তোমায় হারিয়ে
তোমায় হারিয়ে
বুকের ভেতরটা পুড়ে যাচ্ছে,
কোথাও তুমি নেই।
আমার যে তোমাকে খু্ব প্রয়োজন,
তবুও তুমি নেই।
জানি না কতদূরে, কেনই বা যাচ্ছ সরে সরে।
মেনে নিতে পারছিনা-তুমি নেই,
তোমার মতোও কেউ নেই।
একটা অদৃশ্য ক্ষত,
ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রান বহন করে,
এ শরীর মনের সাথে লড়ছে।
মনের ওপর পাহাড় সম ভার,
শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
চেনা পথ গুলোও আমায়,
তোমার কথাই জিজ্ঞাসা করছে।
তবুও তুমি নেই।
বারে বারে ভেসে উঠছে তোমার মুখ,
জাগতিক দৃশ্যের পথ রুদ্ধ করলেই।
গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, যেমন চোখের জল,
তবুও তুমি নেই কোথাও নেই।
তোমার লেখা চিঠি গুলো দপ্ করে জ্বলে উঠল, বিনা আগুনেই।
এক মুঠ
ো ছাই হলো রঙ্গিন স্বপনও গুলো, এক পলকেই।
কোথাও তুমি নেই।
আয়না ও মুখ ফিরিয়ে নিলো সামনে দাঁড়াতেই।
সব রঙ হারিয়ে গেল, সাদা কালোতেই।
অন্তর সলিলা ফল্গুর মতো,
স্মৃতির উষ্ণ বালির নীচে বিরহ,
বয়ে চলল নীরবেই।
তবুও তুমি নেই।
দগ্ধ আমার অন্তর আত্মা, মিশে যেতে চাইছে,
হিমালয়ের তুষার ভূমিতে।
ডুব দিতে চাইছে গঙ্গোত্রির হিম শীতল জলে।
যদি বা শান্তি পাই।
তবুও তুমি নেই।
নিজেকে দেখেছিলাম তোমার চোখে,
হারিয়ে গেলে তুমি আর আমিও কোথাও নেই।
হটাৎ সম্বিত ফিরল ঘুম ভাঙ্গতেই।
চোখের সামনে তুমি, পলক তুলতেই।
সারা মুখে আমার বিন্দু বিন্দু ঘাম,
মুছিয়ে দিলে তুমি।
দুহাত দিয়ে জড়িয়ে তোমায়,
বেঁচে আছি আমি।