অদৃশ্য আত্মা
অদৃশ্য আত্মা


দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকলাম। জানালার পাশে দাড়িয়ে বুবুকে মৃদুস্বরে ডাক দিলাম।
বিছানা ছেড়ে বুবু এসে দাড়ালো জানালার সামনে। চোখ কচলাতে কচলাতে বলছে - আজকেও দেরি করলি, জয়নাল।
হাবলার মত হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলাম। বুবু হাতে চাবিটা দিয়ে আবার গিয়ে শুয়ে পড়ল।
হঠাৎ আমার মনে পড়ল। আরে আমিতো দেরি করে আসিনি। বরং বাড়ি থেকে বের হচ্ছি মাকে আড়াল করে।তাহলে বুবু বলল কেন আমি দেরি করে ফিরেছি?
আমার আবার চমক লাগল, আমি কেন দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকলাম? চাবি নিয়েছি গেইট খুলে বের হব।
এসব কি ঘটছে!আমি না-হয় ভুল ভাবছি কিন্তু বুবু কেন উল্টো কথা বলবে।
সেদিন রাতে আমার রুমে বসে বই পড়ছি। ঘড়িতে প্রায় রাত একটা বাজবে। কানের মধ্যে হিস হিস শব্দ আসছে। পড়া থামিয়ে চারপাশে তাকালাম। না সবকিছু স্বাভাবিক দেখছি। পুনরায় বই পড়াতে মনোযোগ দিতেই কে যেন বলে উঠল - জয়নাল, তোর লাশ দেখবি আয়। আয় আমার সাথে।
একটা মেয়েলি কিন্তু খুবই ভয়ংকর কন্ঠে আমাকে ডাকছে। ভয়ে হাত ফসকে বইটা মেঝেতে পড়ে গেল। আশেপাশে কোনোকিছুই নজরে পড়ছে না। এরপর চোখ পড়ল মেঝেতে পড়ে থাকা বইটার দিকে। কভার পৃষ্ঠাটা ওপরের দিকে। তাতে রক্ত দিয়ে খুব সুন্দর করে যেন বইয়ের নামটাই লেখা অদৃশ্য আত্মা।