Tapan kumar Chakraborty

Classics Inspirational Others

4  

Tapan kumar Chakraborty

Classics Inspirational Others

জীবনের পথ

জীবনের পথ

8 mins
44


কোনো ভাবে হাঁপাতে হাঁপাতে প্লাটফর্মে এসে যে বগীটার হাতল সামনে এসে পড়লো সেটাকেই কোনভাবে আঁকড়ে পাটা রাখার চেষ্টা করছি,এর মধ্যে ভিতর থেকে চিৎকার, ভেসে আসছে, থোড়া সমহলকে।ইতি মধ্যে কয়েক জন আমার হাত ধরে ভেতরের দিকে ঠেলে দিলো । একজন এর মধ্যে বলে উঠলো বহুত বচগয়ে । এভাবেই রোজ ভিড়ঠেলেই যাতায়াত । কি করা। থোড়া হটকে ভাই

হটকে, বড়তে চলোএভাবেই বলতে বলতে এগিয়ে যেতে হয় এক চিলতে জায়গা পাওয়ার জন্যে।যদি পিঠটা ঠেকানো যায় ।বরাত ভাল থাকলে জায়গা একটা পেলে ওপাওয়া যেতে পারে । রোজ এ হাল ।

কয়েক টা স্টেশন পরেই নেমে যাওয়ার ,তাইএদিক ওদিক চাইতে চাইতে এগোচ্ছি যদি সামনে কোথাও পা দুটোকে একটু বিশ্রাম দেওয়া যায় ।

এর মধ্যে আমার নাম ধরে ডাকার আওয়াজ ভেসে এলো ।লোকের ভীড়ে কে যে কোন দিক থেকে ডাকছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না । এর মধ্যেই এক সহযাত্রী কাঁধে হাত রেখে বললো,আরেভাই উধরসে। এইবলে ঈশারা করলো । তাকিয়ে দেখি, কোনায় জানলার ধারে বসে আছে, সে তো আমাদের অরুণ । কোন ফাঁকেকোথা থেক ও আমাকে এভিড়ের মধ্যে দেখতেপেয়েছে,তাআমার জানা নেই ।

হাতের ইশারায় ডাকল, এদিকে আয় । কোন ভাবে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে এদিক ওদিক করে ওর দিকে এগিয়ে চললাম ।ওর নিজের বসার ঠাঁই নেই ,তার মধ্যে আবার আমি। দাঁড়া আগে নিজেকে ঠিক করি ।তারপর।

আর বলিস না,যেভাবে দিনে দিনে লোকজনের ভিড় বাড়ছে তাতে দাড়িয়ে ওথাকা যাবে না । এবার শুধু বাদুর ঝোলা তাও কম পড়বে,যা অবস্থা ।

আরে আগে এখানে বস বলছি । কোন ভাবে বেঞ্চে পাছা ঠেকিয়েআমি,এবার জিজ্ঞেস করলাম,-তুই চললি কোথায় ?এই ভাবে হঠাৎ তোর সাথে দেখা হবে তা আমি ভাবতে পারিনি । অরুণ বললো,আমরা চাকরির দাস,যখন যেখানে বলবে ছুটতে হবে।আর তাযদি না পারো তাহলে বসে থাকো নিজের ঠাঁই । এখন চলছি যোগবানী ।আমার নাহয় তোএঅবস্থা চিরকালের ।তা তোর এবাদুর ঝোলা কেন ।আর বলিস কেন,ছিলাম বেশ ।কোথা থেকে নতুন আমার সাহেব এসে দিলো জ্ঞান পুর ঠেলে । রোজ যাতায়াত, বাড়ী আর আফিস করে বেড়াচ্ছি ।সব বুঝলি ভাগ্য।

অরুণ তোরবাড়ী সব খবর ভালতো ?তোরা মেয়ারা সবাই । অনেক দিন হলো দেখা হয়নি, আর আমি ও যে কোথাও যাবো তা আর হয়ে ওঠেনা। তা কিখবর?খবর আর কি বলবো। চলে যাচ্ছে। বুঝলি,আজকাল খবর জিজ্ঞেস করলেই বলতে হয়,ভাল আছি ।না হলেই শতরকম প্রশ্ন ।কেন ।কি । কোথায়। তারপর আরম্ভ হবে সমস্যা সমাধানের কথা ।অত সব আজ কাল আর ভাল লাগেনা ।তাই ঠিক করেছি কেমন আছেন স্যার?কেউজিজ্ঞেস করলেই জবাব, ভাল।এক কথায় ল্যাঠা চুকলো । বেশী ঘ্যান ঘ্যানি ঐএক কথা ভাল লাগে না ।

আর তাছাড়া আজ কাল কেউ কিছু শুনতেই নারাজ ।গিন্নীকে বলো সে তার কাহিনী শোনাবে আর ছেলে মেয়েদের বলো তারা তাদের কথা শোনাবে আলাদা। মনে হয় কি জানিস আমি এক কথা শোনার মেশিন। মধ্যে মধ্যে মনেহয়জীবনটাই বৃথা ।খালি ঘানি টানছি ।

কথা শুনেই মনে হচ্ছে আজ অরুণের মেজাজটা সুবিধার নয় । আমি জিজ্ঞেস করলাম,হ্যারে আজ কারো সাথে কোন রকম কথা কাটাকাটি , ঝগড়া হয়েছ কি?

অরুণ বললো না,যা হক কথা তাই বললাম। তুই ও দেখতে পাবি এরকমটাই হয় ।

আমি বলেউঠি,দেখ তুই একদিন বলেছিলে, মনে পড়বে হয়তো বলেছিলি সীমাই সব সংসার সামাল দেয় ।আমার ঘোরাঘুরি চাকরি,আজ এখানে,কাল ওখানে তাই সংসারের কোনো সাহায্য আমার দ্বারা হয়ে ওঠে না । ছেলে মেয়েদের মানুষ করা , তাদের স্কুল, পড়াশোনা তারপর নিজের চাকরি সামলানো সব ও একা হাতেই তো করছে। 

সুতরাং সব সময় যে সীমার মাথা শান্ত না ওথাকতে পারে ।ও তো বিভিন্ন পরিস্থিতিতেই কাজ করছে তা ছাড়া সংসারের সব ধকল তোওই সামলাচ্ছে।তাই তোকে ওর স্থিতিটাকে বোঝা দরকার ।

তুই যদি ওর পরিস্থিতিকে না বুঝবি, তাহলে চলবে কি করে ।সব সময় অশান্তিই লেগে থাকবে ।

দেখ,আমি বলি তুই ওর একটা দিক দেখছিস । তুই বলছিস সীমা তোকে কথা শোনায়,যা সহ্যের বাইরে। কিন্তু কেন শোনায়,সে কথাটা কি কোন দিন চিন্তা করে দেখেছিস?

আমার মনে হয় অরুণ তুই কোন দিন ওর দিক হয়ে বুঝতে চেষ্টা করিসনি । তাই এঅশান্তি ।

তুই নিজেই তো চারদিক দেখছিস, কিভাবে মানুষ পাল্টে যাচ্ছে, পরিস্থিতি কিভাবে ঘুরে যাচ্ছে সেটা একবার চিন্তা কর । স্বামী স্ত্রীর নিজেদের সমস্যাকে নিজেদের মধ্যেই সমাধান খুঁজে নিতে হবে ।অন্যলোক তৃতীয় পক্ষ এর সমাধান খুঁজে বের করতে কোন দিন পারবে না ।

তাছাড়া তোর আদৌ কোন সমস্যাই নয় এটা । সকলের ঘরেতে অনেকেই চাকরি করে সংসার সামালদেয় ।তা বলে তোর মত কেউ ক্ষেপে ওঠে না ।অরুণ আমার কথা শুনে কিছু ক্ষণ থমধরে থাকল । আমি বললাম কি হলো । চুপকরে গেলি একদম । আরে,না , আমি বলি যখন সীমা কথা বলতে আরম্ভ করে, সেসময়ে তোরা যদি ওর কথা একবার শুনতিস তা হলে বুঝতে পারতিস ।

আমি বললাম বুঝতে পারছি আমার কথা গুলো এখন ও তোর কানে ঠিক মতো যায়নি । শান্ত মনে এক বার আমার কথা গুলো তলিয়ে দেখিস, তাহলেই বুঝতে পারবি ।

এদিকে গাড়ী ছুটে চলেছে একেরপর এক স্টেশনের বাতি গুলোকে পেছনে ফেলে দিয়ে আলো আঁধারের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে ।

আমি বললাম কি রে আবার চুপ হয়ে গেলি কেন।

অরুণ কিছুটা স্বাভাবিক করেনিয়ে বলল ।নাকিছু না ।ঐঅনেক সময় সহ্য হয়না , তাই বললাম তুই আবার এসবকথা সীমাকে জানাস না।তাহলেআবার এক কুরুক্ষেত্র হবে ।

আমি বলি,পাগল হয়েছিস তুই।

একথা কেউ বলে। প্রায় বছর কেন,তার বেশী হবে অরুণের সাথে আমা্র দেখা হয়নি। তবে মাঝে মধ্যে অরুণ আমার খোঁজ খবর নিত । চিঠিপত্র দিত ।তারপর কাজের সুবাদে তাঐবছর বা তার একটু বেশিই হবে এলাহাবাদে আসে তখনই যা দেখা কথা বার্তা । তারপর আর দেখা হয়নি ।ওই যা আমাকেখবর দিত ।তারপর অরুণের ঘোরাঘুরির চাকরি, এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়।

আমি ওএকটু আলসে । তাই ওর চিঠি আসলে ওআজ লিখবো কাল লিখবো করে সময় বেরিয়ে যায় ।তারপর ভাবি অনেক দিন হয়েছে আর কি উত্তর দেব।পরে দেখা যাবে ।এ বলেই থেকে যায়।

এমনকি মঞ্জুর চিঠিআসলে ও সময় মতো উত্তর দিতে পারিনা ।এটা অবিশ্যি আমার দোষ ।

লেখা আমাকে কয়েক বার বলেছে চিঠিপত্র আসে সময়করে যে চিঠি গুলোর উত্তর দিয়ে দেবে সেটা তোমার দ্বারা হয়ে ওঠে না । সে চিঠি মাসের পর মাস এসে পড়ে থাকে ।কিযে তোমার অভ্যেস বাবা বুঝি না বাপু।সময় তোমার হয় না,কিযে কর । আলসেমীর একটা শেষ আছে ।

যতদিন বাবা ছিল তত দিন মঞ্জুর চিঠি প্রায় মাঝে মধ্যেই আসত ।আমাকেও চিঠি লিখতো কিন্তু আমার অভ্যেসের জন্য হয়তো ধীরে ধীরে ও চিঠি লেখাটা কমিয়ে আনে ।

অরুণ বললো হতেই পারে ।

আমি বললাম দেখ অরুণ সব কথাই তো তোর জানা ।মার সাথে মঞ্জুর খুব যে একটা বনি বনা যে ছিলনা তাতো তুই নিজেই দেখেছিস । এর কারনটা অবিশ্যি পরে আমি জেনেছি।সেঅনেক পড়ে ।তখন তো কিছু আর করার ছিল না ।

মার কথাতেই বাবা মঞ্জুর তাড়া তাড়ি বিয়ে ঠিক করে ।যদিও মঞ্জুর ইচ্ছে ছিলো পড়া শোনা করে ওএক দিন মাষ্টার হবে । একথা ওবাবার কাছে বলতো ।বাবার ওযে ওকে তাড়াতাড়ি শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর জন্য ব্যস্ত ছিল , এমন মনে হোত না । বাবা চাইতো সবাই আমরা স্কুলে যাই, মঞ্জু ওসেই সাথে যাচ্ছে।ব্যাপার তো এক ।ওযদি পড়াশোনা করে দাঁড়িয়ে যেতে পারে নিজের পায়ে সেতো ভাল কথা ।

কিন্তু মার এই ইচ্ছেটা ছিলো না, প্রথম থেকেই ।আমরা তখন ছোট মার অমতে বাবা এক রকম জোড় করেই মঞ্জুকে আমাদের সংসারে নিয়ে আসেন । মঞ্জুর মা এবং বাবা অসময়ে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পড়ে ।

তাই প্রায়ই ছোটবেলায় দেখেছি, বাবা মঞ্জুর পক্ষনিয়েএকটু কথা বলতে আরম্ভ করলেই, আমাদের বাড়িতে মা বাবার মধ্যে লঙকা কাণ্ড বেঁধে যেতো । সে দিন আর রক্ষা থাকতো না । বাড়ী তুমুল।যাই হোক সে সব দিন গেছে ।

বাবা যতদিন ছিলো ততদিন মঞ্জু ফিবছরে দু একবার তো এসেইছে ।তারপর ওর সংসার বড় হয়ে পড়লো আসার সব সুযোগ হয়ে ওঠে না ,তাই ওর বাড়ীতে আসা কমে আসল । অবিশ্যি মার যখন শরীর অসুস্থ তখন মঞ্জু নিজেই এসে ছিলো,মার সেবা শুশ্রূষা করতে । ছিল ও বেশ কিছুদিন। তখনই ওর সাথে যাকথা ।

এমনিতেই সব কথা তো ওবলতো না ,তার পর মা যখন শেষ শয্যায় তখন মাকে দেখার জন্য এসেছিল তখন কিন্তু মঞ্জুকে দেখে আমার একটু সন্দেহ হয়েছিল । আমি মঞ্জুকে জিজ্ঞেস ওকরেছিলাম ,কি রে মঞ্জু তোর বাড়ীর সব ঠিক আছে তো? বললেই বলতো তুমি একবার আমাদের কানপুরে এসো,তখন কথাহবে।বলেইচুপ করে

পাশকাটিয়ে যেতো ।

আমি অবিশ্যি মঞ্জুর বাড়ীতে এর আগে দু তিন বার

গিয়ে ছিলাম । ঠিক ঠাক ছিলো । অবিশ্যি দু চার দিনে কি বা বোঝা যায় ।

তোর তো মঞ্জুর বাড়ীতে যাতায়াত আছে। ইদানিং কেমন আছে,জানিস?

কেন ?মাস দুয়েকের মধ্যে ওর কোন খবর তোকে জানায়নি? মনে তো পড়ে না ,আমি বলি ।তবে হ্যা ,ওএকটা চিঠি আমাকে দিয়েছিলো,তা অনেক দিন হবে,তাতে ও দু:খ করে ছিলো , ওর সংসারের কথা নিয়ে ।

চিঠিটা দেখার পর , আমি তখন ভেবেছিলাম যে একবার ওর বাড়ী থেকে ঘুরে আসবো । আমাদের ছাড়া ওর আপন বলতে গেলে কেউ নেই । একথা আমি লেখাকে ও বলেছিলাম । লেখা তখন বলেছিলো দেখ সময় করে যদি যেতে পারো ।

কিন্তু ঐযে বলে তুমি মনে করলে কি হবে। তোমার সময় । ঠিক সেই সময়ে লেখার শরীরটা ওখরাপ হলো, হাসপাতালে ভর্তি করতে হলো।সে সময় দ্বিতীয় বারে যখন লেখা হাসপাতালে ভর্তি হলো তখন তোকে জানিয়ে ছিলাম আমার মনে পড়ে । সে সময়ে মঞ্জুকে ও জানিয়েছিলাম । তোকে ও জানিয়ে ছিলাম যে যদি পারিস অরুণ তুই মঞ্জুর বাড়ীতে একটা খবর নিস ।

অরুণ বললো দেখ অফিসের ব্যাপার ,তারপর আমি তো আর সব সময়অফিসে থাকিনা ,হয়ত চিঠি পৌঁছ লেও আমার হাতে এসে সব সময় পৌঁছয় না ।

তবে কিছুদিন আগে আমার কাজের জায়গাতে মঞ্জু একজন লোকের হাত দিয়ে একটা চিরকুট পাঠিয়ে ছিলো । আমি যেন সময়করে ওদের বাড়িতে যাই,একটু তাড়াতাড়ি যেন করি । আমি অবিশ্যি যে লোকটি এসে ছিলো তাকে জিজ্ঞেস ও করলাম যে হঠাৎ কি ব্যাপার হলো।সে মঞ্জুদের বিষয়ে কোনো খবর বলতে পারল না । মঞ্জু ঐলোকটিকে শুধু বলেছে , সে জেন এই চিরকুটটা ঠিক মত পৌঁছে দেয়, তাহলেই আমি বুঝতে পারব ।

আমার অবশ্য একটু দেরি হয়েছে, চিরকুটটা পাওয়ার তিন চারদিন হবে তারপর সময়করে মঞ্জুর বাড়ীতে যাই ।এর আগে যখন ওর বাড়ীতে গিয়ে ছিলাম,তখন মঞ্জু ওদের বাড়ীর ভাগাভাগি নিয়ে জমি জমার কথা উঠিয়েছিলো । কিন্তু ইতিমধ্যে তারক এসে পড়ায়,কথাটা ওখানেই কেটে গেলো। আর একথা ,সেকথায় কথার মোড় ঘুরে গেলো । আমি ও তারপর সেদিন চলে আসি,অন্য আরেক দিন এসে কথা বলবো বলে ।

চিরকুটটা পাওয়ার পর ঐ জমি জায়গার ভাগাভাগির কথাই আমার মনে হলো ওই ব্যাপারেই হয়তো ডেকে থাকবে, একারনেই লোকটিকে ওকিছু বলেনি ।

তুই হয়তো জানিস,তারক ইদানিং বোতল খাওয়া ধরছিলো। আমি কয়েক বার বোঝা বার চেষ্টা করেছি কিন্তু তার ফল কতদূর সফল হয়েছে তাবলতে পারব না । তবে কিন্তু তারকের কথাবার্তা খারাপ ছিল না।

হ্যা,তারকের কথাটা আগে একবার মঞ্জু জানিয়ে ছিলো ।

ট্রেন ছুটছে ।আমার নামার সময় হয়ে এলো ।

আমি বললাম অরুণ তারপর কি দেখলি সেটা বল ।

সেঅনেক কথা, মহাভারত । অরুণ বললো ।

আমি বলি মোট কিহলো , সেটাতো বলবি । তাড়াতাড়ি বল । এদিকে প্রচন্ড ভিড়। আমাকে এই ভিড় ঠেলে নামতে হবে ।

একথা বলতে বলতেই হুড়োহুড়ি করে হুইসিল দিয়ে ট্রেন প্লাটফর্মে ঢুকেপড়লো ।

আমি বললাম কথা রয়ে গেলো ।চলি, আবার দেখা হবে । চিঠিতে জানাস ।

নিজেকে কোন রকমে সামলে ভিড় ঠেলে নামতে নামতেই গাড়ীর সবুজ বাতি হয়ে গেছে,তবু ওর জালনার ধারে দৌড়ে গেলাম,যদি অরুণ কিছু বলে: অরুণের শুধু একটা চিৎকার আমার কানে ভেসে আসল ,তারক পাগল _গাড়ী ততক্ষনে প্লাটফর্ম

এর বাইরে ।

-----------------------০০০০০০০০------------------


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics