শৈশব স্মৃতি
শৈশব স্মৃতি


যুগের হাওয়া হারিয়ে গেছে মোর শৈশব স্মৃতি
ভুলে গেছি আজ, ভাটিয়ালী ও পল্লীগীতি।
শৈশবের দিনগুলি কষ্ট দেয়, নব্যতার ভিড়ে
খুশী হতাম,যেতাম যদি আবার শৈশবে ফিরে।
সাঁঝ সকালে ঘুম ভেংগে যেত পাখ-পাখির ডাকে
পিঠা পুলি, চিড়া মুড়ি খেতে বলতাম মাকে।
পুরো বাড়ির সুবাস পেতাম ফুলে ফলে গন্ধে
মা বলে,আরবী পড়তে যাও মক্তব- মসজিদে।
কানামাছি ও গোল্লাছুট খেলতাম সবাই মিলে
বন্ধুরা, মাছ ধরতে ছুটে যেতাম খালে বিলে।
কাদা মাটি সারা গায়ে মেখে আসছি নীড়ে
মন হারিয়ে যেত,ওই আকাশের তারার ভিড়ে।
পুতুল বিয়ে সময়ে নাচি,নানা গানের ছন্দে
নেচে উঠেছি স্কুলে, নতুন বইয়ের গন্ধে।
ফুটবল,ক্রিকেট,ভলি খেলতে যেতাম গায়ের মাঠে
জলে নেমে আনন্দে গোসল দেই, পুকুর ঘাটে।
লাইলি-মজনু,শিরি-ফরহাদ দেখতে যেতাম গ্রামে
রাতের বেলায় ঝোঁনাক বাতি দেখি ডানে বামে।
বাঁশবাগানে রাতের বেলায় হুতুম পেঁচা ডাকে
শৈশবে, মোরা ভয়ে জড়িয়ে ধরতাম মাকে।
শৈশবের স্মৃতি মনে হলে জল আসে চোখে
শৈশব হারিয়ে গেছে আজ ডিজিটালে বাঁকে।
হারিয়েছে শৈশবে মায়ের ঘুম পাড়ানি গান
কই গেলে পাবো আজ,শৈশবের এতো পাকান।