Ankita Chatterjee

Romance Others

3  

Ankita Chatterjee

Romance Others

অজানা বন্ধন পার্ট- 2

অজানা বন্ধন পার্ট- 2

3 mins
296



 তখনই,


আমার ননদ আমাকে ডাকলো,

অদ্রিজ ( আকাশের নিজের ছোট বোন,কলেজ এ পরে honours 2nd year দেখতে সুন্দরী আর মনের দিক দিয়ে খুব ভালো) - বৌদিভাই তুমি চুপচাপ কি করছো? আর তুমি এত কাঁদছো কেন ?

তখন আমি খেয়াল করলাম যে আমার চোখে জল, কি থেকে কি হলো আর চোখের জল ও এখন অনুভব করতে পারছিনা , তখনই আবার অদ্রিজা ডাকলো,

অদ্রিজা - বৌদিভাই কি হলো গো ? 

আমি - না না কিছুনা।

অদ্রিজা - তুমি বসো আমি এক্ষুনি আসছি।

আমি - ঠিক আছে

আমার দুদিন ধরে ঠিক ভাবে খাওয়া ও হয়নি আর বিয়ের দিন তো কিছু খাওয়া যায় না তাই কাল সকাল থেকে আমার উপবাস চলছিল ,আর এখন পেটে ইঁদুর দৌড়ালেও কিছু বলা যাবে না। ঠিক তখনই দেখলাম আকাশ খুব বিরক্তি ভাবে বসে আছে, কিন্ত সাহসও নেই জিজ্ঞাসা করার তাই ছেড়ে দিলাম এই ভাবনা। তবে সাত জন্মের জন্য না হলেও এই জন্মের মতো যে আকাশের সাথে আমার সম্পর্ক জুড়ে গেছে সেটা ভালো ভাবেই বুঝতে পারলাম,যাইহোক বিকেলে আমি প্রথম পা রাখলাম আমার শশুর বাড়ি তে। বাড়িটা দোতলা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে অসম্ভব সুন্দর পুরো বাড়ি সাদা রঙের। কিন্তু এই বাড়িতে কেবল আকাশের মা বাবা আর অদ্রিজা থাকে,হমম কারণ আমার স্বামী মানে আকাশ দিল্লিতে থাকে কর্মসূত্রে, সেটা বিবাহ পূর্বে ই বলা হয়েছিল আর তাই আমাকেও দিল্লিতে ট্রান্সফার নিতে হয়েছে, এতক্ষণ আমি বাড়ির দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম, আর এখন মা মনে আমার শাশুড়ি মা বরণ থালা নিয়ে এলেন এবং বরণ করে বাড়িতে ঢোকালেন। বাড়ির ভেতর তাও খুব সুন্দর পুরো বাড়ি সাদা রং করা। আর ড্রইং রুমে ই একটা বড় ফ্যামিলি ফটো ।আজ কালরাত্রি তাই স্বামী র মানে আকাশের মুখ আজ দেখা নিষেধ। তাই আজ অদ্রিজা র রুম এ গেলাম ওর রুম টা অনেক বড় হলুদ রং এর আর অন্তত আজকের জন্য ভয়টা কমলো, (জানেনই তো আকাশ কে কত ভয় পাই কেন ভয় পাই সেটাও খুব তাড়াতাড়ি বলবো) এইসবই ভাবছিলাম তখন,

অদ্রিজা- বৌদিভাই দাদাভাই এর জন্য মন খারাপ নাকি

আমি- (তোমার দাদাভাই এর জন্য আমার আবার মন খারাপ করবে হ্ম্ম )

অদ্রিজা - কি গো বললে না যে...........

আমি - না না মনে কেন করবো ?

অদ্রিজা- তুমি কি ভাবছো আমি কিছু জানিনা , something something.

 আমি- Nothing nothing.

ঠিক এই সময় মা এলেন,,,,

আকাশের মা- শ্রেয়ামা ,তোমার কিছু অসুবিধা হচ্ছে না তো?

আমি- না মা আমার কোনো অসুবিধা হয়নি।

আকাশের মা- আচ্ছা তাহলে তুমি ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নাও, আজ তো খুব tired তাই তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পরও।

আমি- আমি আসছি মা ।

ফ্রেস হয়ে একটা লাল রঙের শাড়ি পড়লাম ,আর তখন আমার চোখ পড়ল সিঁথির দিকে, যেটা সিঁদুরে ভর্তি, এক অজানা অনুভূতি হলো,জানিনা এ কেমন অনুভূতি, কিন্তু আমার কেন এমন অনুভূতি হচ্ছে হয়তো এটাই সাত পাকে বাঁধার শক্তি ভাবতেই অবাক লাগছে, শুভদৃষ্টির সময় পানপাতা সরানোর পর আমি আকাশ কে দেখলাম কিন্তু ও একবারও আমার দিকে দেখেনি ইনফ্যাক্ট সিঁদুর পোড়ানোর সময়ও ও আমার দিকে তাকাইনি, ভাবতেই চোখ থেকে দু ফোঁটা জল পরে গেল আমার অজান্তেই, কিন্তু কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর এখন আমার কাছে নেই, তখনই অদ্রিজা বললো 

অদ্রিজা- বৌদিভাই খেতে চলো।

আর এদিকে আকাশ


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance