প্রকৃতি
প্রকৃতি
তুমি কি মুচকি হাসছো আজ!
জানিনা।জানিনা তুমি কি ব্যাথাতুর!
তুমি কি বিক্ষুব্ধ!
তুমি কি করেছ অভিমান!
জানি অনেক যাতনা সয়েছো তুমি,
অনেক সয়েছো অত্যাচার,
অনেক বঞ্চনা সয়েছো তুমি
অনেক সয়েছো অবিচার।
এতদিন বায়ু ও শব্দ প্রদূষণে
মানুষ তোমার পরিবেশ
করেছিলো কলুষিত,
বৃক্ষ কেটে নষ্ট করেছিল
ভারসাম্য তোমার,
কল-কারখানার বর্জ্যে
নদী,সাগর,নহর-সব হারিয়েছিল
তার কৌলিনতা,
আধুনিক জীবনশৈলীর অবদানে
উষ্ণায়নে গলেছিল
বরফ তোমার পাহাড় চূড়ার।
নীরবে সব সয়েছো তুমি।
তারই কি পাচ্ছি সাজা!
নববধূর মতো সেজেছো আজ,
কৃষ্ণচূড়ার ওড়না মাথায়,
সর্বাঙ্গে পলাশ-জারুলের পুষ্পসজ্জা,
বেল,জুঁই,কামিনীর
সুরভীতে মেতেছে ভুবন,
বৃষ্টিস্নাত সতেজ সবুজের
সমারোহ চতুর্দিকে,
টলটল স্নিগ্ধ শীতল স্বচ্ছ জলে
ভরা ছোট-বড় সব জলাশয়।
ভ্রমরের গুনগুন আর
বিহঙ্গের কলকাকলি-
বইছে স্নিগ্ধ শীতল বিশুদ্ধ সমীরণ।
মানুষের এত কষ্ট দেখেও নীরব তুমি,
সেজেছো আজ অপরূপ সাজে।
দুহাত উজার করে দিয়েছিলে তুমি
মানুষ করেছে চরম অবহেলা
বোঝেনি তোমার অসীম অবদান,
তাই কি করেছ অভিমান
তাই কি দিয়েছো অভিশাপ!
এ কি তোমার শিক্ষা দেওয়া!
এ কি তোমার প্রতিশোধ!
এ কি তোমার শাসন করা!
এ কি তোমার অভিযোগ!
দয়া করো, করো ক্ষমা-
বাড়াও তোমার মমতার হাত
বিছোও তোমার স্নেহের আঁচল,
দাও কোন কুদরতি ওষুধ
মহামারী থেকে রক্ষা করো মানব জাতিকে
করো নবজীবন দান।