ভ্যাকসিন
ভ্যাকসিন
দাদার ছেলেকে ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে এসেছি। দেখি সর্বনাশ !!! এখানে ছোট বাচ্ছাদের হাট বসেছে... রংবেরঙের জামাকাপড় পড়া কোমল মেরুদন্ডের হাট ।
ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে , এক এক করে শুধু বাচ্ছাদের কান্নার ইন্টেন্সিটি বাড়তে লেগেছে।
কেউ হাসি মুখে কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভেতরে ঢোকে আর বেরোয় কাঁদতে কাঁদতে। সে কি চিৎকার !!!
কিছুক্ষন পর পুরো ক্লিনিকটা কান্নাকাটিতে ভরে গেছে।
এরমধ্যে একজন মহিলা তার বাচ্ছা মেয়েটিকে নিয়ে আমার পাশে এসে বসলেন ।
বাচ্ছা মেয়েটি তখনও জোরে জোরে কেঁদে চলেছে । ছয় মাস বয়স হবে।
তার পাছায় ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ।
আমি পুচকু মেয়েটির দিকে তাকিয়ে দুবার একগাল ভরা হাসি দিলাম। মাথাটা তিনবার রূপম ইসলামের মতো ঝাকালাম ।
বাচ্ছা মেয়েটি কান্না থামিয়ে থ হয়ে গেলো।
আমার দিকে হাত বাড়াচ্ছে ।
মা টিও হেসে বললেন .... "তুমি যাবে কাকু টার কাছে, যাবে তুমি ???"
আমি ভাবলা
ম বাচ্ছা মেয়েটির হয়তো আমায় দেখে পছন্দ হয়েছে ।
এত চুল দাঁড়িগোফ দেখে যে ভয় না পেয়ে ইমপ্রেস হয়েছে এটা ভেবেই একটু অবাক লাগলো ।
আমিও এবার তাই একটু বার খেয়ে বাচ্ছা টার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম ।
ও আমার মুখের দিকে হাত বাড়ালো ।
আমি মুখটা ওর সামনে এগিয়ে নিয়ে গেলাম ।
বাচ্ছা মেয়েটি সটাং আমার দাড়িটা কষে ধরে এক জোরে টান লাগালো ।
আমি ওর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম ...ও বলছে ....
"খুব হাসি পাচ্ছে তাই না ???
পাছায় এরকম ভাবে সুই ফোটালে দাঁত কেলানো বেরিয়ে যেতো.... ছোটোলোক কোথাকার !!!
ভবিষ্যতে যেন আর কখনো বাচ্ছাদের কাঁদতে দেখলে এভাবে দাঁত কেলাতে না দেখি ।
মনে থাকবে কথা টা ??"
আমি মুখফুক কুঁচকে ঠুচকে কোনোরকমে হ্যা বলাতে শেষে দাড়ি ছাড়লো ।
(মোরাল অফ দা স্টোরি : বয়স যতই হোকনা কেনো ... মেয়েদের কাঁদতে দেখলে কখনো তাদের দেখে দাঁত কেলাতে যাবেন না )