STORYMIRROR

"বেখেয়ালী কলম"

Drama Romance

3  

"বেখেয়ালী কলম"

Drama Romance

#অনপেক্ষিত

#অনপেক্ষিত

7 mins
163

  পর্ব-৪


উজান ডিনার করে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ায়. ওদের কমপ্লেক্সে বড় মাঠটা ঘিরে চারপাশে বিল্ডিং. এরকম একটা বিল্ডিং এ উজানদের ফ্ল্যাট. মাঠেই পুজোর আয়োজন. প্রস্তুতি তুঙ্গে, দেখা যাচ্ছে. ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উজান ভাবে এখানে আসার পর এই প্রথম ওর ভালো লাগলো. একবার উজান ভেবেছিলো মাসির বাড়ি শান্তিনিকেতনে চলে যাবে. কিন্তু আজকের সন্ধ্যেটা ধৃতির সাথে কাটানোর পর ওর মন বলল কলকাতাতে পুজোটা ওর ভালোই কাটবে. উজান ভালো আঁকতে পারে সেটা জেনে ধৃতি ওকে অনুরোধ করে বেশ কিছু ছবি এঁকে দিতে, মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহার করবে. উজান প্রথমে না করেছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের জেদ ধরে রাখতে পারেনি. ধৃতি খুব অদ্ভুত প্রকৃতির মেয়ে. ওর কথা বলার ধরনে ওকে প্রত্যাক্ষান করা বেশ মুশকিল হয়. তারপর রুমে ফিরে একথা সেকথা ভাবতে ভাবতে উজান কখন ঘুমিয়ে পরে.


পরদিন সকালে উজানকে একপ্রকার ঘুম থেকে তুলে জিনি ওকে আর্ট পেপার, ওয়াটার কালার, পেন্সিল, ইরেজার۔۔۔۔۔আর যা যা লাগে দিয়ে যায়۔۔


জিনি: ধৃতিদি এগুলো তোকে দিতে বলেছে. আর হ্যাঁ, মা বলেছে এই সব নিয়ে বসার আগে ব্রেকফাস্ট সেরে নিতে. যাক বাবা তোকে পাওয়া গেলো তাহলে পুজোয়۔۔ (বলেই চলে যায়)


উজান বিরক্তি ভরে ওগুলো টেবিলে নামিয়ে রাখে. তারপর ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে উজান ধৃতির দেওয়া জিনিসপত্র গুলো নিয়ে বিছানায় বসে. বিরক্তিটা এখনো লেগে আছে মনে. সেই কবে আঁকতো, আজ কতটা পারবে কে জানে. এই সব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ উজান আর্ট পেপারের মধ্যে একটা চিরকুট আবিষ্কার করে, ধৃতির লেখা۔۔


ধৃতি লিখেছে: সরি ডা: চ্যাটার্জী, আপনাকে এই পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য. আপনি হয়তো ভাবছেন ছোট বেলার অভ্যেস এখন আর মনে আছে কিনা. বেশ বিরক্তও হচ্ছেন মনে মনে আমার উপর. কিন্তু জানেন যেটা একবার মনের গভীরে ঢুকে যায় সেটাকে মন থেকে বার করা যায়না. কিছু দিনের অবহেলা হয়তো ধুলো জমতে সাহায্য করে কিন্তু মুছে ফেলতে পারেনা. আপনি আমার থেকে বয়সে, অভিজ্ঞতায় বড়, আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছি ভাববেন না. আপনার যদি এর পরেও মনে হয় পারবেন না, তাহালে আর জোর করবোনা. জিনিকে জিনিসগুলো ফেরৎ দিয়ে দেবেন۔۔۔۔۔۔۔۔۔ধৃতি


উজান অবাক হয়ে ভাবে, এই মেয়েটা তার মনের খবর পেলো কি করে? যাইহোক শুরু তো করা যাক তারপর না হয় দেখা যাবে. আজ ওর খুব ইচ্ছে আছে হিয়াকে একবার দেখার. এতদিন ইচ্ছে হয়নি, কিন্তু আজ হঠাৎ ইচ্ছে হচ্ছে. উজান আঁকায় মন দেয়۔۔


জিনি আর ঠাম্মি দরজার ফাঁক থেকে উজানকে দেখছিলো. চিরকুটে কি লেখা আছে জানেনা কিন্তু উজানের অভিব্যক্তি পড়ে বোঝেন চিরকুটে এমন কিছু লেখা আছে যেটা উজানের উপর বেশপ্রভাব ফেলেছে. মনে মনে খুশি হয় দুজনেই. তারপর একে ওপরের হাতে নিঃশব্দে তালি মেরে, নিজেদের খুশি জাহির করে, দরজা বন্ধ করে চলে যায়۔۔


সপ্তমীর পুজো শুরু হয়, ঢাকে কাঠি পরে. উজান নিজের কাজ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে তৈরী হয়ে মণ্ডপে চলে যায়. ওখানে ধৃতিকে অনেক খুঁজেও পায় না. শেষে উজান ধৃতিকে বাদ দিয়ে হিয়াকে খুঁজতে শুরু করে. হিয়াকে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়. একটি বছর ঊনিশের মেয়ে এসে দাঁড়ায় উজানের সামনে. মেয়েটি লম্বা, পাতলা, ছিপছিপে এবং রূপসী. উজান কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে হিয়ার দিকে তারপর কি বলবে ভেবে না পেয়ে বলে۔۔۔


উজান: হাই۔۔ আসলে তোমার কথা অনেক শুনেছি তাই ভাবলাম একবার দেখা করি۔۔ 


হিয়া মিষ্টি করে হাসে. তারপর কয়েকটি সৌজন্যমূলক কথাবার্তার পর উজান ওখান থেকে চলে যায়. হিয়ার সাথে আলাপ হওয়ার পর উজানের হিয়াকে অতটা আর খারাপ লাগেনা. একটু তফাতে থেকে হিয়াকে উজান লক্ষ্য করতে থাকে. হিয়া নিজের কাজ নিয়েই মশগুল. ধৃতি অলক্ষ্যে থেকে লক্ষ্য করতে থাকে উজান আর হিয়াকে. একটা সময় পর ধৃতিও নিজের কাজে চলে যায়۔۔


আজ সারাদিন উজান ধৃতির দেখা পায়নি, এমনকি সন্ধ্যা-আরতির সময়ও দেখতে পায়নি. অন্তরীক্ষকে জিজ্ঞাসা করেছিল ওর কাছে ধৃতির কোনো কন্টাক্ট নম্বর আছে কিনা. অন্তরীক্ষ ভীষণ অবাক হয়েছিল উজানের প্রশ্নে, কিন্তু ধৃতির কোনো কন্টাক্ট নম্বর দিতে পারেনি. সকালটা যে ভালো লাগা দিয়ে শুরু হয়েছিল সেটা ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে. ধৃতির উপর অকারণেই রাগ হতে থাকে উজানের. বাড়ি ফিরে নিজের রুমে বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে থাকে সে. রাতেও উজানের ঠিকমত খিদে পায়না. সে আঁকায় মনোসংযোগ করে. কখন যে মধ্য রাত পার হয়ে যায় উজান জানতেও পারেনা. কাজ শেষ করে একবার ভালো করে আঁকা গুলো দেখে. নাহ, বেশ ভালোই হয়েছে. ধৃতি সাহস না জোগালে পারতোনা. আবার ধৃতির কথা মনে পড়ায় কিছুক্ষন আগের বিরক্তি আবার ভর করে উজানের মাথায়. সব ফেলে উঠে পরে, একটু ফ্রেশ এয়ার দরকার. ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়۔۔ ব্যালকনিতে যেতেই চোখে পরে কে যেন এদিকেই হেঁটে আসছে. দূর্গা পুজোর জন্য কমপ্লেক্স আলোয় আলোকিত, তাই চিনতে অসুবিধা হয়না উজানের. ঘড়ির দিকে তাকায় উজান, রাত তিনটে. ধৃতি এতো রাতে একা কোথায় যাচ্ছে? একবার ভাবে উজান, তার জানার কি দরকার, যেখানে যাচ্ছে যাক. পরক্ষনেই সব ভুলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়۔۔


ধৃতি একাই হেঁটে আসছিলো. এই সময়টা শুধু ওর, যেটা ও নিজের মতো করে কাটায়. আর একটু পরের ভালোলাগাটার কথা ভেবে মনে মনে উচ্ছসিত হয় ধৃতি. অষ্টমীর এই ভোর তার খুব প্রিয়. মনের সাথে হাজারো কথোপকথনের মধ্যেই ধৃতি এগিয়ে যায় পার্কিং এ থাকা দুধ সাদা হুন্ডাই ভার্নার দিকে. দরজা খুলে ড্রাইভিং সিটে বসতে যাবে এমন সময় পেছন থেকে একটা পরিচিত ডাক শুনে ফিরে তাকায়۔۔


ধৃতি: আপনি?


উজান: প্রশ্নটা আমারও. কোথায় যাচ্ছেন এতো রাতে?


উজানের প্রশ্নটা খুবই সাধারণ কিন্তু কথার সুরে কিছু একটা ছিল যেটা ধৃতিকে উত্তর দিতে বাধা দেয়. ও কিছুটা অবাক, কিছুটা প্রশ্নমাখা দৃষ্টিতে উজানকে দেখতে থাকে. উত্তর না পেয়ে উজান এবার বেশ জোরেই ধমক লাগায়۔۔


উজান: কি হলো, কিছু বলছি তো. এতো রাতে কোথায় যাচ্ছেন? 


ধৃতি: যাচ্ছি একটা জায়গায়۔۔۔۔যাবেন? কিন্তু একটু দূরে, ফিরতে দেরি হবে. আর হ্যাঁ, গাড়িটা বাবার আর তেলটাও বাবাই ভরিয়েছে. আগে থেকে বলে দিলাম যাতে পরে বকা না খেতে হয় বাবা-মায়ের টাকা ওড়াচ্ছি বলে۔۔


উজান ভ্রু কুঁচকিয়ে সব টা শোনে তারপর বলে: আমাকে যেতে বলছেন কেন? আমার তো যাওয়ার কথা ছিলোনা۔۔۔


ধৃতি: কথা তো অনেক কিছুই থাকেনা ডা: চ্যাটার্জী. এই যেমন ধরুন এতো রাতে আপনারই কি এখানে আসার কথা ছিলো?


উজান: আপনি কথা খুব সুন্দর বলতে পারেন সেটা আমি জেনে গেছি, তাই আর তার প্রদর্শনী করার দরকার নেই۔۔


ধৃতি হেসে ফেলে. উজানের মেজাজকে আর ও ভয় পায়না. বেশ একটা ছেলেমানুষী আছে উজানের মধ্যে. বাচ্চাদের মত কথায় কথায় গাল ফুলিয়ে বসে থাকে۔۔


ধৃতি : নিন۔۔۔۔তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠুন. এখানে দাঁড়িয়ে আপনার রাগ ভাঙাতে গেলে অনেক লেট হয়ে যাবে. কি হলো উঠুন۔۔۔


উজান তাও চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে. কি বললো ধৃতি? "রাগ ভাঙাতে" হবে? ভাবেন টা কি নিজেকে? 


এবার ধৃতি এগিয়ে এসে গাড়ির দরজাটা খুলে ধরে: আসুন۔۔۔


উজান চাইলেও ধৃতিকে না করতে পারেনা. ধৃতির সঙ্গ আজকাল ওর ভালো লাগতে লেগেছে. উজানের মেজাজের জন্য সবাই ওকে এড়িয়ে চলে. অন্তরীক্ষ বাদে এই প্রথম অন্য কেউ উজানের মেজাজের তোয়াক্কা না করেই ওর কাছে আসে۔۔


কমপ্লেক্স থেকে বেড়িয়ে মেন রোডে ওঠা পর্যন্ত ধৃতি বা উজান কেউ একটাও কথা বলেনি. ধৃতিই এবার নিস্তব্ধতা ভাঙে۔۔


ধৃতি: হিয়ার সাথে আলাপ হলো?


উজান একবার ধৃতিকে দেখে আবার সামনের রাস্তার উপর মনোনিবেশ করে বলে: হুম


ধৃতি:কেমন লাগলো? অতটা খারাপ কি, যতটা ভেবেছিলেন?


উজান: খারাপ ভালো মতামত এতো তাড়াতাড়ি দেওয়া যায় নাকি? তবে যতটা আদিখ্যেতা করতে দেখেছি সবাইকে সেরকম কিছু মনে হলোনা۔۔


ধৃতি: কাল۔۔۔۔۔۔মানে আজ আরকি۔۔۔۔۔۔অষ্টমী. আপনি কাল যদি পুজোর জায়গায় থাকেন হিয়ার সাথে তাহলে খুব ভালো হয়. এখানে আপনাকে তো সবাই বেশ ভয় পায়, আপনি থাকলে সবাই একটু কন্ট্রোলে থাকবে. অন্তরীক্ষদাও থাকবে আপনার সাথে. কি থাকবেন তো?


উজান: অর্ডার করছেন?


ধৃতি: কি আশ্চর্য۔۔۔۔۔আমি অর্ডার কেন করবো? ওটা তো আপনার ডিপার্টমেন্ট۔۔


উজান: মানে? আমি শুধু অর্ডার করি?


ধৃতি: শুধু অর্ডার? সবসময় বকাঝকা, আদেশ করে কথা বলা. ভালো করে, মিষ্টি করে, আদর করে কথা তো বলতে দেখলামনা একবারও۔۔۔


উজান: আপনার সাথে কি আমার আদরের সম্পর্ক?


কথাটা বলেই উজান বোঝে এই কথাটা না বললেই হতো۔۔


ধৃতি স্বাভাবিক ভাবেই বলে: আমার কথা কেন আসছে? আজই তো দেখলাম۔۔۔۔۔মণ্ডপে অঞ্জলীর সময় একটা বাচ্চা আপনাকে ফুল দিতে এলো আর আপনি গম্ভীর ভাবে বললেন "দরকার নেই". মিষ্টি করেও বলা যেত যে "আমি অঞ্জলি দেবোনা". তাহলেই তো হতো.


উজান: আপনি আমাকে লক্ষ্য করছিলেন? কিন্তু কোথায় ছিলেন? আমি তো আপনাকে অনেক খুঁজেও পেলামনা?


ধৃতি অবাক : আপনি আমাকে খুঁজছিলেন? কেন?


ধৃতির এই প্রশ্নের উত্তর উজান নিজেও জানেনা, তাই এড়িয়ে যাওয়াই মনস্থির করে۔۔


উজান: ড্রাইভ করার সময় যে এতো কথা বলতে নেই সেটা জানেন না?


ধৃতি বোঝে যে উজান এড়িয়ে গেলো, তাই সেও তার এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে অন্যদিকে কথা ঘোরায়۔۔


ধৃতি: হিয়া বেশ সুন্দরী۔۔۔۔۔۔তাই না? ( আড় চোখে উজানকে দেখে নেয় একবার)


উজান: রূপসী অবশ্যই۔۔۔۔۔۔তবে সুন্দরী কিনা বলতে পারবোনা۔۔۔


ধৃতি: দুই এর পার্থক্য কি?


উজান ছোট্টো করে উত্তর দেয়: একটা বাহ্যিক আর একটা অভ্যন্তরীণ۔۔


ধৃতি বোঝে গাম্ভীর্যের মুখোশের পেছনে মানুষটার চিন্তাশক্তির গভীরতা অনেক. কিছু মুহূর্তের বিরতি, তারপর ধৃতি আবার বলে۔۔


ধৃতি: চলুন আপনাকে আজ সেখানে নিয়ে যাই যেখানে এর আগে আমি আর কাউকে নিয়ে যাইনি۔۔


উজান: আমাকেই বা কেন?


ধৃতি: একমাত্র আপনিই তার যোগ্য তাই۔۔۔


ধৃতির সংস্পর্শে আসার পর থেকেই উজানের বিরক্তি ক্রমশ প্রশমিত হতে শুরু করেছিল. এখন এই কথাটা উজানের মনে ভালোলাগার ঢেউ তোলে۔۔۔ 


বেশ কিছুক্ষন পর ধৃতি একটা জায়গায় এসে গাড়ি থামায়. জায়গাটা ফাঁকা, যতদূর চোখ যায় দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ, দূরে একটা নদী বয়ে গেছে, চারপাশে কাশফুলের বন্যা. উজানের শিল্পী সত্তাকে ছুঁয়ে যায় এই দৃশ্য. ধৃতি আর উজান গাড়ি থেকে নেমে পাশাপাশি গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে. সূর্যোদয় হতে আর বেশি দেরি নেই. হালকা কমলাটে আভা চারিপাশের সৌন্দর্য্য আরো বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে. অনতিদূরে একটা চায়ের ঝুপড়ি. ধৃতি গিয়ে দুভাঁড় চা নিয়ে আসে. চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতে বলে۔۔


ধৃতি: এই ভালোলাগাটা আশা করি আজ আর আপনাকে খুব একটা বিরক্ত হতে দেবেনা۔۔


উজান: আজ অষ্টমী, প্রচুর কাজ۔۔۔۔۔۔আজ না এসে কালও তো আসতে পারতেন۔۔۔


ধৃতি: সেই জন্যেই তো এলাম. আজ অষ্টমী۔۔۔۔۔প্রচুর কাজ তার উপর সারাদিন উপোস. সারাদিনের খোরাক বলতে পারেন এই ভালোলাগাটা۔۔


উজান: সারাদিন উপোস? কখন খাবেন তাহলে?


ধৃতি: সন্ধি পুজোর পর۔۔


উজান অবাক : সে তো রাত্রি প্রায় দুটো আড়াই টা হবে. এতক্ষন না খেয়ে থাকবেন?


ধৃতি হেসে : হুম. সূর্যোদয়ের আগে এই চা টুকু খেলাম. তাছাড়া একবার ভেবে বলুন তো আপনি যখন রোগী আর তাদের চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকেন তখন কখন খান?


উজান বিরক্ত: যা ইচ্ছে করুন۔۔ আপনাকে বোঝানো শিবেরও অসাধ্য۔۔


ধৃতি: একটা কথা বলবো? আপনি আমার থেকে বড়. তাই আপনার থেকে "আপনি" ডাক টা শুনতে খুব অস্বস্তি হচ্ছে۔۔ যদি পারেন "তুমি" করে বলবেন۔۔


উজান কিছু বলেন না প্রতুত্তরে. একটু পর সূর্যোদয় হয়. তারপরও কিছুটা সময় থেকে ওরা ফিরে আসে۔۔


দেখা যাক উজান-ধৃতির দূর্গাপুজো একসাথে কেমন কাটে!!আর উজানের জীবনে হিয়ার আগমন কি নতুন বার্তা বয়ে আনে!!!


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama