সমুদ্র
সমুদ্র
একি মনোহারী রূপ সম্মুখে আমার
অসীম আকাশ চুমে নীল জলরাশি ।
একাকার হয়ে যায় নভ পারাবার
গোধূলি আলোকে ওঠে তরঙ্গে উদভাসি ।
ভেজা ভেজা সমুদ্রের বালুকা বেলায়
একা একা আনমনে বসে আছি আমি ।
মাঝে মাঝে তরঙ্গ চলে আসে পাশে
ধীরে ধীরে ফিরে যায় পা আমার ছুঁয়ে ।
ফেলে যায় কত যে রঙ্গীন শঙ্খ আর শামুক
পক্ষী রাজ ঘোড়ায় চড়ে আমি কোথা উড়ে যাই
বয়স পারে না বাঁধতে মন তো আমার
জীবন পাপড়ি সব খসে খসে যায় ।
কখনো বা প্রজাপতি উড়ত ফুল থেকে ফুলে
বসন্তে কোকিলের গান যে শুনতো ।
কখনো বা বরষায় টুপটাপ। শব্দে
মেঘ মহ্লার সুরে মন যে নাচছিল ।।
ভুলে গো যাই যত সব সংসার জঞ্জাল
তোর কোমল পরশে আমি যে শান্তি পাই
বাঁচার মন্ত্র দিস যে তুই আমার কানে
সংসারের বন্ধন থেকে আমি যে মুক্তি পাই
তুই তো বড় ভাগ্যবান আকাশকে ছুঁয়ে ফেলিস
তোরই মত মিশে যাব আমি পরমাত্মার সাথে
যত দূর হোক না কেন তোর পথে গিয়ে। ।