অনিচ্ছাকৃত ভাবে সাহস
অনিচ্ছাকৃত ভাবে সাহস




আমি তখন উনিভার্সিটি তে প্রথম বছরে পড়ি।সবে মাত্র ঢুকছি। দিনগুলি খুব ভালো কাটছিলো।আমি ছিলাম পড়ুয়া ছাত্রী।আমি যে এক পড়া আর নামায পড়া ছাড়া কিছু বুঝতাম না।আমার রুমমেট ছিল খুব ভালো।তার কথা আমি শুধু শুনতাম।আমি কথা বলতাম কম।একদিন ফিজিক্স ক্লাস করতে একটু দেরি হয়।তাই জোহরের নামাজ ও দেরি হয়ে যায়।আমি খুব তাড়াতাড়ি রুমের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। আমাদের হলেের সামনেেই আরএকটা হল।সেইখাানে মানুুুুষের খুুব ভিড়।আমি ভেবে পেলাম কেন এত ভিড়। পরে আমি ভিড় ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখি সেেই হলের ছাদে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে আর নিচে একটা মেয়েকে চিৎকার করে ডাকছে।ঐ মেয়েকে ঐ ছেলেটা নাকি ভালোবাসে। কিন্ত মেয়েটা বাসে না।এই কারণে সে আত্মহত্যা করতে চাা্ছেচ। আমার বাবা এমন রাগ লাগছে যা জীবনে প্রথম। আমার মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেল। আর বেচারা মেয়ে টাকে সবাই চেপে ধরে আছে যে ন সে ছেলেটিকে বলে যে ভালোবাসে। আরে একজন তো মাইক এনেছে। আমি মাইক টা কেড়ে নিয়ে ঐ ছেলেটা কে বললাম এখনি নিচে আসবে! এই মেয়েকে আমি রাজি করাব। কাণ্ড দেখে আমার মনে হচ্ছে ঐ ছেলেটা কে সত্যি সত্যি মরতে দিই।ঐ ছেলেটা বলল, আমি নিচে আসব না । তুমি মিথ্যা বলছো। ও কখনো রাজি হবে না। আমার মাথা আর খারাপ হয়ে গেল। আমি পাগলের মত বললাম , তুমি আগে নিচে আস।ঐ রাজি না হলে আমি তোর সাথে থাকব । ঐ বদমাশ ছেলেটা আসল। মেয়ে টা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, আমাকে তুমি বাঁচাও আপু। আমি প্রথমে ই ঐ ছেলেটা কে একটা কষে চড় মারলাম। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, তুই দেখতে একটা বলদ, তোর মাথায় আছে পোকা,তুই আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় গাধা!!! তারপর বিদ্যুৎ গতিতে ওকে আর অনেক কথা শোনালাাম। বললাম , তুই মরবি তে মর! কিন্তু আমার নামাজ পড়ার সময় ই কেন?!!! এই যোহরের ওয়াা্তক তোকে কেন মরতে হবে!!! আমার চোখে যদি তুই আর কোনো দিন মরতে আসিস! আমি তোকে আত্মহত্যা করতে দিব না বরং নিজের হাতে তুলে তোকে শেষ করে দিব। আমার যে সেদিন কোথা থেকে এমন সাহস এসেছিল কে জানে! তারপর থেকে আমাকে সবাই খুব ভয় পায়!!!!