গল্প - #অজানা_বন্ধনপার্ট - 3
গল্প - #অজানা_বন্ধনপার্ট - 3
ঐদিকে আকাশ,,,,,,,
আকাশ- আমিতো বিয়ে করতে চাইনি, শুধুমাত্র বাবা মায়ের জন্য বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি,কিন্তু আমি ওই মেয়েকে কোথাও দেখেছি কিন্তু কোথায়......... হ্যা মধ্যে পড়েছে, কলেজে দেখেছিলাম কিন্তু ওর চুল তো ছোট ছিল একদম ঘাড় পর্যন্ত এখন মনে হয় চুল লম্বা হয়েছে, জানিনা আর কিচ্ছু জানতেও চাইনা, আমি শুধু তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই প্রিয়া, I love you Priya, I still love you.
এদিকে অদ্রিজা আমাকে নিয়ে খেতে আসলো,
আমি- খেতে বসলাম,জানি আজ তো তার মুখ দেখতে পাবো না মানে দেখা যাবে না, তাই মনে হয় আগেই খেয়ে নিয়েছেন, আমিও খাচ্ছি বাড়ি হলে তো আমি অনেক তাড়াতাড়ি খেতাম কিন্তু এখানে।আমার মা বলেছিলেন যে এবার থেকে এটাই আমার বাড়ি ,ধুর বাবা ভালো লাগে না, আমি তো বুঝতে পারিনা যে জন্ম থেকে যে বাড়িতে আমরা থাকি বিয়ের পর সে বাড়িই তার কাছে পর কি করে হয়ে যায়, চিরচেনা বন্ধন গুলো আর চিরচেনা বাড়িটা র সাথে # অজানা বন্ধন হয়ে যায়, এসব ভাবছিলাম আর খাচ্ছিলাম, খেয়ে পড়ে আমি অদ্রিজার সাথে ওর রুমে যায়, কিন্তু ঘুম আসছিল না, তার একটাই কারণ যে আকাশ প্রিয়াঙ্কা কে বিয়ে না করে আমাকে কেন বিয়ে করলো? আর তার জন্যই আমি আবার ফিরে গেলাম আমার অতীতে,,,,,,
6 বছর আগে,,
সকালে ঘুমাচ্চি ঠিক তখনই ফোন ঘুমের ঘোরে ফোন রিসিভ করলাম,
আমি- কি হয়েছে? কে ফোন করেছেন ? কথা বলছেন না কেন?
ওপাশ থেকে- সকাল 7 টা বাজে আর কত ঘুমাবি, উঠ চুপচাপ( ধমক দিয়ে)
আমি- মাম্মা!
মাম্মা- হুমম আমি কেন কি হলো এখনো পরে পরে ঘুমাচ্ছিস, ওঠ কলেজ এ যেতে দেরি হবে,
আমি- হুম হুম ঠিকাছে, after college আমি তোমাকে ফোন করব, বাই
মাম্মা- হুমম(পাগলি একটা)
আমি- সত্যি দেড়ি হয়ে গেছে, কলেজ যেতে হবে, আমি Architect 1st Year এর ছাত্রী, মাত্র দুদিন হলো কলেজ গেছি আমার পাপা কোলকাতার একটা ভালো কলেজে আমাকে ভর্তি করে দিয়েছে তাই হোস্টেলে থাকি, যাই হোক ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বেষ্টটু রা ঘুমাচ্ছে, আরে এই নন্দু , শ্রী ওঠ এবার
নন্দু- আরে Shreyu চুপ ঘুমাতে দে না।
শ্রী- চুপ থাক তুই, তাড়াতাড়ি ওঠ সত্যি দেড়ি হয়ে গেছে কলেজ যেতে হবে তো।
নন্দিতা(নন্দু) ,সৃজিতা (শ্রী) আর আমি আমরা তিনজন তিনজনকে এই নামেই ডাকি, যাক ওরা উঠলো,
নন্দু - আরে তাড়াতাড়ি যাবো নয়তো যদি ragging করে?
আমি- একবার করার দুঃসাহস দেখাক ওটা তার দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে।
শ্রী- তুই কি কাওকে ভয় পাস না রে
নন্দু- আরে ও আঙ্কেল কে ভয় করে তো তাছাড়া ওর কাছে সবাই প্লাস্টিক ফু দিয়ে উড়িয়ে দেবে,,,
শ্রী- আরে Shreyu ,আজ তো সোমবার তুই কি আজ মন্দির যাবি?
আমি- অভিউসলি
শ্রী- কিন্তু এখানে মন্দির কোথায় আছে আমরা তো জানি না
আমি- Don't worry Sweetie আমি সব খবর নিয়ে নিয়েছি
নন্দু- Really?
আমি- হুমম
শ্রী- আর পুজোর সামগ্রী?
আমি- সব আছে আমার কাছে, তাড়াতাড়ি স্নান করতো দেন মন্দিরে যাবো দেন কলেজ। hurry up.
নন্দু - যাচ্ছি
শ্রী- আমি আগে
নন্দু- না আমি আগে
শ্রী- না আমি
নন্দু- আমি
শ্রী- আমি
আমি- এইইইইই
শ্রী- বৈইইইইই
নন্দু- ছৈয়ইইইই
শ্রী- কইইইইইইইই
আমি- সইইইইই তোরা বস আমিই যাচ্ছি।
শ্রী ও নন্দু- Oh shit!
আমরা তিনজন পুজো করে কলেজ এ চলে এলাম।
কলেজে।।।।
নন্দু- এই সত্যি যদি ragging করে,
শ্রী- প্রথম দুদিন তো কিছু করেনি শুধু 100 বার নাম জিঞ্জেস করেছিল। হুমমম
আমি- তুই গুনেছিলিস?
শ্রী- ওই আর কি
আমি- ছাড় আমি দেখি কে কি করে
তখনই একটা মেয়ে আসলো
মেয়েটা - Hey You , Come here, ( আমাদেরকে দেখিয়ে)
ইতিমধ্যে,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,