পিকনিক
পিকনিক
দৌড়ে এলো ওরা দাঁড়াতেই আমাদের পিকনিকের বাসটা ।
অর্ধনগ্ন মিশকালো অশক্ত শরীরগুলো
হিমশীতল শিশিরভেজা সকালেও
খালি পায়ে, অর্ধেক খালি গায়ে
অবোধ্য কিচিরমিচির করে চলে –
“জল এনে দেব, বাসন মেজে দেব
শুধু একটু খেতে দিলেই হবে।”
আমার হাঁটু দুটোও চেতনাও কেঁপে ওঠে।
ঠান্ডায় অর্ধেক কাপড়েও কিন্তু কাঁপে না ওরা।
অভ্যস্ত চোখের কিনারায় অনাহূত অশ্রু ভিড় জমায়
কুয়াশাঘেরা সকালেও চোখ ঢাকি রোদচশমায়।
অভুক্ত মিছিলের পাশে চড়ুইভাতি এক দুঃস্বপ্ন
অপরাধবোধের আগুনে মনটা জ্বলতে থাকে ।
হত-দরিদ্র মানুষগুলোর সামনে নির্বাক হয়ে
কোনোমতে বাস থেকে নেমে, হাঁটতে থাকি
পালাতে থাকি, পিকনিকের থেকে দূরে বহুদূরে
আপন মানসিক অস্তিত্বের দৈন্যতায় তলিয়ে যেতে থাকি।