সমালোচনা চুপ!
সমালোচনা চুপ!
সাহিত্য একটা ফুঁটো নৌকোয় চলছে আজকাল,
তাতেই পাল্টে গেছে লেখককুলের বোলচাল।
ছোটো থেকেই জেনে এসেছি লেখকদের,
দেওয়া হয় নানা উপঢৌকন ও সম্মান।
সে তো অবশ্যই দেওয়া উচিত,
কারণ তারা ভরান মানুষের মনপ্রাণ।
একটা সময় লেখাটা কারো কারো জীবিকা হয়েছিল,
লেখা লিখেই কষ্টেসৃষ্টে কোনও লেখক বেঁচেছিল।
আশ্চর্য এটাই যে তবু লেখাকে ভালো বেসেছিলো।
কিন্তু যবে থেকে লেখাটা হয়ে উঠলো ব্যবসা,
সাহিত্যটা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে তামাশা !
কিছুতেই হচ্ছিল না ব্যাপারটা বোধগম্য,
লেখার মান কেন নামছে, আমার বোধের অগম্য।
অবস্থার কেন হচ্ছে দিন দিন অবনতি?
ভালো লেখা লিখতে কিসের আপত্তি!
আসলে দূর থেকে বোঝা কঠিন নৌকা কেন ডুবছে,
যারা নৌকার যাত্রী, তারাই কি বুঝছে ?
আজকাল লেখক লেখে কিনতে শুধুই খ্যাতি,
সেজন্যে খরচ করতেও নেই আপত্তি!
নৌকোর ফুঁটো দিয়ে অনবরত বেনোজল ঢুকছে,
কতদিন আর চলবে এভাবে জল ছেঁচে ?
নামী লেখক হবার তরে ইনভেস্টমেন্ট,
হচ্ছে আবার আজকাল নানারকম ইভেন্ট!
মানছি কারোর কারোর হয়তো আছে,
লেখার প্রতি অনেকটা ভালোবাসা।
কিন্তু সে আর কয়জন?
আর তাদের লেখা লোকে পাবেই বা কি করে?
যদি তারা টাকা খরচ করে বই না প্রকাশ করে?
এমনকি সত্য সমালোচনা করার পর্যন্ত নেই সাহস!
প্রশংসা পাওয়ার লোভে করতে হবে মিথ্যে প্রশংসা!
পায়ে তো সকলের শিকল বাঁধা, মুখে আঁটা কুলুপ,
যদি কলম কিছু বলতেও চায়, মগজ বলে চুপ চুপ।
সর্বদা এক ভয়, কারো নিন্দে করলে,
যদি সে আমার লেখা না পড়ে,
ইচ্ছে হলেই তো ব্লকও করে দিতে পারে।
অবশ্য বিনা কারনেও কেউ কাউকে ব্লক করে!
কি অবস্হা! পাঠকদেরও শুরু হয়েছে আকাল,
অনেকে আবার যেন সেই রাঙা ফল মাকাল!
আর বেশি কিছু লিখলে হতেই পারে জল ঘোলা,
মাঝখান থেকে লাভবান হবে শুধুই তারা,
ঘোলা জলে মাছ ধরতে পারে যারা।
