আবারও ভালোবেসেছি দ্বিতীয় পর্ব
আবারও ভালোবেসেছি দ্বিতীয় পর্ব
ভোরের আলো সবে ফুটেছে।পাশের খোলা জানলা থেকে ভোরের ঠান্ডা হাওয়া আসছে। চাদরটা গায়ে আরো একটু ঢেকে নিলাম। কিছুক্ষণ পরেই আ্যলার্ম বেজে উঠলো। উঠলাম তারপর, দেখলাম বিছানার পাশেই রাখা খোলা ডায়েরীটা জলের ফোঁটা গুলো শুকনো হয়েছে এবার।আমি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে বেড়িয়ে পড়লাম হাঁটতে। কেউ একজন আমাকে বলেছিল ,সকালে হাঁটলে নাকি শরীর মন ভালো থাকে!আর বলেছিল প্রতিদিন সকালের এই পরিবেশ নাকি মানুষের বাঁচার ইচ্ছাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।এখন তো সত্যিই আমি বাঁচতে চাই। আরও বাঁচতে চাই।
আর আমি বলেছিলাম, আমার একার পক্ষে অত ভোরে উঠে হাঁটা অসম্ভব। তখন সে আমাকে বলেছিল সেও সঙ্গ দেবে। হ্যাঁ, এমনটা এই একমাস ধরেই চলছে।কিন্তু আজ কোথায়? এখনও তো আসছে না! তার কথা মতো ফোন ও আনিনি যে, ফোন করবো। দেখি একটু অপেক্ষায় না হয় করি।একটু কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর ভাবলাম লেক টা এক পাক ঘুরেই আসি। আজ আরও আস্তে আস্তে হাঁটছিলেন। সত্যিই এই লেকের ধারে যে সকালটা এত মনোরম যে, সত্যিই যেন বলতে ইচ্ছা হয় যে ; এমন সকাল যেন আরও দেখি। খোলা আকাশের পাখি গুলো দেখে মনটা অস্বাভাবিক শান্ত হয়ে যায়। দেখে যেন মনে হলো, ওরা আগের দিনের ক্লান্তি ফেলে আবারও বেড়িয়েছে খাবারের সন্ধানে তবে আমিই বা থেমে থাকি কেন। ঘড়িতে দেখলাম হাজারটা স্টেপ হয়েছে আর তারসাথে দেখলাম সাতটা বাজতে চললো।
- জয় মন্ডল