামিকা এক কবিরাজের কাছে গিয়া জরিবুটি সংগ্রহ করিয়া মুক্তাকে প্রদান করিলেন, কিন্তু তাও কোনো ফলপ্রসূ হইল না। পরিশেষে, মুক্তা তার দেহ ত্যাগ করিল।
এ ঘটনার পর গ্রামবাসীরা মনে করিল, মুক্তা হয়তো তার মা-বাবার সঙ্গে চাঁদের আলোর মাঝে মিলিত হইয়াছে।
