অলিখিত গ্রহণ
অলিখিত গ্রহণ
অনেকদিন হল মল্লিকবাড়ীতে একমাত্র ছেলে নিমগ্ন কে দেখভাল করার মতো কোনো আয়া পাওয়া যাচ্ছে না। মনু মল্লিক খুব চিন্তিত। তাঁর স্ত্রীও। দুই মেয়ের পর অনেক কষ্টে এই ছেলেটি হয়েছে মনুবাবুর, সেও আবার সাইকো এবং ফিজিক্যালি ইম্পেয়ারড, অনবরত আবোল তাবোল বলে যায়, আবার সেগুলো শুনে সহমত পোষন করে ঘাড় নাড়তে হয়, সে ঘাড়ও নাড়তে হয় একেবারে ডান দিক করে, অন্যাথা হলে কেয়ারটেকার বা আয়ার ভাগ্যে জোটে কামড়,মানে নিমগ্ন, সেই ছেলেটি আর কি কামড়াতে আসে। নিমগ্নের এই আচরণে মনুবাবুরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই খুব মানসিক ভাবে আহত। প্রচুর সাইকিয়াট্রিস্ট দের সাথে আলোচনা করেও এর কোনো সুরাহা হয় নি। নিমগ্ন আসলে শুয়েই
থাকে সবসময়, আর অনবরত বলে যায়--" গুলি মার, ভুল বল, চুপ থাক, জল ভর"। এর অর্থ কেউ উদ্ধ্বার করতে পারে নি। অনেকেই ছেড়ে চলে গ্যাছে।
অবশেষে একজন পাওয়া গেল। মোটামুটি ত্রিশ বছরের এক মহিলা, কালনায় বাড়ী। মল্লিকবাবুদের বাড়ী তো কাটোয়া। কালনা থেকে যে মহিলাটি নতুন কাজে নিযুক্ত হল, তার নাম সুশীলা,আগেই সব শর্ত সে শুনে নিয়েছিল। সে গভীরভাবে মল্লিকবাবুর ছেলে নিমগ্ন কে বলল--- তোমার কথাগুলির মানে হলঃ মনে ঢুকে সত্যিটাই ভুল করে বলো যা এতদিন চুপ ছিল হৃদয়ের জলে। শুনে তো নিমগ্ন দারুন আনন্দিত, যেন পাগল আর মহিলাটি কাজে রয়েই গেল। এতদিন বাদে সব ফুটফুটে সকালের মতো নিমগ্ন ধরা দিল।