শুঁড়ের প্রযুক্তি
শুঁড়ের প্রযুক্তি
প্রযুক্তির হাত ধরেই এগিয়ে চলেছে সভ্যতা,
কি করি মাথায় আসছে ভাবনা যা তা।
আসলে প্রযুক্তির নাম করলেই কেন জানি না,
ভীড় করে মাথা তে নানা ঘটনার ঘনঘটা।
গর্বে ফুলে ওঠে মনের ভেতরের ফানুসটা।
সামান্য জ্বালানির কথাও যদি ভাবি,
খড়ি, ঘুঁটে, কয়লা, গুল, হিটার, গ্যাস, ইনডাকশন,
গ্রিল, তন্দুর, ইলেকট্রিক কেটলি, মাইক্রোওভেন।
প্রতি ক্ষেত্রেই জড়ো করা যায় এমন উদাহরণ,
এভাবেই প্রযুক্তি করেছে সভ্যতার হৃদয় হরণ।
এখন তো ই-বুকে'র দাপটে, নাজেহাল কাগুজে বই,
ওরা কি আদৌ থাকবে নাকি হাওয়ায় উড়ে যাবেই !
অথচ সামান্য মানুষ হেরে বসে আছে,
ক্ষুদ্র এক প্রাণী, মশার টেকনোলজির কাছে।
ঐটুকু মশা, আরও সুক্ষ তার ছিদ্র ওয়ালা শুঁড়,
সেই দিয়েই আমাদের রক্ত টেনে নেয় করে সুরসুর।
কোন টেকনোলজির সাহায্যে যে বোঝে,
কখন একটু অন্যমনস্ক অথবা রয়েছে মানুষটা ঘুমন্ত।
খুঁজে বের করে সেই মোক্ষম সময়,
রক্ত শোষার সুযোগ যেন তখন তার অনন্ত।
রাতে ঘুরেঘুরে মশারির ফুটো খুঁজে ফেরে,
কয়েল, ম্যাট, ধূপকাঠি, অল আউট অথবা ব্যাট,
প্রতিটা অস্ত্রের সাথেই প্রাণপনে লড়াই করে।
করে চলেছে জিনের পরিবর্তন,
বিকাশ করছে টেকনোলজির,হতে চায় আরো উন্নত।
প্রযুক্তির সাথে চলতে গিয়ে অনেক হারিয়েছি,
আবার হয়েছি আমরা কখনো উদ্বুদ্ধ।
আন্তরিকতা, ভালোবাসা, সৌজন্য, সব আজকাল,
মোবাইল ফোনেতেই সীমাবদ্ধ।
মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনুভুতি, আবেগ!
ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো প্রশ্ন করবে,
কিসের ভুত-ভুতি? ওটা আবার কোন বেগ?
সবকিছু ই ভালো যদি থাকে পরিমিতি বোধ,
অতিরিক্ত যা, সব হয় বিষ, মানুষ আমরা যে অবোধ!
