হোক প্রতিবাদ
হোক প্রতিবাদ
বিশ্ব জুড়ে সব দিক থেকে ঘটে চলেছে মানবতার স্খলন। অমানবিক আচরণের টানে বিলাসিতার প্রয়োজনে মানুষ যথেচ্ছ ভাবে কাটছে গাছ। বন জঙ্গল কেটে সাফ করে গড়ে তুলছে কল কারখানা। সারি সারি গাছ কেটে তৈরি করছে আবাসন, সড়ক ও রাস্তা।
ঘটছে উষ্ণায়ন। এর ফলে ঋতুচক্র ভেঙে হয়ে যাচ্ছে ছাড়খার। মাটির তলে শুকিয়ে যাচ্ছে জল। পানীয় জলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে জলের অনুপাত বাড়ছে,স্থলের অনুপাত কমছে।
অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাতের ফলে হচ্ছে কোথাও খরা,কোথাও বন্যা। শুধুই ক্ষতি,আর ক্ষতি। যেদিকে দৃষ্টি যায় দেখি শুধু বিনাশ,আর বিনাশ। বিনাশই যেন ভবিতব্য আজকের পৃথিবীর।
একই কারণে মানুষ নির্বিবাদে হত্যা করে চলেছে বন্য প্রাণী। ভেঙে পড়ছে ইকোলজিকাল ভারসাম্য। নতুন নতুন ক্ষতিকর ভাইরাস নিচ্ছে জন্ম। মানুষের স্বাস্থ্য হয়ে পরছে অতি ভঙ্গুর। বিজ্ঞানের এতো উন্নতিও আটকাতে পারছে না মহামারি।
পরিবেশের জড় ও মনুষ্যেতর উপাদানের উপর অন্যায়, অমানবিক আচরণ করে মানুষ আজ তৃপ্ত নয়। নিজের জগতে মানুষ আজ সমান ভাবে অমানবিক।
খুব তুচ্ছ কারণে মানুষ আজ মানুষ খুন করতে পিছপা হয় না। ব্যক্তি মানুষ খুন করছে অন্য ব্যক্তিকে। নারী জাতির শীলতা হানী করছে প্রকাশ্যে।তেমনি এক রাষ্ট্র ক্ষুদ্র রাজনৈতিক, রাষ্ট্রনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধের দোহাই দিয়ে নির্বিচারে অন্য রাষ্ট্রের মানুষ খুন করে করছে।
সর্বোপরি নিজের জাতির বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের কাজে যারা নিযুক্ত তারা ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করতে চায় না। ঘুষের বিনিময়ে যে যা পাওয়ার যোগ্য নয় তাকে সেটা পাইয়ে দিয়ে, যোগ্যদের বঞ্চিত করার মধ্য দিয়ে এক চরম বিশৃংখল সামাজিক পরিবেশ তৈরি করছে। যাদের হাতে ক্ষমতা আছে সেইসব মানুষের সামাজিক বিধিবিধান ভেঙে, রাষ্ট্রিয় আইন কানুন ভেঙে মাৎস্য ন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করার প্রবণতা গড়ে উঠছে।
সময় হয়েছে এইসব প্রবণতা ও কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। তাই বলি সমাজে সমাজে উঠুক রব, "হোক প্রতিবাদ "।
