স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
রংচটা জামা, একটা তাপ্পি লাগানো হাফপ্যান্ট,
বুকের কাছে স্বযত্নে, আগলে রাখা একটা ব্যাগ,
আর হাতের মুঠোই শক্ত করে ধরে রাখা,
বেঁচে থাকার একমাত্র জিয়ন কাঠি।
তাতে লাল,নীল,হলুদ, সাদা, হাজার রঙের বেলুন,
গুনছে সময়,ছোট্ট ছোট্ট হাতের মুঠো ধরে মুক্তির অপেক্ষায়।
বাঁচিয়ে রাখতে চাওয়ার ভারে, নুইয়ে পড়া লাঠিটা,
শুধুই বাঁচতে চাওয়ার দুরন্ত ইচ্ছের জোরে,
ছোট্ট দুটো অপটু হাতে সোজা করে নিয়ে,
নতুন আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকে সে ।
সামনে দিয়ে এগিয়ে চলা, হাজার মুখের ভিড়ের দিকে।
আর তার হাতে ধরা লাঠিতে, ঝুলতে থাকা মুখোশ গুলো,
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে , আলো ঝলমলে মুখগুলোর দিকে,
যারা লুকিয়ে আছে সত্যি কারের মুখোশের আড়ালে।
রঙিন আলোর হাতছানি, মাইকে ভেসে আসা পুজোর মন্ত্র,
আর জল খেয়ে, জোর করে ভরিয়ে রাখা পেটটাকে,
খিদের কথা মনে করিয়ে দেওয়া এগরোল, চাউমিন এর গন্ধ,
বারবার ভুলিয়ে দিতে চাই, মায়ের কাছে শিখে আসা,
সেই বেলুনওয়ালার জাদুমন্ত্র।
তবুও তাদের সেই স্যাঁতস্যাতে ঘরের এককোনে,
ধোঁয়ার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া মায়ের মুখটা,
আর হাড়জিরজিরে এক রত্তির বোনের কান্নার ছবি,
তার উজ্জ্বল দুটো চোখে জ্বালায়, নতুন জেদের আগুন।
লাঠিটা আঁকড়ে ধরে তাই,
ছোটো ছোটো পায়ে এগিয়ে যাই সে।
হাজার বিকিকিনির দরদামের কোলাহলে ,
জুড়ে যাই আরও একটা নতুন সুর।
"এএএ বেলুন আছে গো, বেলুউউউনন,
হাতি চাও শুঁড়ওয়ালা ?
কিংবা বাঁদর লেজওয়ালা ?
বাঘও আছে ডোরাকাটা,
আর হনুমান ভেংচি কাটা।
বেলুউউউনন নেবে গো বেলুন।"