Debasmita Ray Das

Inspirational

5.0  

Debasmita Ray Das

Inspirational

অলীক সুখ

অলীক সুখ

8 mins
1.2K


চায়ের কাপটা হাতে তুলে নিয়েই মেজাজটা একটু খাপ্পা হয় রমিতার। টিভির ডানদিকের জানালার পাশে মস্ত বড়ো ঝুল শোভা পাচ্ছে। এই টিয়াটা এতো ফাঁকিবাজ হয়েছে না, যেদিন না তাকাবে সেদিনই গন্ডগোল। বিরক্তিকর!! স্কুলে বেরোনোর টাইম হয়ে গেছে দেখে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিল ব্যাপারটা। দক্ষিণ কোলকাতার একটি স্কুলে ইংলিশ পড়ায় রমিতা সেন। ছেলে তোজো আর মার সাথে এখানে একাই থাকে সে।


স্কুলে আজ হাল্কাই ছিল বেশ। অনেক ক্লাসের পরীক্ষা হয়ে যাওয়াতে স্টুডেন্ট ছিল অনেক কম,, তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকেও খালি তার মনে হচ্ছিল আজ সন্ধ্যার কথা। আজ মিথিলেশের সাথে তার দেখা হওয়ার কথা। কেন জানিনা রমিতা অনেক চেষ্টা করেও ওর চিন্তা মাথা থেকে বের করতে পারেনি। তবে কি এতদিনে সত্যিই মিথিলেশ তার মনে জায়গা করে নিল?? মিথিমেশ ইঞ্জিনিয়ার। এক বন্ধুর ভাইয়ের বিয়েতে দেখা হয়েছিল দুজনের। রমিতার স্বামী আয়ুষের সাথে ছয় বছর আগে ডিভোর্সের পর থেকে এই প্রথম আবার কেউ হয়তো তার মনে একটু জায়গা করে নিতে পেরেছে। হঠাৎ ক্লাসের ঘন্টা বেজে উঠে তার চিন্তায় ছেদ ফেলে দিল। এই পিরিয়ডে তার ক্লাস আছে, তাই আপাতত: রমিতা মিথিলেশের চিন্তা মুলতুবি রেখে ক্লাসের দিকে রওনা হল।


 মিথিলেশের কথা:


মিথিলেশ ব্যানার্জী উত্তর কোলকাতার এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের ছোট সন্তান। পারিবারিক ব্যবসা প্রচুর বড়ো, আর তাই নিজে চাকরী করলেও দম্ভ কিছু কম ছিল না। জীবনে মহিলার সংখ্যাও কিছু কম নয়। রমিতাকে সে অনেকদিন থেকেই টার্গেট করেছিল, মাঝে কমন ফ্রেন্ড পেয়ে যাওয়াতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তারপর ফেসবুক মেসেঞ্জার, ফোনে গল্প করে আলাপটাকে মজবুত করা, মিথিলেশ ব্যানার্জীর কাছে এ এমন কিছু বড়ো ব্যাপার না।

স্কুল থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যা ছটা নাগাদ পার্কস্ট্রীটে একটা কফিশপে তাদের দেখা করার কথা। রমিতা পৌঁছে দেখে মিথিলেশ ভিতরেই বসে আছে। তাকে দেখতে পেয়েই হাত নাড়ল। রমিতাও এক গাল হেসে ভিতরে গিয়ে মিথিলেশের সামনাসামনি বসল। রমিতার কাছে মিথিলেশ এক ভালো বনেদী পরিবারের যোগ্য সন্তান। তার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে মিথিলেশ বলে,

"রমি এবার কিন্তু তোমায় কিছু ভাবতেই হবে আমাদের ব্যাপারে, তুমি যেন আমায় সিরিয়াসলি নিতেই চাও না!!!


কিছু বলতে চেয়েও রমিতা চুপ করে গেল। বলতে যে সে চায়, তারও তো কাউকে পেতে ইচ্ছে করে পাশে.... কিন্তু মা একরকম রাজী হলেও তোজো আছে তার কথাটাও তো একবার ভাবতে হবে। আর পূর্ব অভিজ্ঞতাও তো খুব ভাল নয় তার জীবনে। আয়ুশের সেই মারধোর অত্যাচার.... সেই দিনগুলো যে ভয়ানক ছিল! আর সহ্য করতে না পেরে এক বছরের মাথাতেই তোজোকে পেটে নিয়েই বেরিয়ে এসেছিল সে!! মিথিলেশের কথায় আবার ফিরে আসে বর্তমানে....

"এই কি ভাবছো তুমি?? ঠিক আছে আর আমি কিছু বলবোনা ডিয়ার। প্লিজ তুমি মন খারাপ কোরোনা!!"

এরপর রমিও আর না হেসে পারলোনা। কথায় কথায় কোথা দিয়ে যে সময় কেটে গেল, তা দুজনের কেউই টের পেল না। রমিতা যখন তাদের দেশপ্রিয় পার্কের বাড়ির গেটে, রাত তখন প্রায় দশটা।


বাড়িতে ঢুকতেই তোজো ঝাঁপিয়ে পড়ল রমিতার কোলে....

"মা এতক্ষণ কোথায় ছিলে?? তোমায় আমি কত্ত মিস করছিলাম জানো,,, তুমি আমার প্রিয় মাম্মি...."

বলে সে কতই আদর! বাবাকে কোনোদিন না দেখা ছয় বছরের তোজোর কাছে মা আর দিদুই সব। দিদুর কাছেই থাকে সে সারাদিন,আর মাকে পেলেই তাকে আর পায় কে!!! রাতে তোজো আজ দিদুর কাছেই শোবে। নিজের ঘরে একটু একা হতেই রমিতার মাথায় আবার মিথিলেশের চিন্তা। সত্যি কি সে তাকে অনেক ইগনোর করছে?? এলোমেলো চিন্তার মাঝেই কখন যে তার দুচোখে ঘুম জড়িয়ে এসেছে তা সে টেরও পেলোনা।


পরের দিন সকালে কাজের ফাঁকে ফাঁকেই তার মনে হচ্ছিল মিতিকে সব বলার কথা। মিতি তারই স্কুলের সহকর্মী, তার খুব ভাল বন্ধুও। সব ব্যাপারে তার সঙ্গীও। টিফিন টাইমে দেখা হল দুজনের। মিথিলেশের কথা সে আগেও শুনেছে,তাই বাকি কথা নিয়ে আলোচনা করতে খুব বেশী অসুবিধা হল না দুজনের।

অনেক্ষণ জল্পনা কল্পনার পর মিতি ঠিক করল তার বোন নন্দিনীর সাথেও এই নিয়ে আলোচনা করবে। নন্দিনী একটা আই টি কোম্পানিতে এইচ. আর. পোস্টে আছে। বুদ্ধিমত্তা আর আধুনিকতার জন্য মিতি,কিছুটা রমিতাও তাকে বেশ ভরসা করে। এতো বড়ো একটা ডিসিসানের জন্য যে তার স্থির বুদ্ধির খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া তারা তিনজনই খুব ভাল বন্ধুও.... মিতির বাড়িতে কখনো ছুটিতে  

নির্ভেজাল আড্ডাও বড়ো কম হয়নি!!! তাই আজ মিতি যখন তাকে স্কুল থেকে তাদের বাড়িতে যেতে বলল,রমিতা আর খুব একটা আপত্তি করলনা।


নন্দিনী মিত্র আসলে শিলিগুড়ির মেয়ে। দিদি মিতির সাথে বছর চারেক আগে কোলকাতায় আগমন। খুব ছোটবেলাতেই বাবা মাকে হারিয়ে জীবনটাকে খুব কাছ থেকে দেখেই বোধহয়। ছোটবেলা থেকেই সে খুব বুদ্ধিমতী আর বাস্তববাদী তো বটেই, একটু বা হয়তো জেদীও। দিদি মিতি কিন্তু তার সম্পূর্ণ বিপরীত। নরম স্বভাবের মিতি তাই বোনের ওপর অনেকটাই ছিল নির্ভরশীল। পুরুষদের প্রতি কোনো আসক্তিই নন্দিনীর ছিলনা এতোদিন পর্যন্ত। এখনকার চিত্রটা অবশ্য একটু আলাদা,একজন হঠাৎই তার মনে দাগ কাটার পর থেকে!!

স্কুল থেকেই মিতি ফোনে জানিয়ে দিয়েছিল নন্দিনীকে বাড়িতে থাকার জন্য আর রমিকে নিয়ে আসার কথা। নন্দিনী তখন ছিল বাইরে, দিদিকে জানিয়েছিল কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ফিরে আসছে। নন্দিনীর সেদিন ডে অফ্ হওয়ায় সে ছিল তার সেই মনের মানুষের সাথে, তার গাড়িতে। হাসির জোয়ারে যেন ভেসে যাচ্ছিল দুজনে আর মাঝে মাঝেই তার কাঁধে হাত দিয়ে কাছে টেনে অন্তরঙ্গ হওয়ার চেষ্টা করছিল.... নন্দিনীর জীবনের ম্যাজিকম্যান মিথ.... ওরফে সেই সুন্দর সুপুরুষ স্মার্ট বনেদী পরিবারের যোগ্য সন্তান মিথিলেশ ব্যানার্জী!!!!


নন্দিনীর সাথে মিথিলেশের আলাপ প্রায় ছয় মাস মতো,প্রায় রমিতার সাথে আলাপের সময় থেকেই। বন্ধুদের সাথে পাবে দেখা হয়েছিল দুজনের। আধুনিকা নন্দিনীর কাছে সে একরকম ম্যাজিকম্যান হলেও.... মিথিলেশের জীবনে এরকম ম্যাজিক উওম্যানদের কোনো অভাব ছিলনা!! খেলাই ছিল একরকম তার কাছে এটা, কিছুটা নেশার মতোনও। মেয়েদের বিশ্বাস অর্জন করাটা তার কাছে কোনো ব্যাপার ছিলনা!!রমিতার ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। রমিতা সুন্দরী, শান্তস্বভাবা, তার উপরে যেন ঠিক হাতে এসেও আসছেনা.... তার উপরে যেন ওর আকর্ষণ ছিল আরো অনেকের থেকে বেশী!!


আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় নন্দিনী তার মিথের সাথে কাটিয়ে তাদের যাদবপুরের ফ্ল্যাটে ফিরল। ফিরেই তার খুব প্রিয় রমিদিকে দেখে রীতিমতো হৈ হৈ করে উঠল। রমিতাও খুব খুশি হল অনেকদিন পর আবার তিনজন একত্রিত হতে পেরে। অনেক গল্পের মধ্যে ধীরে ধীরে এসে পড়ল মিথিলেশ ব্যানার্জীর কথা, কিছুটা বা মিতির উৎসাহেই। নামটা শুনে এবার নন্দিনীর চমক লাগার পালা!! সেই বিয়েবাড়িতে তোলা একটা ছবিও রমি তাদের দেখালো। নন্দিনীর তো মাথায় হাত!! বুদ্ধিমতী মেয়ে সে,তার কাছে নিমেষে সব পরিষ্কার হয়ে আসে। শুধু ভাবে তার সরল রমিদিকে কি করে এ কথা বলবে!!! তার ওইরকম হতভম্ব ভাব দেখে মিতি তো অবাক....

"কিরে তোর হল কি, এরকম চুপ করে গেলি কেন???


রমিতাও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। নন্দিনী আর চেপে না থেকে সব খুলে বলে তার দুই দিদিকে। শুনে তো মিতির আক্কেল গুড়ুম.... বলে কি?? রমিতা ততক্ষণে কাঁদতে শুরু করেছে। নন্দিনীরও চোখ ছলছল করছিল,কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে রমিদিকে জড়িয়ে ধরে সে বলে....

"ধ্যাৎ তুমি কাঁদছো কেন,তাও আবার ওই লোকের জন্য?? কাঁদতে হবে তো এবার মিথিলেশ ব্যানার্জীকে.... আর কাঁদাবো আমরা, এই নন্দিনী মিত্র আর রমিতা সেন!!!! 


রমিতা কথা বলতে পারলোনা। বিহ্বল হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকে। ভালমানুষ মিতি খুব ভয় পেয়ে যায়....

"হ্যাঁ রে নন্দু, তুই কি করবার কথা ভাবছিস রে?? আমার না খুব ভয় করছে বোন.... এই ধরণের ছেলেরা না খুব ডেঞ্জারাস হয়,কি করতে কি করে ফেলবে, তার থেকে আমরা সব ভুলে যেতে পারিনা রে?? রমির তো কোনো বিপদ হয়নি বল.... আর কি এসবের মধ্যে যাওয়ার কোনো দরকার আছে????

"ভয় পেলে তো চলবে না দিদি.... আর ভুলে গেলেও চলবে না। রমিদি বা আমার সাথে.... না জানি এরকম আরো কতজনের সাথে ও বা ওর মতো যারা এরকম করেছে বা করে তার একটা উত্তর দেওয়ার সময় যে সময় এবার এসেছে....

দাঁত কিড়মিড় করে বলল জেদি নন্দিনী। সে আরো বলল....

"শোন আমার মাথায় একটা প্ল্যান এসেছে, কিছু ভাল বন্ধু আছে আমার, তাদের সাহায্য সাথে তোদেরও সাথে চাই ওই শয়তানটাকে জব্দ করার জন্য!! বল তোরা আছিস তো আমার সাথে????


মিতি কি বলবে বুঝতে পারেনা। বোনকে সে চেনে খুব ভালরকম। একবার যখন সে বলেছে তখন তা করে ছাড়বেই, সে তারা সাথে থাকুক বা নাই থাকুক। রমিতা এতোক্ষণ একদম চুপ ছিল, হঠাৎ বলে উঠল....

"আমি আছি বোন তোর সাথে,একবার অন্তত মিথিলেশ ব্যানার্জীকে দেখানো দরকার যে সব মেয়েরাই তার হাতের পুতুল নয়!!!!"


রমিতাকে তার প্ল্যানের কথা খুলে বলে নন্দিনী। রমিতার কথা অনুযায়ী প্রায় দুই হপ্তা আগে মিথিলেশ রমিতাকে একটা বাইরে আউটিংয়ের প্ল্যানের কথা শুনিয়েছিল। দুদিনের জন্য বোলপুর,সেখানে তার এক বন্ধুর বাগানবাড়ি আছে সেখানে। রমিতা সেই সময়ে একরকম এড়িয়েই গেছিল,এইবারে নন্দিনী রমিদিকে তাতে রাজি হয়ে যেতে বলে। তবে রমিতা মিথিলেশের সাথে গেলেও, নন্দিনী তার ফুল টিমের সাথে থাকবে তার পিছনেই!!! 

মিতির অনেক ভয় সত্বেও রমিতা কিন্তু রাজি হয়ে গেল। মিথিলেশকে একটু শিক্ষা দেওয়ার জন্য সেও তখন বদ্ধপরিকর। 

   

সেদিন বিকেলে মিথিলেশের সাথে রমির দেখা হওয়ার কথা। দেখা হতেই মিথিলেশের সেই মায়াবী হাসি.... রমিতা মনে মনে ভাবে, আর তোমার হাসি আমায় একটুও ভোলাতে পারবেনা মি: ব্যানার্জী....মুখে বলে,


"কখন এসেছো তুমি? কতদিন পরে তোমার সাথে দেখা হল.... মিথিলেশ আমাদের ওই বোলপুর ট্রিপের কথা যে তুমি বলেছিলে, ওখানে আমরা কবে যাচ্ছি?? শুধু কাজ আর কাজ.... কতোদিন বেড়াতে যাইনি বলোতো????"

মিথিলেশের কাছে এ তো মেঘ না চাইতেই জল!! অত্যন্ত খুশি হয়ে সে বলল....

"কবে যাবে তুমি বলো, আমি সবসময় রাজি আছি।"

"তাহলে এই শনিবার চলো। তোজো দিদুর সাথে মাসির বাড়ি যাবে, এটাই বেস্ট সময় হবে।"

"বেশ তাই হোক তবে...."

  

 মিথিলেশের কাছ থেকে আলাদা হয়েই রমিতা আগেই নন্দিনীকে ফোন করল। সব শুনে নন্দিনী খুব খুশিই হল। রমিতাকে বলল....

"শোনো রমিদি তুমি যাবে ওর সাথে ওর গাড়িতে, পিছনেই থাকব আমরা.... আমি আর আমার পাঁচটা খুব ভাল বন্ধু। মিথিলেশকে হাতে-নাতে ধরার এর থেকে বড়ো সুযোগ আর পাওয়া যাবেনা।

   

কথা মতো শনিবার তারা রওনা হয়ে পড়ল। মিথিলেশ খুব খোশ মেজাজে ছিল, সে বোধহয় খুব একটা ভাবতে পারেনি এত তাড়াতাড়ি রমিতাকে এই ট্রিপে রাজি করাতে পারবে!! অপরদিকে রমিতা সামনে খুশি ভাব বজায় রাখলেও মনে মনে একটু হলেও নার্ভাস ছিল।

 তারা যাত্রা শুরু করতেই নন্দিনীরাও তাদের পিছনে রওনা হয়ে পড়ল। বেশ একটা নিরাপদ দূরত্ব রেখেই চলতে লাগলো তারা। পথে দুই একবারের বেশী তারা থামেনি। মাঝে মিথিলেশ একবার নেমে কিছু খাবার আনতে যেতেই সাথে সাথেই রমিতা একবার নন্দিনীর সাথে কথা বলে নিয়েছিল।

পথে আর কোনো অসুবিধা সেরকম হয়নি। পৌঁছে সেই বাগানবাড়ির সামনে গিয়েই একবারে থামল মিথিলেশ। নেমে আগেই খুব হাসিমুখে রমিতার হাতটা ধরে মিথিলেশ বলে....

"সত্যি শেষ পর্যন্ত যে তুমি আমি এখানে আসতে পারবো,এটাই ভাবতে পারিনি আমি.... আমার যে কি ভাল লাগছে কি করে বোঝাই তোমায়!!"


রমি মনে মনে হাসে। এরপরেই মিথিলেশ বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায় সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখতে। সে ভিতরে ঢুকে যাওয়ার পরেই এতোক্ষণ যে মাহিন্দ্রার গাড়িটা তাদের পিছনে আসছিল, তার থেকে নেমে আসে নন্দিনী ও তার পাঁচ বন্ধু। সকলে মিলে অপেক্ষা করতে লাগলো সঠিক সময়ের। মিথিলেশ রমিতাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে আসতেই নন্দিনী বেরিয়ে এল আড়াল থেকে....

"আমিও আসবো কি সাথে মি: ব্যানার্জী??" 

চমকে ওঠে মিথিলেশ!! আমতা আমতা করে বলে....

"তুমি...তুমি হঠাৎ এখানে...."

"এই যে তোমার সাথে একটু দেখা করতে আর আমার বন্ধুদের সাথে আলাপ করাতে এসেছি।


এরপর বেশ চিবিয়েই বলল....

"তোমার সব জারিজুরি এবার খতম মিথিলেশ। অনেক নাটক করেছো, অনেক খেলেছো মেয়েদের জীবন নিয়ে.... এবার আমাদের তোমায় নিয়ে একটু খেলা করার পালা। অলরেডি তোমার অফিসে আমরা সব জানিয়ে একটা মেল করেছি, বাড়িতেও আর এখন আপাতত: আমরা রওনা হচ্ছি কিন্তু খুব শিগগিরি আবার দেখা হবে। কারণ তোমার এগেইনস্টে আমরা থানায় রিপোর্ট করব ফ্রড গ্রাউন্ডে, সো হোপফুলি খুব শিগগিরি আমাদের আবার দেখা হচ্ছে মি: মিথিলেশ!!!! ততোদিন অবধি ভাল থেকো।

   

এই বলেই হতভম্ব মিথিলেশকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই রওনা দিল নন্দিনী রমিতাকে সাথে নিয়ে। আর নন্দিনীর ফুল টিম উচ্ছ্বসিত স্বরে বলে উঠল....


"থ্রি চিয়ার্স ফর নন্দিনী এন্ড রমিদি.... হিপ হিপ হুররে।।

(শেষ)


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational