অজানা বন্ধন পার্ট- 6
অজানা বন্ধন পার্ট- 6
তখনই,,,,,,,
দরজায় নক করলো কেও, যেহেতু আমি জেগেই ছিলাম তাই গিয়ে দরজা খুলে দেখি আমার শাশুড়ি মা দাঁড়িয়ে আছেন,
আমাকে দেখা মাত্রই বলেন,
আকাশের মা- তুমি এত তাড়াতাড়ি উঠে গেলে? রাত্রে কি ঘুমও নি?
আমি- না মা ঘুমিয়েছি, তাড়াতাড়ি ওঠা আমার অভ্যেস ( মিথ্যে বললাম নয়তো মায়ের খারাপ লাগবে তাই)
আকাশের মা- ওহ আচ্ছা, শোনো আজ তোমার বৌভাত, আর তাছাড়া আজ অনেক রীতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে, তাই তুমি তাড়াতাড়ি স্নান করে চলে এসো।
আমি- ঠিক আছে মা ( আমি তো জিঞ্জেস ও করতে পারছিনা যে আমার জামাকাপড় কোথায় আছে)
মা চলে যাবেন তখন আবার আমার কাছে এসে বললেন,
আকাশের মা- আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম, তুমি আমার সাথে চলো।
আমি ও ওনার সাথে গেলাম, গিয়ে দেখলাম অনেকে ওখানে বসে আছে, তাই আমিও তারাতাড়ি করে সবাইকে প্রনাম করে নিলাম, তখন এক মহিলা বললেন,
মহিলা- আরে বৌমা তো গুণবতী, কাওকে বলতেও হলো না আর সবাইকে প্রনাম ও করে নিলে, বেঁচে থাকো মা, সিঁথির সিঁদুর অক্ষয় থাকুক।।
আমি কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আমার শাশুড়ি মা বললেন,
আকাশের মা- শ্রেয়া এই নাও এই শাড়িটা আর এই গয়না গুলো পড়বে।।।
আমি চলে যাচ্ছিলাম তখন আবার বললেন,
আকাশের মা- আজ চুলে জল দিয়ো না, নয়তো সিঁদুর চলে যাবে।
আমি- ঠিক আছে মা।।
আমিও চলে এলাম, আমি এসে দেখি অদ্রিজার স্নান হয়ে গেছে, ও বললো,
অদ্রিজা - বৌদিভাই তাড়াতাড়ি করো।
আমিও তাড়াতাড়ি স্নান করলাম, চুলে জল দিইনি ,আমি যেই শাড়িটা পড়েছি সেটা খুব সুন্দর ,লালে আর আঁচল টা হলুদ সত্যি খুব সুন্দর, গয়না পড়লাম, শাখা , পলা আগেই ছিল তার সাথে চূড় পড়লাম গলায় একটা চেইন কানের ঝুমকো নতুন বউ বলে কথা, আর সিঁদুর already মাথায় অনেক আছে, যা দেখে একটা শিহরণ বয়ে গেল, ইতিমধ্যে আমাকে অদ্রিজা নীচে নিয়ে গেল, সেখানে সবাই খুব নাম করেছে আমার।
হঠাৎ করে অদ্রিজা আকাশ কে ডেকে আনলো যা দেখে আমার অবস্তা তো খারাপ,
কিন্তু আকাশ একটা নীল রং এর শার্ট পড়েছে, blue জিন্স দেখতে দারুন লাগছে, সত্যি এত হ্যান্ডসম হাসবেন্ড পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, কিন্তু ভয় আছেই তাড়াতাড়ি আমি ভগবান কে ধন্যবাদ বললাম, আবার প্রিয়াঙ্কার কথাটাও মাথাতে ঘুরছে...... ..
তখনই মা বলেন আকাশ কে উদ্দেশ্য করে,
আকাশের মা- আকাশ এই লোহাটা শ্রেয়া কে পরিয়ে দে।।।।।
বিয়ের পর স্বামী তার স্ত্রী কে লোহা পরিয়ে দেয় এটা নিয়ম ,আকাশ ও কোনো কথা না বলে পরিয়ে দিলো,ইনফ্যাক্ট পড়ানোর সময় একবার ও আমায় দেখেনি,
তারপর আমার মামাতো ননদ মানে আকাশের মামার মেয়ে বললো থালা হারাতে যেতে হবে,
হম্মম্মম এটাও একটা নিয়ম যা পুকুরে গিয়ে করতে হবে,
কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যদি আকাশ আমাকে পুকুরে ডুবিয়ে দেয় তাহলে,,,,,,,,,
কিন্তু I have no option ,তাই গেলাম তবে ডুবিয়ে মারেনি,
কিন্তু আকাশ কে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে ও বাধ্যতামূলক এগুলো করছে আমার সাহস নেই যে আমি ওকে ask করবো, না আমার দরকার নেই সুস্থ শরীরকে
ব্যস্ত করার,।
আমরা বাড়ি এলাম তখন মা বললেন,
আকাশের মা- শ্রেয়া আজ তোমার প্রথম রান্না । তাই তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও, ঠিকাছে।
আমিও ঠিক আছে বললাম।
এটাও একটা রীতি বৌভাতের সকালে বা নতুন বউএর প্রথম সকালে তাকে পায়েস রান্না করতে হয় নিয়ে সেটা ভোগ দিতে হয় ভগবান কে then সবাই খাই।
এটা আমার প্লাস পয়েন্ট কারণ আমি বেশির ভাগ রান্নায় পারি, cooking আমার হবি তাই,
আমি ও পায়েস রান্না করে ভোগ লাগিয়ে সবাইকে দিলাম সবাই খুব নাম করলো রান্নার কিন্তু আকাশ কে কোথাও দেখতে পেলাম না।।।।।।
তারপর আমি বসেই সময় পার করলাম, এখনো পর্যন্ত আকাশের রুমে যাওয়া হয়নি আমার সেটাতে আমি খুশি,
দুপুরে খেয়ে একটু রেস্ট করে আবার রেডি হতে হবে, তাই মোবাইল এ chatting করে time spend করলাম ইতিমধ্যে বিকেল হয়ে গেছে আর পার্লার থেকে 5 জন এসেছে তারা আমাকে সাজিয়ে দিলো,
আমি একটা রেড কালার এর লেহেঙ্গা পড়েছি সিঁদুর আছে কানে ঝুমকো, গলায় ভারী হার , হাতে চুড়ি শাখা পলা, লোহা, আরো গরজিউস make up আর চুলটা বড়ো করে খোঁপা যা খুলতে আমার কষ্ট হবে তাও নতুন বউ এগুলো তো পড়তে হবেই।।।।।
আমাকে পার্টির জায়গাতে নিয়ে যাওয়া হলো আজ আমি অনেক খুশি আমার বাড়ি থেকে অনেকে আসবে কিন্তু মা আসবে না ,তাই খারাপ ও লাগছে, ।।।
আমি আকাশ কে খুঁজছি কিন্তু কোথাও দেখতে পেলাম না তাই খুব খারাপ লাগছে , সকাল থেকেই আমি তাকে আর দেখতে পাইনি জানিনা আমার কেন খারাপ লাগছে, কিন্তু খুব খারাপ লাগছে।
অনেকক্ষন পর আকাশ কে দেখতে পেলাম, আকাশ একটা সাদা শার্ট পড়েছে আর নীল ব্লেজার আর নীল প্যান্ট , ব্রান্ডেড সু, হাতে ব্র্যান্ডেড ঘড়ি চুলে জেল লাগানো , দেখতে দারুন লাগছে, সত্যি বলতে আমি crush খেয়েছি তাও আবার এই প্রথম,
ওকে অদ্রিজা টেনে এনে আমার পাশে দাঁড় করলো আর কয়েকটা ছবি তুললো ওরা আমাদের আমার মুখে হাসি থাকলেও আকাশের মুখে নেই।।
এরইমধ্যে আমার বাড়ি থেকে সবাই এলো আকাশ ও কোথায় আবার চলে গেল, সবার সাথে কথা বললাম।।।।
ভালো লাগছে যদিও 1 দিন হল এসেছি তাও,,,
অনুষ্টান ভালোই ভালোই শেষ হলো।।।
এবার আমরাও খাবার খেলাম তখন অবশ্য আকাশ আমার পাশেই ছিল তারপর আবার হাওয়া।।।।।
এবার হচ্ছে ফুলশয্যা আর সবাই আমার মাথা খাচ্ছে এটা বলে, তারপর সবাই মিলে আমাকে আকাশের রুমে নিয়ে গেল।।।
রুমে যেতেই,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,
( কিছু ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন)