দুর্গন্ধ:-
দুর্গন্ধ:-


সুবিমল বেরিয়ে গেছে অনেকক্ষণ হয়ে গেল। জুটমিলের কর্মী সে। হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজে দরজা খুলতে উদ্যত হল স্বপ্না।
বাইরে দাঁড়িয়ে দিদি রত্না। তাকে দেখেই হেসে ওঠে স্বপ্না, “আরে দিদি? ভেতরে আয়।”
“চলে এসেছি রে স্বপ্নী, তোর জামাইবাবু আজ আপিস কেটে বাড়িতে আছেন, এই সুযোগে ভাবলাম তোর বাড়ি থেকে ঘুরে যাই আজকে।”
“ভালো করলি, আয়, ভেতরে আয়।”
*******
সকাল গড়িয়ে বিকেল তখন। সুবিমল বাড়িতে ঢুকল। সুবিমল রত্নাকে দেখে দিদি বলে সম্ভাষণ করে তার পাশে এসে দাঁড়াতেই নাক সিঁটকালো রত্না। তার নাকে ঝাপটা মারছে সুবিমলের শরীর থেকে ভেসে আসা ঘামের দুর্গন্ধ।
সুবিমল সরে যেতে চাইছে ওর সামনে থেকে, কিন্তু স্বপ্না এসে পাশে দাঁড়াতেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সুবিমল। মৃদু হেসে স্বপ্না বলে, “যাও স্নান সেরে নাও। কাপড়গুলো রেখে দিও, আমি কেচে দেব।”
সুবিমল চলে যেতেই আড়চোখে স্বপ্নার দিকে চেয়ে রত্না বলে, “তোরও বলিহারি বাপু। ওর এইসব নোংরা, দুর্গন্ধময় কাপড়গুলো কাচতে তোর ঘেন্না লাগবেনা? ধোপার কাছে দিলেই তো হয়।”
“না দিদি। ওর ঘামে ভেজা, দুর্গন্ধযুক্ত কাপড়গুলো কাচতে ঘেন্না কিসের? আমাদের সংসারটা চলে ওর পরিশ্রমের দুর্গন্ধের কারণেই তো। আর পরিশ্রমের রোজগারের ফলে দেহ সুগন্ধময় তো হয় না, তাই না দিদি?”