নিজস্বী
নিজস্বী
একটা সবুজ দুপুর। একাকিত্বের রাংতায় মোড়া
তবুও আমার নিজস্বী সে
গৃহস্থের সামনের একফালি বারান্দার ভীড় করা কষ্টগুলোকে গিলে যখন
সে পড়ন্ত বেলার রোদ্দুর হয়ে এসে জড়িয়ে ধরে আমায় ,
চুমুর ফন্দিতে স্পর্শ করে এই হিজিবিজি শরীরের ফাটা দাগগুলো
তখন শিহরণে উদাসী বাতাস মাখি তার আঙ্গুলের যৌবন-ফুলে !
জাপটে ধরে তার চোরা-পকেটের রুমাল হতে ইচ্ছে করে ,
ভাবি , সে যদি রক্তারক্তি করতো নিয়মমাফিক রোজ একটিবার ,
নির্মোক করতো আমায় চোখের কোলে ,
মিশে যেতাম তার শরীরে বেড়ে ওঠা...
শাল-পিয়ালের বিস্তৃত শাখাপ্রশাখায় !
হঠাৎ...
অলীক নামের জলসিঁড়িটা পিছল হয়
বুঝিনি , কখন তাকে দিয়ে ফেলেছি
আমার দৃষ্টির লবণাক্ত সাগরটা ,
স্নাত-সিক্ত করিয়ে ফেলেছি অনুভবে ,
ভিজে কাপড়ে ঠান্ডা লাগবে ,এই ভয়ে ফিরতি পথে তাকে ঠেলে দিয়েছি নিস্তব্ধতায়
দীর্ঘশ্বাস
দীর্ঘসময়
প্রতীক্ষা
অপেক্ষায় এভাবেই কাটে আমার হলুদ বিকেল
প্রতিক্ষণ সিদ্ধিতে আর ঋদ্ধিতে