ভালোবাসার আরেকটি নাম
ভালোবাসার আরেকটি নাম
“ভালোবাসার আরেকটি নাম পদ্ম পাতায় জল” কথাটা প্রচলিত ঠিকই, কিন্তু শুধু বাক্যটা হুবহু কপি পেস্ট করার সঙ্কোচ বোধেই নয়, বাক্যটাকে আরও প্রাসঙ্গিক ও আরও সমসাময়িক করে তোলার জন্যও যদি ভালোবাসার আরেকটি নাম চামচে গুলি বলা হয়, কেমন হবে?
বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে ভালবাসা টিকিয়ে রাখা, চামচ ঠোঁটে চেপে তাতে গুলি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতোই কষ্ট সাধ্য। অত্যন্ত ব্যালেন্সের প্রয়োজন। একটু ব্যালেন্সের তারতম্য হলেই চামচ থেকে গুলি খসে পড়ার মত প্রেয়সীর মন থেকে প্রেমিকের মন চিরতরে খসে পড়বে। তাই এই ভারসাম্য রক্ষার কাজটা সহজ নয়। অভিরূপ স্যান্যালের পক্ষে তো নয়ই।
দুনিয়াটা গিভ এন্ড টেক পলিসিতে চলছে। সুভাষ চন্দ্র বলেছিলেন, “তোমরা আমাকে রক্ত দেও, আমি তোমাকে স্বাধীনতা দেব। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে।” সেই নিয়মই মেনে ছিল অভিরূপ। কিন্তু তবুও তাকে ফিরে যেতে হয়েছে।
আসলে এই দেওয়া নেওয়ার মধ্যে একটা সর্ত আছে। বিজ্ঞাপনে যেমন ছোটো ছোটো করে লেখা থাকে কন্ডিশন অ্যাপলাই, এখানেও তেমন অদৃশ্য কালিতে লেখা আছে। দাতা যদি গ্রহীতার সকল ইচ্ছে পূরণ করে দেয়, দাতার থেকে গ্রহীতার যদি কিছু আর পাওয়ার না থাকে, তাহলে গ্রহীতা দাতাকে মনে রাখবে কেন? তাই কলসিতে ছিদ্র রেখে জল ঢালতে হবে। যে ওষুধে রোগ সারবে, সেই ওষুধের সাইড এফেক্টে আরেকটা রোগ বাধিয়ে দিতে হবে। সব প্রয়োজন মিটিয়ে দেওয়া, সব রোগ সারিয়ে দেওয়া মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়।
অনুঋতা এখন খুব প্রয়োজন না হলে অভিরূপের সাথে কথা বলে না। অভিরূপের চোখের সামনেই লাঞ্চ টেবিলে অনুঋতার বর্তমান রিপোর্টিং বস অম্লানের সাথে অম্লান বদনে কত গল্প হাসাহাসিই না করে। এই হাসাহাসির রেষারেষি সহ্য হয় না অভিরূপের। আসলে চপলতা ছাড়া সফলতা মেলে না। সেই কারণেই শিশুরা সফলতা বলার আগে চপলতা উচ্চারণ করে।
অনুঋতার সঙ্গে অভিরূপের দ্বিতীয় বার দেখা হয় দার্জিলিং মেলে। ওর ঠিক উল্টো দিকে লোয়ার বাথের উইন্ডো সাইডে বসা মেয়েটিকে ভীষণ চেনা মনে হচ্ছিল অভিরূপের। আগে কোথাও মেয়েটিকে দেখেছে ও। কিন্তু কিছুতেই সেটা মনে করতে পারছে না। ভেতর ভেতর বেশ একটা অস্বস্তি হচ্ছে ওর। তাই মেয়েটির দিকে বারবার তাকাচ্ছে অভিরূপ। অনেকক্ষণ ধরে মেয়েটি সেটা লক্ষ্য করে অবশেষে মুখ খুলল।
- আপনি কি আমায় কিছু বলবেন?
- না, তেমন কিছু না। কিন্তু কেন বলুন তো?
- ট্রেন ছাড়ার পর থেকে যখনি চোখ যাচ্ছে, তখনই দেখছি আপনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাই ভাবলাম হয়তো কিছু বলবেন?
- আপনাকে ভীষণ চেনা লাগছে। কিন্তু আগে কোথায় দেখেছি তা কিছুতেই মনে করতে পারছি না। তাই …..
- মেয়েদের সাথে আলাপ করার খুব পুরানো, বস্তা পচা একটা পদ্ধতি এটা। নতুন কিছু থাকলে বলুন।
- রাস্তা ঘাটে যার তার সাথে এরকম যেচে আলাপ করা আমার স্বভাব নয়। আপনাকে সত্যিই চেনা লাগছিল,তাই মনে করার চেষ্টা করছিলাম। ঠিক আছে, ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি। আর তাকাবো না।
কথাটা বলে, কোনও উত্তরের অপেক্ষা না করে ব্যাগ থেকে লুচি, আলুর-দম বের করে ডিনার সারল অভিরূপ। ট্রেন ছুটে চলেছে। অভিরূপের মাথায় এখন কাল এতোগুলো ছেলে-মেয়ের কিভাবে ইন্টার্ভিউ নেবে, সেই চিন্তা। অনেকক্ষণ পর মেয়েটির দিকে চোখ পড়তে অভিরূপ লক্ষ্য করল যে মেয়েটি অভিরূপের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে। অভিরূপের চোখে চোখ পরতেও চোখ সরাল না মেয়েটি। অভিরূপ এবার মেয়েটিকে বলল,
- এবারে আপনি কিছু বলবেন?
- না, আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনাকে আমারও খুব চেনা লাগছে। সত্যিই আগে কোথাও আমাদের দেখা হয়েছিল।
- যাক, তাও ভাগ্যিস আপনারও আমাকে চেনা লাগছে। নইলে তো আপনি কি না কি ভেবে বসেছিলেন।
এরপর দুজনেই যে যার বাথে শুয়ে পড়ল। দুজনেই আগে কোথায় তাদের দেখা হয়েছিল, মনে করার চেষ্টা করল। কিন্তু স্মৃতি কাউকেই সাহায্য করল না।
শিলিগুড়িতে ট্রেন ঢুকলে দুজন দুজনের গন্তব্য-স্থলে চলে গেল। অভিরূপ একটি সফটওয়ার কোম্পানি এইচ.আর। শিলিগুড়ির একটি কলেজে ক্যাম্পাস ইন্টার্ভিউ নিতে এসেছে ও। টেকনিক্যাল ইনটারভিউ যে লোকটি নেবেন, তিনি অভিরূপের চেয়ে একটু উঁচু পদে থাকায় উনি ফ্লাইটে এসেছেন। হোটেলে গিয়ে একটু ফ্রেস হয়ে কলেজে গেল অভিরূপ।
ইন্টারভিউর টেবিলে অনুঋতার সঙ্গে অভিরূপের আবার দেখা হল। টেকনিক্যাল ইন্টারভিউর পর এইচ.আর ইন্টারভিউতে ডাক পড়ল অনুঋতার। প্রাথমিক সাধারণ কিছু প্রশ্নোত্তরের পর অভিরূপ অনুঋতাকে ওর সম্পর্কে কিছু বলতে বলল। অনুঋতা অল্পক্ষণ অভিরূপের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে একটু উত্তেজিত হয়ে আবেগের সঙ্গে গলার আওয়াজ উঁচু করে বলল “মনে পড়েছে, মনে পড়েছে।“ অনেকদিন পর পুরনো কোনও কাছের বন্ধুর সাথে হঠাৎ দেখা হলে মনে যেমন উত্তেজনা হয়, অনেকটা তেমন উত্তেজনা। একটা ইংরাজি কনভারসেশনে হঠাৎ এমন বাংলা কথা। তাও আবার উত্তেজিত স্বরে। অভিরূপ বেশ বিরক্ত হয়ে বলল “নিজের সম্পর্কে বলবে, এরমধ্যে মনে পড়া বা এমন উত্তেজিত হওয়ার কি আছে?” অভিরূপের কথায় সম্বিত ফিরে পেয়ে, ইংরাজিতে বেশ গুছিয়ে নিজের সম্পর্কে বলল অনুঋতা। তারপর পুরো ইন্টারভিউটা দিয়ে বেড়িয়ে গেল। ইন্টারভিউর টেবিলে কোনও স্টুডেন্টের সাথে ব্যক্তিগত কথা বলার নিয়ম নেই অভিরূপদের। তাহলে অন্যান্য স্টুডেন্টদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। তাই অভিরূপের মনের আকাঙ্ক্ষা মনেই রয়ে গেল।
পরদিন অভিরূপের ফেরার টিকিট, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে। ট্রেন ছুটছে। বর্ধমানে ট্রেন থেমেছে। হঠাৎ কোত্থেকে উড়ে এসে অভিরূপের পাশে এসে বসল অনুঋতা। আর এসেই বলল “আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে উল্টোডাঙ্গার হাঁটকোর মোড়ে সেই বর্ষার সন্ধ্যের কথা মনে পড়ে? আমি তখন ইলেভেনে পড়ি। টিউশন পড়তে এসেছিলাম সল্টলেকে। বাড়ি ফেরার সময় সেকি দুর্গতি” ব্যাস, এইটুকু বলাতেই সেদিনের পুরো ঘটনাটাই ফ্ল্যাশ ব্যাকে চোখের সামনে ভেসে উঠলো অভিরূপের।
প্রচণ্ড ভারী বর্ষণে উল্টোডাঙ্গা চত্বরে বেশ জল জমেছিল সেদিন। বাস, অটো কিছু চলছিল না। অভিরূপ হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে এক হাতে ছাতা, আর এক হাতে জুতো নিয়ে সল্টলেক গেট থেকে উল্টোডাঙ্গা স্টেশনের দিকে জল ঠেঙিয়ে মন্থর গতিতে চলছিল। হঠাৎ অভিরূপ দেখল একটি মেয়ে সেই জলে বইয়ের ব্যাগ, ছাতা, স্কার্ট সবকিছু একসাথে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। হাল্কা ছাতা, একটু জোরে হাওয়া দিলেই উল্টে প্যারাসুট হয়ে যাচ্ছে। অভিরূপ কাছে গিয়ে অনুঋতার ছাতাটা ওর হাত থেকে নিয়ে ভাঁজ করে ওর ব্যাগে ঢুকিয়ে দিল, আর নিজের ছাতাটা অনুঋতার মাথায় ধরল। অনুঋতা দুই হাত দিয়ে অভিরূপের হাতটা ওর বুকের কাছে ধরে, অভিরূপের সাথে পা মিলেয়ে চলতে লাগল। বেশ ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছিল, তবু অভিরূপ, একটা উষ্ণতা অনুভব করছিল। স্টেশনের কাছে এসে “ধন্যবাদ” বলে অনুঋতা যে কোথায় চলে গিয়েছিল, অভিরূপ আর কোনোদিন তাকে খুঁজে পায়নি। বহু বছর পর তাকে আবার খুঁজে পেয়ে নস্টালজিয়া অনুভব করছে অভিরূপ।
“স্যার, আমাদের কি আবার দেখা হবে?”
অনুঋতার এই প্রশ্নের অর্থ বুঝতে অভিরূপের কোনও অসুবিধে হল না। দেখছি, সংক্ষিপ্ত উত্তর দেয় অভিরূপ।
কিছুটা অনুঋতার দেওয়া ইন্টারভিউর জোরে, কিছুটা অভিরূপের চেষ্টায় অনুঋতার চাকরিটা হয়ে গেল। অফিসে প্রথম পা দিয়েই অভিরূপের সাথে দেখা করে অনুঋতা। অভিরূপ ওকে অফিসিয়ালি জয়েন করিয়ে অনুঋতার করনীয় কাজ বুঝিয়ে দেয়।
এরপর একসাথে লাঞ্চ, অফিসে আসা ও যাওয়ার সময় অনেকটা পথ একসাথে চলা, অফিসের কাজের ফাঁকে ও রাতে অনেকটা সময় হোয়াটস-অ্যাপ চ্যাট, অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে প্রেমের প্রাথমিক পর্যায়ের সম্ভাব্য সকল কার্যকলাপই ওদের মধ্যে চলতে লাগল।
এভাবেই বছর ঘুরলো। অভিরূপ আবার আরেকটি কলেজে ক্যাম্পাস ইন্টার্ভিউ নিতে গেল। শনি, রবি মিলে দিন পাঁচেক অফিস অনুপস্থিতি। আর এ’কদিন কিছুটা ব্যস্ততার কারণে, কিছুটা ফোনের নেটওয়ার্কের অসহযোগিতায় অনুঋতার সঙ্গে তেমন ভাবে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠেনি অভিরূপের। আর সেই সময়েই চামচ থেকে গুলি খোসে পড়েছে।
অম্লান পাল ছেলেটির চেহারা সুঠাম ও সুদর্শন। কর্মক্ষেত্রেও ওর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এক কথায় আকৃতি ও প্রকৃতি দুটোতেই “ক” পেয়েছে ও। অনুঋতার এ কোম্পানিতে যাবতীয় উত্থান পতন এখন অম্লানের হাতে। তাই অনুঋতা এখন অম্লানের মান ও মন দুটো রাখারই আপ্রাণ চেষ্টা করছে। আর সেটার জন্য যে অভিরূপের রূপ বদল বা মনে অভিমান জমছে, তার জন্য অনুঋতার কোনও অনুকম্পা নেই।
অনুঋতাকে মন থেকে ভালোবেসে ছিল অভিরূপ। ওকে ভুলে যাওয়া অভিরূপের পক্ষে বেশ কষ্টকর। তাই অভিরূপের বাড়ি থেকে ওর বিয়ের তোড়জোড় চললেও তাতে মন থেকে সায় নেই ওর। অভিরূপ এখন কেমন যেন মনমরা ও আনমনা হয়ে থাকে সর্বক্ষণ।
এভাবেই বছর খানেক কেটে গেল। হঠাৎ একদিন অম্লানের অনুমোদিত অনুঋতার পদত্যাগ পত্রটি অভিরূপের হাতে এসে পড়ল। প্রথা অনুযায়ী এক্সজিট ইনটারভিউর জন্য অনুঋতাকে ডাকল অভিরূপ।
- হঠাৎ এই কোম্পানি ছেড়ে যাওয়ার কারণ?
- বেটার অপরচুনিটি।
- শুধু কি তাই? নাকি ...
- আর কোনও কারণ থাকলেও সেটা ব্যক্তিগত।
এক্সজিট ইনটারভিউ শেষ করে বেড়িয়ে এলো অনুঋতা। বিষণ্ণ কিন্তু অপেক্ষাকৃত চিন্তামুক্ত অনুঋতা।
ঐদিন রাতেই অভিরূপকে ফোন করল অনুঋতা।
- আমি কি আমার বন্ধু অভ্র সাথে কথা বলতে পারি?
- কেন, তার সাথে তোমার কি দরকার? তাছাড়া সে কি আর বেঁচে আছে?
- একটা সুযোগ পেলে সে যে অবস্থাতেই থাকুক, তাকে আবার আগের মত প্রাণবন্ত করে তোলার চেষ্টা করতে পারি।
- সেকি তোমার রিমোট কন্ট্রোল পুতুল, যে যখন ইচ্ছে কাছে টানবে, যখন ইচ্ছে দূরে ঠেলবে?
- আমি ভুল করেছি, আমি অন্যায় করেছি। আর তার প্রায়েশ্চিত্য করার জন্যই চাকরীটা ছাড়ছি। আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও না অভি।
- এর সাথে চাকরির কি সম্পর্ক? চাকরি ছাড়ছ কেন?
- না ছাড়লে, আরও অনেককিছু যে ছাড়তে হোতো অভি। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। পড়াশোনা শিখে চাকরি করতে এসেছি, অন্যায্য আবদারের সাথে আপোষ করতে নয়। আশাকরি আর কিছু বলতে হবে না। আজ তবে রাখছি।
জানুয়ারি মাসের শেষ দিনটা অনুঋতার অফিসেরও শেষ দিন ছিল। তার দিন কয়েক পরে অভিরূপ অনুঋতার থেকে একটা হোয়াটস-অ্যাপ মেসেজ পেল। আগামী আটই ফেব্রুয়ারি কি আমাদের দেখা হতে পারে?
এরপর ফোনের কথোপকথনে দুজনের দেখা করার স্থান, সময় সব ঠিক হয়ে গেল। প্রপোজ ডে তে দেখা হল দুজনার। দু –চারটে সাধারণ কথা বলার পর, হঠাৎ হাঁটু গেঁড়ে বসে, অভিরূপের সামনে একটা লাল গোলাপ এগিয়ে দিয়ে অনুঋতা বলল, উইল ইউ ম্যারি মি?
সাধারণত যেভাবে একটা ছেলে একটা মেয়েকে প্রপোজ করে, ঠিক সেভাবে অনুঋতা, অভিরূপকে প্রপোজ করল। আশেপাশের সকল লোকের দৃষ্টি তখন ওদের দিকে। অভিরূপ, অনুঋতার প্রশ্নের উত্তরে সম্মতি জানিয়ে, ওর দু কাঁধে হাত দিয়ে ওকে বসা থেকে দাঁড় করালও। আর তারপর যা যা ঘটল, আর বেশিরভাগটাই ওদের ব্যক্তিগত। তাই সেই প্রসঙ্গে আর নাই বা গেলাম।
চামচ থেকে যে গুলিটা একদিন পড়ে গিয়েছিল, আজ তা জীবনের অদ্ভুত খেলায় নিজে থেকেই চামচে চলে এসেছে। চামচ থেকে গুলিটা পড়ে গিয়ে, ওটার একটা দিক একটু চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে। তাই এখন ওটার চামচ থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।